কঙ্গনা রানাওয়াতের আসন্ন ছবি ‘এমার্জেন্সি’ মুক্তির পর থেকেই রয়েছে চর্চায়। এই ছবি ঘোষণার সময় শুধুমাত্র মোদী-সমর্থক হিসাবেই সীমাবদ্ধ ছিল কঙ্গনার পরিচয়, তবে এখন তিনি বিজেপির সাংসদ। স্বভাবতই ছবি ঘিরে বিতর্কের শেষ নেই। ভারতের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর রাজনৈতিক জীবনের সবচেয়ে বিতর্কিত অধ্যায় উঠে এসেছে এই ছবিতে। যেখানে কঙ্গনা শুধু লিড তারকা নন, ছবির প্রযোজক এবং পরিচালকও বটে। আরও পড়ুন-‘ইন্দিরাই ইন্ডিয়া…’, ইন্দিরা গান্ধীর জমানার ‘অন্ধকার ইতিহাস’ নিয়ে পর্দায় কঙ্গনা, রইল এমার্জেন্সির ট্রেলার
সম্প্রতি নিজের সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডেলে পোস্ট করা একটি ভিডিওতে কঙ্গনা প্রকাশ করেছেন যে তাঁর পরিচালিত এই ছবি এখনও সেন্সর বোর্ডের তরফে সবুজ সংকেত পায়নি। সেন্সর সার্টিফিকেটের অপেক্ষায় অভিনেত্রী-পরিচালক।
ছবির সমস্যা নিয়ে কথা বলতে গিয়ে কঙ্গনা ভিডিয়ো বার্তায় বলেন, ‘অনেক ধরণের গুজব ছড়িয়েছে যে আমার ফিল্ম এমার্জেন্সি সেন্সর সার্টিফিকেট পেয়ে গেছে। এটি সত্য নয়। আমাদের ছবিটি সিবিএফসির তরফে প্রাথমিকভাবে ছাড়পত্র পেলেও সেন্সর সার্টিফিকেট আটকে দেওয়া হয়েছে, কারণ সেন্সর বোর্ডের সদস্যদের প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হচ্ছে, সেই কারণে শংসাপত্রটি বিলম্বিত হচ্ছে’।
'দেশের এই অবস্থার জন্য দুঃখিত',
কঙ্গনা বলেন তাঁদের উপরও অনেকরকম চাপ রয়েছে যাতে ইতিহাসের সত্য আখ্যান পর্দায় তুলে না ধরা হয়। তিনি বলেন, ‘আমাদের উপর চাপ সৃষ্টি করেছে যাতে মিসেস ইন্দিরা গান্ধীর হত্যা, ভিন্দ্রাওয়ালে হত্যাকাণ্ড এবং পাঞ্জাব দাঙ্গা ছবিতে চিত্রিত না করা হয়। ফলে প্রশ্ন জাগে- ছবিতে আসলে কী দেখাতে পারব? …. এটা আমার জন্য অবিশ্বাস্য সময় এবং এই দেশের অবস্থার জন্য আমি খুবই দুঃখিত।’
কঙ্গনা ছাড়াও 'এমার্জেন্সি'তে অভিনয় করেছেন অনুপম খের, মহিমা চৌধুরী, মিলিন্দ সোমান, শ্রেয়স তালপাড়ে, বিষক নায়ার এবং প্রয়াত সতীশ কৌশিক।
'গণতান্ত্রিক ভারতের অন্ধকারতম সময়ের' হিসাবে এমার্জেন্সি পিরিয়ডকে তুলে ধরা হয়েছে এই ছবিতে। ১৯৭৫ সালের জুন মাসে দেশে জরুরি অবস্থার ঘোষণা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী, একটানা ২১ মাস দেশে জরুরি অবস্থা জারি ছিল। বলা হয়, কুর্সি বাঁচাতে গণতন্ত্রকে গলা টিপে হত্যা করেন নেহেরু কন্যা। সেই বিতর্কিত অধ্যায়ই এবার রুপোলি পর্দায়। চলতি বছর ৬ সেপ্টেম্বর বিশ্বব্যাপী প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেতে চলেছে এমার্জেন্সি। কঙ্গনা আগেই স্পষ্ট করেছেন এই ছবি ইন্দিরা গান্ধীর বায়োপিক নয়।