গতকাল অর্থাৎ মঙ্গলবার বাংলাদেশের সংবাদপত্রে প্রকাশিত একটি খবর যেন নিমেষে তৈরি করে বিতর্ক। প্রথম আলো এবং দ্য ডেইলি স্টার সহ একাধিক সংবাদমাধ্যম থেকে জানা যায়, বাংলাদেশে প্রায় ধুলিস্যাৎ হওয়ার পথে অস্কার বিজয়ী পরিচালক সত্যজিৎ রায়ের পৈতৃক ভিটে।
যদিও এই প্রথমবার নয়, হাসিনা পরবর্তী সরকার আসার পর কখনও রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের পৈতৃক ভিটে আবার কখনো সুচিত্রা সেনের বাড়ির ওপর কোপ পড়েছে। এবার উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরীর স্মৃতিবিজড়িত বাড়িটি এগিয়ে চলছে ধ্বংসের পথে।
সংবাদমাধ্যম মারফত এই খবরটি ছড়িয়ে পড়ার পর ক্ষুব্ধ একাধিক জনপ্রিয় ব্যক্তিত্ব। ইতিমধ্যেই এই প্রসঙ্গে নিজের মন্তব্য প্রকাশ করেছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পারিবারিক বাড়ি ভেঙে ফেলা প্রসঙ্গে কথা বলেন সত্যজিৎ রায়ের পুত্র সন্দীপ রায়ও। এবার এই প্রসঙ্গে চাঁচাছোলা জবাব দিলেন অভিনেত্রী রূপালি গঙ্গোপাধ্যায়।
আরও পড়ুন: মাত্র ৩৪ বছর বয়সেই হৃদরোগে আক্রান্ত ‘পঞ্চায়েত’ খ্যাত আসিফ, এখন কেমন আছেন তিনি?
আরও পড়ুন: বিনোদন জগতে ফের দুঃসংবাদ! প্রয়াত অভিনেতা তথা প্রযোজক ধীরজ কুমার
রূপালি হিন্দি টেলিদুনিয়ার জনপ্রিয় মুখ হলেও তিনি আদ্যপ্রান্ত একজন বাঙালি। একজন বাঙালি হওয়ার সুবাদে তাই বাংলাদেশের মাটিতে বাংলার অপমান মেনে নিতে পারেননি তিনি। X হ্যান্ডেলে এই ব্যাপারটির তীব্র বিরোধিতা করতে দেখা যায় অভিনেত্রীকে।
রূপালি লেখেন, ‘এই ব্যাপারটা অত্যন্ত জঘন্য এবং ক্ষমার অযোগ্য। মহাম্মদ ইউনুসের বাংলাদেশে ভারতরত্ন সত্যজিৎ রায়ের পৈতৃক ভিটে ভেঙে ফেলা হচ্ছে। তবে এটা শুধুই বাড়ি ভাঙ্গা নয়, এটা ইউনুস সরকারের বার্তা। ওরা শিল্পকে ভয় পায় তাই ঐতিহ্যকে মুছে ফেলতে চায়।’
অভিনেত্রী আরও লেখেন, ‘ওরা সংস্কৃতির পৃষ্ঠপোষক নয়, বরং হিংসাকে এগিয়ে রাখে। সত্যজিৎ রায়ের পৈতৃক ভিটে ভেঙে ফেলার মধ্যেই আরও একবার উন্মোচিত হল ওদের আসল রূপ।’
আরও পড়ুন: এই প্রথম খলনায়িকার চরিত্রে দেখা যাবে অপরাজিতাকে, প্রকাশ্যে এল অভিনেত্রীর 'রাজমাতা' লুক
আরও পড়ুন: চোখের তলায় কালি, অপরিচ্ছন্ন বেশ, স্টার জলসার জনপ্রিয় অভিনেত্রীর এ কী হাল!
তবে বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যম দাবি করেছে, বাড়িতে সামনের অংশ অনেকটাই ভাঙ্গা হয়ে গিয়েছে, তবে আপাতত এই বাড়ি ভাঙ্গার কাজ বন্ধ রাখা হয়েছে। যেহেতু এই বাড়ির সঙ্গে বিশিষ্ট বহু মানুষের স্মৃতি জড়িয়ে রয়েছে তাই আপাতত কাজ বন্ধ রাখা সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
প্রসঙ্গত, ১৯৮৯ সাল থেকে এই বাড়িটি ব্যবহার করা হতো বাংলাদেশ শিশু একাডেমি হিসেবে। ২০০৭ সালের পর থেকে এই বাড়িটি আর ব্যবহার করা হয়নি। জানা গিয়েছে, শিশু একাডেমির তরফ থেকেই এই বাড়িটি ভেঙে বহু দল তৈরি করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সেই পরিকল্পনা অনুযায়ী কাজ শুরু হয়েছিল, যা আপাতত স্থগিত রাখা হয়েছে।