অনস্ক্রিন চরিত্রটি পর্দায় সঠিকভাবে ফুটিয়ে তুলতে, যে কোনও সীমা অতিক্রম করতে পারেন এই মানুষটা। অভিনেতা হিসেবে হয়তো আন্ডাররেটেড। তবে পেয়েছেন জাতীয় পুরস্কার। একজন প্রতিভাবান অভিনেতা এবং চলচ্চিত্র নির্মাতা ছাড়াও তাঁর আরেক পরিচয় তিনি ভারতীয় সেনাবাহিনীতেও কাজ করেছেন।
১৯৯১ সালের অ্যাকশন ড্রামা ফিল্ম প্রহার: দ্য ফাইনাল অ্যাটাক-এর পরিচালক ছিলেন তিনি। যে ছবিতে কাজ করেন মাধুরী দিক্ষীতও। ভারতীয় সেনাবাহিনীর বীরত্ব ও সাহসিকতার প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে এই ছবিটি তৈরি করা হয়। আর সেখানে এই অভিনেতা মারাঠা লাইট ইনফ্যান্ট্রির মেজর প্রতাপ চৌহানের চরিত্রটিকে সঠিকভাবে ফুটিয়ে তুলতে ৩ বছর সেনা প্রশিক্ষণ নেন। এতক্ষণে নিশ্চয়ই বুঝে গিয়েছেন মানুষটির নাম নানা পাটেকর।
আরও পড়ুন: নায়িকা যখন নেত্রী! লোকসভা সদস্য হিসাবে সাদা শাড়ি আর ব্লাউজে শপথ নিলেন কঙ্গনা
সম্প্রতি The Lalllantop-এর সঙ্গে একটি সাক্ষাত্কারে, নানাকে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে ১৯৯৯ সালে হওয়া কার্গিল যুদ্ধের সময় সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হয়। ‘আমি কুইক রিঅ্যাকশন টিমের একজন সদস্য ছিলাম। এটুকু তো আমরা করতেই পারি দেশের জন্য।’, বলতে শোনা গিয়েছিল তাঁকে এপিসোডের প্রোমোতে।
আরও পড়ুন: ‘রবীন্দ্র সংগীতের অপমৃত্যু’! চুল নাচিয়ে রক স্টাইলে ‘আমরা সবাই রাজা’ গাইলেন রূপম, বিতর্ক নেটপাড়ায়
১৯৯৯ সালের একটি রিপোর্ট অনুসারে, ৭৩ বছর বয়সী অভিনেতা সৈন্যদের সঙ্গে ১৫ দিনের বেশি সময় ধরে বসবাস করেছিবেন। আনঅফিসিয়াল চিয়ারলিডার হিসেবে ঘুরেছেন একাধিক সেনা পোস্টিং ক্যাম্পে। অভিনেতাকে কার্গিল যুদ্ধের সময় বলতে শোনা গিয়েছিল, ‘আমাদের সবচেয়ে বড় অস্ত্র বোফর্স বা একে নয়, আমাদের জওয়ানরা।’
আরও পড়ুন: ‘কথা’ সুস্মিতার প্রেমে বিচ্ছেদ, সোনিকার মৃত্যুর পর সাহেব কি বিয়ের কথা ভাবছেন?
প্রোমোতে নানা পাটেকরকে প্রশ্ন করতে দেখা যায় তিনি রাজনীতিতে যোগ দেওয়ার কথা ভাবছেন কি না, বা এরকম কোনও প্রস্তাব তাঁর কাছে এসছে কি না! যাতে প্রবীন অভিনেতার জবাব ছিল, ‘আমি এর অংশ হতে পারব না, কারণ আমি মুখে যা আসে, তাই বলি। এবারও আমাকে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল (রাজনীতিতে আসা নিয়ে)। কিন্তু আমি যদি দলীয় প্রধানকেই পাগল বলি, তাহলে তিনি আমাকে দল থেকে বের করে দিতে পারেন।’