
Betvisa
6.88% Weekly Cashback on 2025 IPL Sports
১৬ জানুয়ারি মুম্বইয়ে নিজের বাড়িতে আক্রান্ত হন সইফ আলি খান। চুরি করতে এসে তাঁর উপর ছুরি দিয়ে হামলার ঘটনা এখন সকলেরই জানা। ঘটনার পর ইতিমধ্যেই সুস্থ হয়ে বাড়িও ফিরেছেন সইফ। এদিকে এই হামলা নিয়ে বিভিন্ন সূত্র মারফত নানান কথা উঠে আসছে। তবে ঠিক কী ঘটেছিল সেদিন?
অবশেষে তাঁর উপর হামলার ঘটনায় পুলিশের কাছে নিজের বয়ান রেকর্ড করলেন শর্মিলা পুত্র। ২৩ জানুয়ারি সন্ধ্যেয় সইফ নিজের বক্তব্য পুলিশকে জানান। জানা যাচ্ছে, সইফ মুম্বই পুলিশকে জানিয়েছেন, ঘটনার দিন, সৎগুরু শরণ ভবনের ১১ তলায় তাঁদের শোবার ঘরে ছিলেন করিনা কাপুর খান। তখন তাঁরা তাদের ছোট ছেলে জাহাঙ্গীরের (জেহ) আয়ার চিৎকার শুনতে পান।
ছোট ছেলের চিৎকারে জেগে মিস্টার খান ও মিসেস কাপুর তাঁদের ছেলের ঘরে ছুটে যান। তখন সেখানেই ছিলেন হামলাকারী। আয়া - এলিয়ামা ফিলিপস ভয় পেয়ে চিৎকার করছিলেন, আর জেহ কাঁদছিল।
মি. খান অভিযুক্তকে থামানোর চেষ্টা করেন এবং সক্ষমও হন। তবে ঠিক তখনই সে অভিনেতার পিঠে, ঘাড়ে এবং হাতে বেশ কয়েকবার ছুরিকাঘাত করে। আহত হওয়া সত্ত্বেও, অভিনেতা অনুপ্রবেশকারীকে ঘরের ভেতরে ঠেলে দেন কারণ মিসেস ফিলিপস জেহকে নিয়ে দৌড়ে যান এবং তাকে আটকে রাখেন। অর্থাৎ সাইফ আলি খানের বয়ান অনুসারে তিনি এবং তাঁর পরিবারের সদস্যরা অর্থাৎ স্ত্রী ও অভিনেতা কারিনা কাপুর এবং তাঁদের দুই ছেলে জেহ ও তৈমুর - বাড়িতেই ছিলেনয যখন আক্রমণকারী অ্যাপার্টমেন্টের দ্বাদশ তলার প্রবেশ করে তার উদ্দেশ্যে ছিল চুরি। এদিকে মিসেস ফিলিপসের পুলিশকে আগেই জানিয়েছেন ওই অনুপ্রবেশকারী ১ কোটি টাকা দাবি করেছিল।
ঘটনার রাতে ২টার দিকে মিঃ খানের ছুরিকাঘাতে ফলে ৬টি জায়গায় ক্ষত তৈরি হয়েছিল। যার মধ্যে একটি তার মেরুদণ্ডে ছিল - তাঁকে লীলাবতী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই মেরুদণ্ডের তরল পদার্থ ঠিক করার জন্য অস্ত্রোপচার করা হয় এবং তার বাহু ও কাঁধে প্লাস্টিক সার্জারি হয়।
এদিকে ঘটনার পর সাইফ আলি খানের আক্রমণকারীকে ধরতে মুম্বই পুলিশের কমপক্ষে ২০টি দল তিন দিন ধরে তল্লাশি চালিয়ে অভিযুক্ত হামলাকারী শরিফুল ইসলাম শেহজাদকে গত সপ্তাহে থানে থেকে গ্রেপ্তার করে। NDTV এর প্রতিবেদন অনুসারে গুগল পে লেনদেনের মাধ্যমে একটি পরোটা কিনে প্রাতঃরাশ সেরেছিলেন সইফুল। সেই সূত্র ধরেই পুলিশ তার অবস্থান খুঁজে বের করে।
মুম্বই পুলিশ অভিনেতার বাসভবনের সিঁড়ি, টয়লেটের দরজায় ও তার ছেলে জেহের ঘরের দরজার হাতলে অভিযুক্তের বেশ কয়েকটি আঙুলের ছাপ পেয়েছে - যা মূল্যায়নের জন্য পাঠানো হয়েছে। পুলিশ সূত্রে খবর, ৩০ বছর বয়সী অভিযুক্ত গ্রেফতারের দুই দিন পর অপরাধ স্বীকারও করে বলেছে, ‘হাঁ, ম্যায়নে হি কিয়া হ্যায় (হ্যাঁ, আমি এটা করেছি)’। এদিকে বাংলাদেশ থেকে ধৃত শরিফুলের বাবার দাবি, ‘আমার ছেলেকে ভুলভাবে ধরা হয়েছে।’
6.88% Weekly Cashback on 2025 IPL Sports