যমজ ছেলে লব-কুশকে নিয়েও নানা কথা ভাগ করে নিলেন শত্রুঘ্ন। জানালেন ছেলেরা নাকি প্রথমবার মদ্যপানের জন্য অনুমতি চেয়েছিলেন তাঁর কাছ থেকেই।
মেয়ে সোনাক্ষী বিয়ে করেছেন ভিন্ন ধর্মে তা নিয়ে নানা কটাক্ষের মুখে পড়তে হয়েছিল শত্রুঘ্ন সিনহাকে। 'কৌন বানেগা কৌড়পতি'-এর মঞ্চে মেয়ে রামায়ণ বিষয়ক প্রশ্নের উত্তর দিতে না পারার জন্যও মুকেশ খান্না কটাক্ষ করেছিলেন শত্রুঘ্নকে। কিন্তু এই সবের পরোয়া খুব একটা করে না অভিনেতা। শত্রুঘ্নের চোখে তাঁর ছেলে মেয়েরা সেরা। তাঁদের নিয়ে কেউ কিছু বললে তাঁকেও ছেড়ে কথা বলেন না অভিনেতা। শুধু কী তাই? নিজেও নানা সময় নানা বিষয় নিয়ে তাঁদের প্রশংসা করে থাকেন। আর এবার যমজ ছেলে লব-কুশকে নিয়েও নানা কথা ভাগ করে নিলেন শত্রুঘ্ন। জানালে ছেলেরা নাকি প্রথমবার মদ্যপানের জন্য অনুমতি চেয়েছিলেন তাঁর কাছ থেকেই।
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে, প্রবীণ অভিনেতা তাঁর যমজ সন্তান লব এবং কুশের এই ঘটনা শেয়ার করেছেন। লেহরেন টিভিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে অভিনেতা জানান, তাঁর যমজ সন্তান লব এবং কুশ যখন তখন প্রাপ্তবয়স্ক। তখন তাঁদের বয়স ১৮ বা ২৫ বছর হবে। সেই সময় তাঁদের বিয়ার খাওয়ার কথা উঠলে, তাঁরা আগে বাবার অনুমতি নিতে চেয়েছিলেন। তখন শত্রুঘ্ন এই বিষয়ে তাঁর ব্যক্তিগত মতামত ভাগ করে নিয়েছিলেন। অভিনেতা মদ্যপানের ঘোর বিরোধী। ছেলেদের সঙ্গেও তাঁর সেই মতামতই ভাগ করে নিয়েছিলেন। বাবার কথা শুনে ছেলেরাও মদ্যপান না করার সিদ্ধান্ত নেন। আর ছেলেদের এই সিদ্ধান্তে খুব স্বাভাবিক ভাবেই খুশি হয়ে যান শত্রুঘ্ন।
আরও পড়ুন: ‘দৃশ্যম ৩’-এ অজয় দেবগনের সঙ্গে মোহনলালের ক্রসওভার হবে? মুখ খুললেন দক্ষিণী সুপারস্টার
এর আগে, শত্রুঘ্ন লেহরেন রেট্রোর সঙ্গে তাঁর ছেলেরা কেন জাহির ইকবালের সঙ্গে বোন সোনাক্ষীর বিয়েতে উপস্থিত থাকতে পারেননি সেই বিষয়েও কথা বলেছিলেন। অভিনেতা এই প্রসঙ্গে জানিয়েছিলেন, তিনি তখন তাঁদের খারাপ লাগার জায়গাটা বুঝতে পেরেছিলেন, তখন তিনি আর তাঁদের বিরোধিতা করেননি। তিনি জানিয়েছিলেন যে, পরিপক্কতা, অভিজ্ঞতার দিক থেকে তিনি তাঁর ছেলেদের থেকে অনেকটা এগিয়ে তাই তিনি কারুর স্বাধীন সিদ্ধান্তেই হস্তক্ষেপ করেননি।
আরও পড়ুন: ভারতে লাইভ কনসার্টের জন্য পর্যাপ্ত পরিকাঠামো নেই! দিলজিৎ বিতর্ক উসকাতেই কড়া জবাব জাভেদের
শত্রুঘ্ন সিনহা তাঁর মেয়ের আন্তঃধর্মীয় বিবাহের প্রতি যে তাঁর পূর্ণ সমর্থন রয়েছে সেই বিষয়টিও স্বীকার করেছিলেন। শত্রুঘ্নের মতে একজন বাবা হিসেবে মেয়ের পাশে দাঁড়ানো তাঁর দায়িত্ব ছিল। তিনি জোর দিয়েছিলেন যে, এটা তাঁর মেয়ের জীবন, তাই সিদ্ধান্তটাও একান্তই তাঁর। যদি সোনাক্ষী এবং ইকবাল তাঁদের পছন্দ নিয়ে আত্মবিশ্বাসী হন, তবে বিরোধিতার কোনও কারণ থাকতে পারে না।