সাহসী পুলিশ অফিসার হোক বা পত্নিনীষ্ঠ পতিদেব, অথবা বাঙালির পছন্দের গোয়ান্দাচরিত্র যেমন সোনাদা-ফেলুদা-ব্যোমকেশ, প্রায় প্রতিটা চিত্রেই আবির চট্টোপাধ্যায় জিতে নিয়েছেন দর্শকের মন। পুজোতেও মুক্তি পাচ্ছে তাঁর সিনেমা রক্তবীজ ২। এমনিতে বিতর্ক সেভাবে ছুঁতে পারে না ‘ফাটাফাটি’-র নায়ককে। তবে সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে সৃজিতের সঙ্গে ঝগড়া নিয়ে কথা বলতে শোনা গেল আবিরকে।
স্ট্রেট আপ উইথ শ্রী পডকাস্টে কথা প্রসঙ্গে সৃজিতের সঙ্গে হওয়া একসময়ের মতবিরোধ নিয়ে কথা বলতে শোনা যায় আবিরকে। জানা যায়, যা মূলত হয়েছিল রাজকাহিনি ছবির সময়ে। এমনিতে, সৃজিতের একাধিক ছবির অংশ আবির। তবে সেই সৃজিতের সামনেই তাঁর বানানো রাজকাহিনির সমালোচনা করেছিলেন আবির। তাতেই নাকি গোসা হয়েছিল পরিচালকমশাইয়ের।
আবিরের কথায়, ‘ইদানিং আমরা বড় হয়েছি। বুড়ো হয়েছি বলা ভালো। ম্যাচিওর হয়েছি। পরে দরকার হলে আবার ঝগড়া করব। এখন করছি না।’
সৃজিতের তরফ থেকে আসা বাইশে শ্রাবণ ও দ্বিতীয় পুরুষের সূর্য চরিত্রের প্রশংসা করেন আবির। বলেন, তিনি স্ক্রিপ্ট শুনে ভাবেননি কখনো যে এভাবে সূর্য চরিত্র দর্শক মনে ছাপ পেলে যাবে। এমনকী, প্রথমে গেস্ট অ্যাপিয়ারেন্স করতেও চাননি। এসভিএফের কর্নধারের অনুরোধে শেষমেষ রাজি হন।
আবিরের মতে ঝামেলা শুরু হয়েছিল রাজকাহিনি নিয়ে। ‘আমার মনে হয় রাজকাহিনির স্ক্রিপ্ট বুঝতে আমার সমস্যা হয়েছিল। আমি চাইলেই তা এড়াতে পারতাম। আমার ছবিটা ভালো লাগেনি। সেটা নিয়ে আমাদের ঝগড়াটা শুরু হয় প্রথম। ওকে সরাসরিই বলেছিলাম, ভালো লাগেনি ছবিটা।’ আবার আবির জানান যে, তাঁর খুব ভালো লেগেছিল সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের পরিচালনায় তৈরি এক্স = প্রেম। সেটা ফোন করে তিনি জানিয়েওছিলেন। আবিরের মতে, ‘ওটা দেখে আমার মনে হয়েছিল, যেই সৃজিত মুখোপাধ্যায়কে আমি চিনি, সেই সৃজিত মুখোপাধ্যায়কে দেখতে পারছি।’
তবে আবিরের এই সাক্ষাৎকারে স্পষ্ট, মতবিরোধ থাকলেও, মনোমালিন্য নেই। অন্তত কোনো ভুল বোঝাবুঝি অতীতে তৈরি হলেও, তার থেকে বেরিয়ে এসেছেন। তাই খুব স্বাচ্ছন্দ্যেই কথা বলতে পারেন তা নিয়ে।