ঋতাভরী চক্রবর্তী, টলিউডের সব থেকে মিষ্টি অভিনেত্রী। ধারাবাহিকের হাত ধরে পথ চলা শুরু হলেও তিনি আজ বড় পর্দার একজন সুপরিচিত মুখ। পেশাগত জীবনের পাশাপাশি ব্যক্তিগত জীবন নিয়েও তিনি সবসময় থাকেন খবরের শিরোনামে। তবে জীবনের ৩৩টি বসন্ত পার করে দেওয়ার পর আবারও কিশোরী জীবনে ফিরে গেলেন তিনি।
সম্প্রতি ঋতাভরী সমাজ মাধ্যমের পাতায় বেশ কিছু অদেখা ছবি পোস্ট করেছেন। এই ছবিগুলির মধ্যে প্রায় সবকটি তাঁর কিশোর জীবনের ছবি। প্রথম দুটি ছবিতেই মেকআপ বিহীন মিষ্টি ঋতাভরীকে দেখতে পেয়েছেন নেট দুনিয়ার বাসিন্দারা। এরপর স্কুল জীবনের এবং বন্ধুদের সঙ্গে তোলা বহু মুহূর্ত তিনি তুলে ধরেছেন পোস্টের মাধ্যমে।
আরও পড়ুন: 'আমার স্নেহের পাত্রী...', যুদ্ধ শেষে ফের দিতিপ্রিয়ার উদ্দেশ্যে পোস্ট জিতুর
আরও পড়ুন: অবশেষে ছাড়পত্র দিল হাইকোর্ট, মুক্তি পেল ‘উদয়পুর ফাইলস’
তবে এর মধ্যেও দু তিনটি ছবিতে দেখতে পাওয়া গিয়েছে অভিনেত্রীর প্রথম অভিনীত ধারাবাহিক ‘ওগো বধূ সুন্দরী’ ধারাবাহিকের মুহূর্ত। ছবিগুলি পোস্ট করে অভিনেত্রী নিজের ফেলে আসা পথের দিকে তাকিয়ে আবেগতাড়িত হয়ে লেখেন কিছু কথা।
ঋতাভরী লেখেন, ‘এক সময় আমি ছিলাম এক স্বপ্ন ভরা কিশোরী। স্বপ্ন ছিল একদিন আকাশে উড়ব, নিজের মতো করে জীবন কাটাব, নিজের বাড়াবাড়ির জন্য কখনও ক্ষমা চাইব না। তারপর একদিন সব কিছু বদলে গেল, আমি হলাম তোমার ললিতা। তোমাদের ভালবাসা আমার জীবনকে করে তুলেছিল এক রূপকথার মতো।’
অভিনেত্রী লেখেন, ‘একটা দিন এমন আছে যখন মনে হয় আমি একটি কাঁচের প্রাসাদে আটকে দিয়েছি, সবাই আমাকে বিচার করতে থাকে। তবুও আমি সবার কাছে কৃতজ্ঞ। একটা সময় আমার নায়িকা ছিলাম আমি, ছোটবেলার আমি। আজও সেই নায়িকা রয়ে গিয়েছে।’
‘ফাটাফাটি’ নায়িকা লেখেন, ‘একটা সময় সমাজের বাধা ভেঙেছে, কাঁচের ছাদ ভেঙেছে, নিজের মতো করে সবকিছুই চলেছে। অবিচার, বিচার সমালোচনা, অপারেশন, শরীর নিয়ে বিদ্রুপ কোনও কিছুই আমাকে ভাঙতে পারেনি। কষ্ট পেয়েছে, কিন্তু ভেঙে পড়েনি।’
আরও পড়ুন: চ্যাট বিতর্কে নতুন চমক! 'মিটিয়ে নিলাম...', ইঙ্গিতপূর্ন পোস্ট দিতিপ্রিয়ার
আরও পড়ুন: স্বামীকে ‘ছাপরি’ বলতেই রেগে কাঁই স্বরা, দিলেন উপযুক্ত শিক্ষা
সবশেষে অভিনেত্রী লেখেন, ‘আমি হার মানি না। হার মানে আমার অভিধানে নেই। তাই আমি কোথাও যাচ্ছি না। আমি ধীরে ধীরে তোমাদের বাঙালি ক্রাশ বা কুইন যাই বলো না কেন হয়েছি। আমি এসব কিছুই গর্বের সঙ্গে গ্রহণ করি। পরের অধ্যায়ের জন্য আমি ভীষণ উচ্ছ্বসিত।’