বিয়ের মাস ঘুরতে না ঘুরতেই মাকে হারালেন কৌশাম্বি চক্রবর্তী। মে মাসেই সাতপাকে বাঁধা পড়েন মিঠাই ধারাবাহিক খ্যাত আদৃত রায়ের সঙ্গে। সেই ধারাবাহিকের হাত ধরেই তাঁদের সম্পর্কের সূত্রপাত। এদিকে বিয়ের মাস ঘুরতে না ঘুরতেই অভিনেত্রীর মা চলে গেলেন। তাঁর বাবাও ক্যানসারের সঙ্গে লড়াই করছেন। এর মধ্যে মাকে হারিয়ে তিনি যেন দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। লেখেন একটি বেদনাময় পোস্ট। এরপর তাঁর ফ্যান পেজের তরফে তাঁর এবং তাঁর মায়ের বেশ কিছু ছবি প্রকাশ্যে আনা হয়।
আরও পড়ুন: বিয়ের মাস ঘুরতে না ঘুরতেই প্রিয়জনকে হারালেন কৌশাম্বি, কার জন্য লিখলেন, 'আমায় এবার কে বুঝবে...'?
আরও পড়ুন: 'কার পাকা ধানে মই দিলাম?' সাইবার ক্রাইমের শিকার শ্রীলেখা! কী ঘটেছে?
কৌশাম্বি চক্রবর্তী এবং তাঁর মায়ের ছবি
এদিন কৌশাম্বি চক্রবর্তীর ফ্যান পেজের তরফে তাঁর এবং তাঁর মায়ের একাধিক ছবি পোস্ট করা হয়। সেখানে কোনও ছবিতে দেখা যাচ্ছে তাঁরা বিমানবন্দরের গেটের সামনে হাসিমুখে ছবি তুলেছেন। কোনও ছবিতে তাঁদের রিসেপশনের মুহূর্ত, কোনটায় আবার হোলির কোনও মুহূর্ত ধরা পড়েছে।
এই ছবিগুলো পোস্ট করে অভিনেত্রীর ফ্যান পেজের তরফে লেখা হয়, 'গোটা একটা রাত পেরিয়ে গেল কিন্তু আমি এখনও বিষয়টা মেনে নিতে পারছি না। এখনও মনে হচ্ছে এটা স্বপ্ন কিছুটা সময়ের পর ভেঙে যাবে। কিন্তু না এরকম ভাবেই দিন, রাত, বছর পেরিয়ে যাবে মানুষটা আর ফিরে আসবে না। এই তো সেদিন তার ছোট মেয়েটাকে একজন যোগ্য ছেলের হাতে তুলে দিল বাকিটা জীবন সুন্দর করে তার সাথে কাটাতে। নিজে সুন্দর করে মেয়ের বিয়ের সকল নিয়মগুলো পালন করল। মেয়ের জামাইকে না, যেন নিজের ছেলেকে হাতে ধরে গাড়ি থেকে নামিয়ে আনা থেকে বিয়ে অবধি সম্পূর্ণ সবটা নিজ হাতে করল সেই মানুষটা নাকি আর পৃথিবীতেই নেই। কেন এভাবে আপনজনগুলোকে ছেড়ে এত দূরে যেতে হয়?' একই সঙ্গে আরও লেখা হয়, 'কালকে দির পোস্ট করা ছবিটা দেখে আমি এক মুহূর্তের জন্যও ভাবিনি যে আন্টির কিছু হয়েছে। আমার গা শিউরে উঠছিল প্রতিটা লাইন পড়ে। আমার শুধু আন্টির সেই হাসিমুখটাই চোখের সামনে বারবার ভেসে উঠছে। এই হাসিমুখটাই বাকিটা জীবন মনে থাকবে।'
আরও পড়ুন: মিথ্যে বলে চৈতালির সঙ্গে রূপঙ্করের বিয়ে দেন গায়কের শ্যালকরা! ২৫ বছর পর কোন সত্য প্রকাশ্যে এল?
মাকে হারিয়ে কী লিখেছিলেন কৌশাম্বি?
মাকে হারানোর পর একটা যন্ত্রণাদায়ক পোস্ট করেন কৌশাম্বি চক্রবর্তী। সেখানে তিনি লেখেন 'ও মা চলে গেলে আমাদের ছেড়ে? আমি কী করব এবার মা? কে বুঝবে আমায় তোমার মতো করে? কার কাছে আবদার করব, কার কাছে সব গল্প করব? কার সাথ ঝগড়া করব? সব করেছ সবার জন্য। নিজের জন্য কখনও ভাবনি। এবার রিটায়ার করার পর কত্ত প্ল্যান করলে। বললে টিউশন করাবে, আবৃত্তি শেখাবে, চুলে রং করাবে মাসে মাসে। কই কিছুই তো করলে না। কাউকে এক ফোঁটা সময়ও দিলে না মা। তবে যেখানে আছ ভালো থেকো, যা ইচ্ছে ছিল সব পূরণ করো। আমরা সবাই তোমায় খুব খুব মিস করব। আর এটা জানব যে তুমি সবসময় আছ আমাদের সঙ্গে। আমি তোমায় ভালোবাসি মা। তুমি একজন প্রকৃত ফাইটার মা।'