বর্তমানে স্যোশাল মিডিয়ায় চোখ রাখলেই সেলিব্রিটি ও ইনফ্লুয়েন্সারদের আড়ম্বরপূর্ণ জীবনযাপনের ছবি চোখে পড়ে। আর তা দেখে নতুন প্রজন্মের ছেলে-মেয়েরা প্রভাবিত হয়। সেলিব্রিটি ও ইনফ্লুয়েন্সারদের মতো করেই তারা জীবন যাপন করতে চায়। কিন্তু এই ঝাঁ চকচকে জীবনযাত্রার আড়ালে লুকিয়ে থাকে ঘোর বাস্তবতা। লারা দত্ত এবার সেলিব্রিটি ও ইনফ্লুয়েন্সারদের সেই জীবনযাপনের পিছনে লুকিয়ে থাকা বাস্তবতা নিয়ে মুখ খুলেছেন। বিশেষ করে তরুণ প্রজন্মকে জানানোর জন্যই তিনি এই বিষয়ে আলোচনা করেছেন। অভিনেত্রীর কথায় ‘এটা বাস্তবতা নয়’।
কুইনি সিং'স বিউটি বাই BiE পডকাস্টের এই প্রসঙ্গে কথা বলেছেন অভিনেত্রী। তিনি বলেছিলেন, ‘আমি কেবল নতুন প্রজন্মকে জানাতে চাই যে আপনারা যে গ্ল্যামারেস বিষয়টি দেখেন, তারকাদের প্রতিনিয়ত নতুন পোশাক বা নতুন নতুন জিনিস ব্যবহার করতে দেখেন তার বেশির ভাগের উপরই আমাদের নিজেদের মালিকানা থাকে না। প্রতিটি অনুষ্ঠানে, প্রতিটি অ্যাওয়ার্ড প্রোগ্রামে, বড় বড় বিয়েবাড়িতে অভিনেতা-অভিনেত্রী যা যা পরে সেজে আসেন। তাঁর বেশির ভাগটাই হয় ধার করা। ডিজাইনার পোশাক থেকে চুলের স্টাইল, মেকআপ, এর গয়না ৯৯ শতাংশই হয় ধার করা, এগুলো নিজের হয়না, সেদিনের অনুষ্ঠান শেষ হয়ে গেলে এগুলো সব ফিরে যায়। সুতরাং, এটা বাস্তবতা নয়…। এখানে অনেক ফিল্টার থাকে।’
আরও পড়ুন: পাশে ছিল না বাবা, মা একা বড় করেছে শাহিদকে! ছোট বয়স থেকে কাজ করা নিয়ে মুখ খুললেন নায়ক
কিন্তু তারকাদের এই ঝাঁ চকচকে জীবনযাপন নতুন প্রজন্মের উপর বিরাট ভাবে মানসিক প্রভাব ফেলে। তাঁরাও তারকাদের মতোই জীবন চায়। এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমি আমার ভাগ্নিদের এই বিষয় নিয়ে বুঝিয়েছি... আর শুধু মেয়েরাই নয়, ছেলেরাও বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়ায় এইসব দেখে প্রভাবিত হচ্ছে। বর্তমান প্রজন্ম নিজেদের সত্ত্বাকে ভুলে যাচ্ছে, অন্যের মতো হয়ে উঠতে চেষ্টা করছে। আর এই ব্যাপারটা যেন বিপ্লবের মতো ছড়িয়ে পড়ছে। আর তা মোটেই ভালো কথা নয়। যাতে সমাজমাধ্যমে তাঁদের কোনও খুঁত ধরা না পরে তাঁর জন্য তাঁরা প্রচুর ফিল্টার ব্যবহার করছে। তবে আমাদের সন্তানদের আরও শক্তিশালী ও উন্নত করতে হবে। তাঁরা কে এবং তাঁদের মূল্য কী? তা তাঁদের আরও ভালো করে বোঝাতে হবে।’