‘সর্দার কা গ্র্যান্ডসন’ ছবিতে অভিনেতা অর্জুন কাপুরের ঠাকুমার চরিত্রে অভিনয় করেন অভিনেত্রী নীনা গুপ্তা। বছর ৬২-র এই অভিনেত্রী ছবিতে ৯০ বছরের ঠোঁটকাটা বৃদ্ধার চরিত্রে অভিনয় করেছেন। যা দেখে তাঁর স্বামী বিবেক মেহেরার কি প্রতিক্রিয়া ছিল, সদ্য এক সাক্ষাৎকারে সেই গল্পই ফাঁস করছেন নীনা।সাক্ষাৎকারে অভিনেত্রী জানিয়েছেন, প্রথমে ছবি করতে রাজি হননি তিনি। তাঁর ম্যানেজার ছবির স্ক্রিপ্ট সম্পর্কে তাঁকে জানানোর পর ছবি করতে রাজি করেন। এরপরই সিদ্ধান্ত বদল করে ছবি করতে রাজি হন তিনি। সেই সময় একবার ছবিতে নিজের চরিত্রের ছবি স্বামী বিবেককে দেখিয়ে, চমকে দিয়েছিলেন অভিনেত্রী। সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে নীনা আরো জানিয়েছেন, ‘আমি ভুলে গিয়েছিলাম আমি বৃদ্ধার ভূমিকায় অভিনয় করেছি। আমি বিবেককে ছবি দেখাতেই ও বলে ওঠে, ‘আরে, তোমার চেহারার সঙ্গে কি হয়েছে?’ আমি বলি, ‘যতই হোক, আমি তো অভিনেত্রী’। বহু বিতর্ক পেরিয়ে ২০০৮ সালে চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট বিবেক মেহরাকে বিয়ে করেন নীনা গুপ্তা। প্রায় ২০ বছর আগে বিবেক মেহরার সঙ্গে প্রথম দেখা নীনার। একসঙ্গে পথচলার দু-দশক উদযাপন করে সামাজিক মাধ্যমে ছবি পোস্ট করেছিলেন ‘বধাই হো’ তারকা। একই সাক্ষাৎকারে অভিনেত্রী জানিয়েছিলেন, তিনি ৬০ হোক বা ৯০ যে কোনো বয়সের চরিত্রে অভিনয় করতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন। তবে পরিচালক কাশভি নেওয়ারকে তাঁর প্রশ্ন ছিল, কেন ৯০ বছর বয়সী কোনো ব্যক্তিকে সেই চরিত্রের জন্য নির্বাচন করেননি তিনি। উত্তরে পরিচালক জানিয়েছিলেন, ৯০ বছর বয়সী কেউ দীর্ঘক্ষণ শ্যুটিং করতে পারবেন না। তবে তাঁরা প্রতিদিন ১৫-১৬ ঘণ্টা প্রচণ্ড ঠান্ডার মধ্যে শ্যুটিং করতেন।‘বাধাই হো’ অভিনেত্রী আরো জানিেয়েছেন, এটা তাঁর জীবনের অন্যতম কঠিন চরিত্র ছিল। ১৮ মে নেটফ্লিক্সে স্ট্রিমিং 'সর্দার কা গ্র্যান্ডসন'-এর। ছবিতে অর্জুন -নীনা ছাড়াও রয়েছে জন আব্রাহাম, অদিতি রাও হায়দারি, রাকুল প্রীত সিং, কানওয়ালজিৎ। ছবি পরিচালনার দায়িত্বে রয়েছেন নবাগত পরিচালক কাসভি নেওয়ার।