২০১৫ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘পিকু’ আবার সিনেমাহলে মুক্তি পেতে চলেছে। সিনেমায় মুখ্য ভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন দীপিকা পাড়ুকোন এবং অমিতাভ বচ্চন। পার্শ্ব চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন প্রয়াত অভিনেতা ইরফান খান। ছবিটি বক্স অফিসে ৭৯ কোটি ৭৭ লক্ষ টাকা আয় করেছিল। এবার ছবিটির পুনরায় মুক্তি পাওয়ার কথা শুনে খুব খুশি দর্শকরা।
ছবি প্রসঙ্গে
সিনেমাটি এক বৃদ্ধ বাবা এবং তার মেয়ের গল্প নিয়ে তৈরি করা হয়েছিল। এক বাঙালি মেয়ে কীভাবে তার বৃদ্ধ বাবাকে আগলে রাখে, সেই ছবি দেখানো হয়েছিল এই সিনেমার মাধ্যমে। ছোট বাজেট হলেও কত সুন্দর গল্প বলা যেতে পারে একটি সিনেমার মাধ্যমে, সেটাই দেখিয়েছিলেন সুজিত সরকার। সিনেমার শেষ দৃশ্যে যদি আপনি না কাঁদেন, তাহলে বলতেই হবে সিনেমাটি বুঝতেই পারেননি আপনি।
আরও পড়ুন: 'অপরিণত সমাজে আমরা...', ফুলে বিতর্কে অবশেষে মুখ খুললেন পরিচালক অনন্ত মহাদেবন
আরও পড়ুন: কাকু-কাকিমার সঙ্গে ইস্টার উদযাপন মালতীর, ছবি শেয়ার করে কী লিখলেন প্রিয়াঙ্কা?
সুজিত সরকার পরিচালিত এই সিনেমায় দীপিকার অভিনয় রীতিমতো প্রশংসিত হয়েছিল সকল মহলে। একনজরে দেখলে আপনার মনে হবেই, এ যেন সত্যিই অমিতাভের মেয়ে। কি জীবন্ত অভিনয়! তবে আপনি জানলে অবাক হয়ে যাবেন, দীপিকা নন, সুজিত সরকারের প্রথম পছন্দ ছিলেন অন্য এক অভিনেত্রী।
‘পিকু’ চরিত্রের জন্য সুজিত যাকে প্রথম বেছে নিয়েছিলেন তিনি ছিলেন পরিনীতি চোপড়া। পরিনীতিকে চিত্রনাট্যও শুনিয়েছিলেন সুজিত। পরিচালক চেয়েছিলেন পরিণীতি এই চরিত্রে অভিনয় করুক। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত অভিনেত্রী তখন অন্য একটি প্রজেক্ট নিয়ে ব্যস্ত ছিলেন বলে পরিচালককে মানা করে দেন। খুব স্বাভাবিকভাবেই সিনেমাটি চলে যায় দীপিকার হাতে।
আরও পড়ুন: 'রাত জেগে সৃজিতের...', ‘সত্যি বলে সত্যি কিছু নেই’ দেখে কী লিখলেন তসলিমার?
আরও পড়ুন: ‘কিং’ সিনেমায় নতুন চমক! শাহরুখের সঙ্গে জুটি বাঁধছেন আরশাদ?
পরবর্তীকালে নেহা ধুপিয়া টক শো BFF অনুষ্ঠানে এই সিনেমা নিয়ে কথা বলতে গিয়ে পরিনীতি বলেছিলেন, ‘আমি ছবিটি প্রত্যাখ্যান করিনি। সময় চেয়েছিলাম। অন্য একটি ছবি নিয়ে তখন কথা চলছিল, কিন্তু সেই ছবিটিও আর হয়নি। আমারই ক্ষতি হয়েছিল সবশেষে।’
‘পিকু’ সিনেমার রি-রিলিজ হওয়ার খবর শুনে একদিকে যেমন উচ্ছ্বসিত আমিতাভ-দীপিকা, ঠিক তেমনই অন্যদিকে প্রয়াত অভিনেতা ইরফান খানের কথা মনে করে ভারাক্রান্ত হয়ে পড়েন দুজনেই। ছবির পোস্টার শেয়ার করে ইরফানকে স্মরণ করেন অমিতাভ এবং দীপিকা দুজনেই।