কুমার শানুর পরকীয়া নিয়ে একটা সময় বলিউডে কম চর্চা হয়নি। নব্বইয়ের দশকে সিনেপাড়ার ওপেন সিক্রেট ছিল কুমার শানু-কুনিকার প্রেম। হালে সেই প্রেম নিয়ে খোলাখুলি কথা বলে চর্চায় উঠে আসেন অভিনেত্রী কুনিকা সদানন্দ। আপতত দর্শক তাঁকে দেখছে বিগ বসের ঘরে।
আশির দশকের মাঝামাঝি সময়ে রীতা ভট্টাচার্যর সঙ্গে সাত পাক ঘুরেছিলেন কুমার শানু। তখনও তাঁর জীবনে ফেম আসেনি। পরবর্তীতে একাধিক নারীর সঙ্গে নাম জড়ায় বাঙালি গায়কের। রীতার সঙ্গে কুমার শানুর বিয়ে টেকেনি। সেই বিয়ে ভাঙার কারণ হিসাবে বলা হয় মীনাক্ষী শেষাদ্রির সঙ্গে শানুর ঘনিষ্ঠতা। তবে মীনাক্ষী একা নন। পরবর্তীতে কুনিকার সঙ্গে সম্পর্কে জড়ান শানু, তাঁরা রীতিমতো সহবাস করতেন।
এখন, অভিনেত্রীর ছেলে অয়ন লাল মায়ের সঙ্গে তাঁর প্রাক্তনের সম্পর্কে ‘বিষাক্ত’ বলে অভিহিত করলেন। এক সাক্ষাৎকারে অয়ন স্পষ্ট করে দিয়েছিলেন যে তাঁর মা শানুকে আজও গভীরভাবে শ্রদ্ধা করেন শিল্পী হিসাবে, যদিও তাদের ব্যক্তিগত সম্পর্ক দীর্ঘদিন আগেই শেষ হয়ে গেছে।
সিদ্ধার্থ কাননের সাথে একটি সাক্ষাত্কারে অয়ন বলেছেন, তাঁর জন্ম কুনিকা-শানুর সম্পর্কের পাঠ চুকে যাওয়ার অনেক বছর পড়ে, সুতরাং শানুর সঙ্গে কখনই সাক্ষাৎ হয়নি তাঁর। প্রেমে না থাকলেও কুনিকা শানুর কাজের প্রশংসা আজও করেন, মানতে দ্বিধাবোধ করেননি কুনিকা পুত্র। তিনি তাঁর শিল্পসত্ত্বাকে সত্যিকার অর্থে ভালোবাসেন। অয়ন বলেন,'মা আর ওই লোকটিকে ভালোবাসে না, আমি কথা জোর দিয়ে বলতে পারি। এবং আমার মা আবেগী নন। এটা কোনও অহংবোধের বিষয় নয়। আমি যখন তাঁকে গুগল করে কুমার শানুর সম্পর্কে জিজ্ঞাসা মা'কে করি, তখন তিনি বলেছিলেন, ‘উনি আমার জীবনের খুব গুরুত্বপূর্ণ মানুষ ছিলেন। আমি তাঁকে আত্মার সঙ্গী হিসাবে দেখতাম এবং প্রত্যেকেরই জীবনে একবার এই ধরণের ভালবাসা অনুভব করা উচিত। তবে সেটা বিষাক্ত ছিল। খুব, খুব বিষাক্ত’।
অয়ন জানান, কুনিকা জানিয়েছিলেন যে রোম্যান্সটি প্রায় ছয় বছর টিকে ছিল, এবং শানু বিবাহিত থাকায় নিজেদের সম্পর্ককে গোপন রেখেছিলেন তাঁরা। অয়ন বলেন, বেদনাদায়ক হলেও সম্পর্কটি এমন একটি চিহ্ন রেখে গেছে, যা থেকে মা ও ছেলে উভয়ই সুস্থ হয়ে উঠছেন। অয়ন আরও যোগ করেছেন মায়ের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক খুবই মজবুত এবং বন্ধুত্বপূর্ণ। মায়ের বয়ফ্রেন্ড সম্পর্কে সবটাই তিনি জানেন, তাঁর গার্লফ্রেন্ডদেরও মা চেনেন ভালো করেই।
নব্বইয়ের দশকে ক্রান্তিবীর এবং দিলওয়ালের মতো ছবিতে অভিনয় করে স্বীকৃতি অর্জন করেছিলেন কুনিকা। অভিনয়ের পাশাপাশি তিনি একজন প্রশিক্ষিত আইনজীবী এবং নারী এবং তৃতীয় লিঙ্গের মানুষের অধিকার নিয়ে তাঁর লড়াই কারুর অজানা নয়।