ছেলের হওয়ার পর নিজের ওজন নিয়ে মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন অভিনেত্রী সমীরা রেড্ডি। সেই হতাশার কথা নিজেই জানিয়েছেন অভিনেত্রী। ছেলে হনস জন্মের পর অভিনেত্রীর ওজন গিয়ে দাঁড়িয়েছিল ১০৫ কেজিতে। সেই সময় প্রসবোত্তর হতাশায় নাকি ভুগছিলেন তিনি।এক সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে অভিনেত্রী জানিয়েছেন, সন্তান জন্মানোর পর তাঁর খাবার থেকে ডাইপার বদলানো সমস্ত দায়িত্ব তাঁর স্বামী পালন করতেন। তখন অভিনেত্রীর তাঁর প্রসবোত্তর পরিস্থিতির সঙ্গে মানসিকভাবে লড়াই করছিলেন। তাঁর শাশুরি তাঁকে বলেছিলেন, ‘তোমার সন্তান সুস্থ, তোমার স্বামী সব সময় তোমার পাশে রয়েছে, তোমার আর কী চাই’। যদিও সেই সময় অভিনেত্রীর ওজন ১০৫ কেজিতে গিয়ে ঠেকেছিল এবং ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি-কাজ থেকে এক বছর দূরত্ব, তাঁকে মানসিক হাতাশাগ্রস্ত করে তুলেছিল।এটি একটি ‘গভীর সমস্যা’ বলে বুঝতে পেরে, চিকিৎসকের সহায়তা নেন অভিনেত্রী। ওজনবৃদ্ধি-চুল পড়ে যাওয়া এসব নিয়ে হতাশ ছিলেন তিনি। সন্তান প্রসব থেকে কাজকর্মের থেকে দূরত্ব বজায় সবটাই খুলে বলেন পরামর্শদাতা চিকিৎসককে। ধীরে ধীরে অভিনেত্রী ‘নতুন মানুষ’ হিসেবে মেলে ধরতে শুরু করেন। মানসিক অবসাদ থেকে বেরিয়ে আসতে সক্ষম হন তিনি।সমীরা আরো বলেন, প্রায় ২ বছর সবকিছু থেকে সরে থাকার পর তিনি ফের সোশ্যাল মিডিয়ায় যোগ দেন। তিনি নিজের সমস্যাকে সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে সকলের কাছে তুলে ধরেন। প্রথম প্রথম নানা ভেবে ট্রোলডও হতে হয়েছিল তাঁকে। তবে ধীরে ধীর সেই ব্যাপারগুলোতে কাটিয়ে উঠতে শুরু করেন অভিনেত্রী। এরপর ২০১৮ সালে মেয়ে নাইরাকে গর্ভে ধারণ করেন, তিনি মনে মনে ঠিক করে নেন নিজের সমস্যাকে নিজেই সমাধান করবেন। ৪০ বছর বয়সে দ্বিতীয়বার মা হওয়ার স্বাদ পান অভিনেত্রী। সমীরা ঠিক করেন প্রথম সন্তানের সময় যেগুলো তিনি করতে পারননি, দ্বিতীয়বার সেগুলো উপভোগ করবেন। তিনি মেজাজের পরিবর্তনগুলি সম্পর্কে সৎ ছিলেন এবং আট মাসের অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় জলের নীচে বিকিনি শ্যুট করেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, মহিলারা তাঁকে অনুপ্রেরণা বলে সম্মোধন করেছিল।প্রসঙ্গত, গত মাসে করোনা আক্রান্ত হয়েছিলেন সামীরা-অক্ষয় এবং তাঁদের দুই সন্তান হনস ও নাইরা। এখন তাঁরা সুস্থ আছেন।