
Betvisa
6.88% Weekly Cashback on 2025 IPL Sports
শাহিদ কাপুর ২০০৩ সালের ইশক ভিশক ছবির হাত ধরে বি-টাউনে পা রাখেন। প্রধান চরিত্রে তাঁকে দেখা যায়। কিন্তু অভিনেতা পঙ্কজ কাপুর এবং নীলিমা আজিমের ছেলে হওয়া সত্ত্বেও নিজেকে একজন বহিরাগত বলেই মনে করেন শাহিদ। কারণ ইন্ড্রাস্টিতে তাঁকে অনেক কষ্ট করে একটা জায়গা তৈরি করতে হয়েছে। মায়ের সঙ্গে ডিভোর্সের পর আর সেভাবে পাশে পাননি বাবাকে। সবটা নিয়ে সম্প্রতি মুখ খুলেছেন শাহিদ।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে শাহিদ তাঁর কেরিয়ারের শুরুর দিকের লড়াই এবং তাঁর মায়ের সঙ্গে তাঁর আত্মিক বন্ধনের বিষয়ে নানা কথা ভাগ করে নিয়েছেন। শহিদ জানিয়েছেন যে, তাঁর বাবা পঙ্কজ কাপুরের সঙ্গে তাঁর মায়ের বিবাহ বিচ্ছেদের পর তাঁর মা তাঁকে একা বড় করেন। মায়েই এই লড়াই তাঁকে অল্প বয়সে কাজ শুরু করতে অনুপ্রাণিত করেছিল। শাহিদের জন্মের সময় নীলিমার বয়স ছিল মাত্র ২২।
শাহিদের কথায়, ‘আমার মা যখন আমার জন্ম দিয়েছিলেন তখন তাঁর বয়স অনেক কম ছিল। তাই মায়ের সঙ্গে আমার সম্পর্ক বন্ধুর মতোই। আমার মা যেখানেই যেতেন সেখানেই আমাকে নিয়ে যেতেন। কিন্তু আমি আমার মায়ের বড় ছেলে তাই কোথাও গিয়ে আমার মনে হত আমাকে অনেকটা দায়িত্ব নিতে হবে। বড় হওয়ার সময় আমি আমার বাবাকে পাশে পাইনি। আমি জানতাম মায়ের পর আমি যাকে বাড়ির দায়িত্ব নিতে হবে, কিন্তু আমার সাহস ছিল।’
ছবিতে কাজ করার আগে শাহিদ ১৮ বছর বয়সে একটি মিউজিক ভিডিয়োয় কাজ করেন, তাছাড়াও বিজ্ঞাপনে কাজ করেন, ঐশ্বর্য রাই বচ্চনের ‘তাল’ ছবিতে ব্যাকগ্রাউন্ড ড্যান্সার হিসাবে কাজ করেছিলেন। এই প্রসঙ্গে নায়ক বলেন, ‘যেহেতু আমার বাবা- মা দুজনেই সুপার অ্যাচিভার ছিলেন, আমি শুধু নিজেকে প্রমাণ করতে চেয়েছিলাম এবং জীবনে উল্লেখযোগ্য কিছু করতে চেয়েছিলাম। আমি আমার জীবন নষ্ট করতে চাইনি।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমার মা একা আমার সব দায়িত্ব সামলে ছিলেন। তাই আমার মাথায় একটাই কথা ছিল, ‘আমাকে অর্থ উপার্জন শুরু করতে হবে। আমি আমার মায়ের পাশে দাঁড়াতে চাই।’ আমি চেয়েছিলাম বেশি কিছু না, যদি কিছু কাজ করে নিজের খরচটুকু নিজে চালিয়ে নেওয়া যায়, তাতে মায়ের কিছুটা চাপ কমবে।’
আরও পড়ুন: দেবের 'রঘু ডাকাত'-এ এন্ট্রি সোহিনীর, সঙ্গে থাকবেন ‘কিশোরী’ ইধিকাও! প্রকাশ্যে ছবি
শাহিদ জানান যে তাঁর বাবা একজন অভিনেতা হওয়া সত্ত্বেও তার অভিনয় ক্যারিয়ারে বাবার কোনও অবদান নেই। নায়কের কথায়, ‘অনেক মানুষ মনে করে যে আমি অভিনেতা হয়েছি কারণ আমার বাবা একজন অভিনেতা তাই, কিন্তু তা নয়। হ্যাঁ, তিনি একজন অভিনেতা, কিন্তু তিনি কখনওই আমার সঙ্গে থাকেননি। আমি অভিনয় জগতে চেষ্টা করতে চেয়েছিলাম, কিন্তু সেখানেই যে কাজ করব কখনওই তা জানতাম না।’
ইশক ভিশকের পরে, ২০০৬ সালে মুক্তি পাওয়া 'বিবাহ' ছিল শাহিদের জীবনের মোর ঘুরিয়ে দেওয়া ছবি। তবে এই ছবির আগে পর পর শাহিদের তিনটি ছবি বক্স অফিসে মুখ থুপড়ে পড়েছিল। তারপর তিনি ‘জব উই মেট’, ‘হায়দার’-সহ একাধিক হিট ছবি উপহার দিয়েছেন নায়ক। শুক্রবার তাঁর অ্যাকশন- থ্রিলার 'দেবা' মুক্তি পেয়েছে।
6.88% Weekly Cashback on 2025 IPL Sports