রিঙ্কু মজুমদার বৈশাখের সন্ধ্যায় দিলীপ ঘোষের জীবনে এনেছেন অকাল বসন্ত। ৬১-তে সাতপাকে বাঁধা পড়েছেন বিজেপি নেতা। এখন তাঁর এই বিয়েই চর্চার কেন্দ্রে। বিনোদন জগত থেকে রাজনৈতিক মহল সবাই দিলীপের বিয়ে নিয়ে নানা কথা ভাগ করে নিচ্ছেন। বাদ জাননি বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায় ও শোভন চট্টপাধ্যায়ও।
২০২২ সালে প্রাক্তন স্বামী মনোজিতের থেকে ডিভোর্স নিয়েছিলেন বৈশাখী। বর্তমানে শোভনের নামেই সিঁদুর দিয়ে সিঁথি রাঙান বৈশাখী। হাতে শাখা-পলা সহ সধবা নারীর সবরকম চিহ্ন তাঁর শরীরে বর্তমান। শোভনের গোলপার্কের বহুতলেই একসঙ্গে রয়েছেন তাঁরা বেশকিছু বছর ধরে। তবে এই সবটা নিয়ে তাঁদের নানা কটাক্ষের শিকারও হতে হয়েছে। রাজনৈতিক মহলের অনেকেই তাঁদের বাক্যবাণে বিদ্ধ করে এসেছেন। এর ব্যতিক্রম ছিলেন না দিলীপ ঘোষও। তিনিও শোভন-বৈশাখীকে ‘ডাল-ভাত’ বলতেন। কিন্তু এবার সেই তিনি কিনা বিয়ের পিঁড়িতে বসলেন। আর তা দেখেই পুরনো বিতর্ক উস্কে দিলেন বৈশাখী।
আরও পড়ুন: ৬১-তে বিয়ের পিঁড়িতে দিলীপ! 'এখনও যুবক…', বললেন বঙ্গ বিজেপির গুরুত্বপূর্ণ মুখ রূপা গঙ্গোপাধ্যায়
নিউজ ১৮ বাংলাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এই প্রসঙ্গে বৈশাখী বললেন, ‘তিনি এতদিন আমাকে আর শোভনকে দেখে 'ডাল-ভাত', 'ডাল-ভাত’ বলে আক্ষেপ করতেন। এবার ভাতেরও ডাল জুটেছে, তার জন্য ওঁকে শুভেচ্ছা জানাই। তবে আশা করব এতদিন তিনি একজন মায়ের সন্তান হয়েও, মহিলাদেরকে সম্মান জানিয়ে চলেননি। এখন বৈশাখে অকাল বসন্ত এসেছে ওঁর জীবনে, আমি আশা করব যে একজন নারীর আগমনে, ওঁর পরিবর্তন আসবে। তিনি যখন একজনকে বাড়িতে এনেছেন, তিনি হিন্দু ধর্ম নিয়ে এত কথা বলেন, সেভাবে দেখতে গেলে তো বাড়িতে লক্ষ্মী এসেছেন। সেই লক্ষ্মী যেন অনাদৃত না হন।'
অন্যদিকে, শোভন বলেন, ‘বেশি বয়স বা কম বয়স বলে কোনও বিষয় নয়৷ বিয়ে যে কোনও সময়ে হতে পারে, উনি অবিবাহিত ছিলেন, বিয়ে করছেন, তাঁদের নিজস্ব ব্যাপার৷’ পাশাপাশি শোভন তাঁর ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরে বলেন, ‘এই যে খেলার মাঠে গিয়ে দেখা হয়েছে, মর্নিং ওয়াকে দেখা হয়েছে এসব বলার কী দরকার৷ আমাদের সম্পর্ক নিয়ে তো আমি সবটা বোল্ডলি ফেস করেছি৷ বহু টানাপোড়েন, ভালোবাসা, চক্রান্ত সবকিছু পারাপার করে আমরা এখনও পর্যন্ত একসঙ্গে। ভবিষ্যতেও আমি বিশ্বাস করি, এভাবেই থাকব, আমাদের নির্দিষ্ট দিকে৷’
আরও পড়ুন: দিপীলের বউ দেখে বিয়ের ইচ্ছে প্রকাশ করলেন রুদ্রনীল, কেমন মেয়ে চান নিজের জন্য?
প্রসঙ্গত, তবে খাতায় কলমে এখনও ডিভোর্স হয়নি শোভন চট্টোপাধ্যায় ও তাঁর স্ত্রী রত্নার। আর তা না হওয়া অবধি শোভন আর বৈশাখীর সম্পর্ককে ‘সহবাস’-ই বলা চলে। যদিও বৈশাখী জানান, ‘সহবাস’ বা ‘সহযাপন’ কথাটার মধ্যে মাধুর্যই পান তিনি। তিনি মনে করেন তাঁদের ‘সহবাস’-এ কোনও বাধ্যবাধকতা নেই এই ধারণা পুরোপুরি ভুল। শোভনের উপর বহু বাধ্যবাধ্যকতা চাপান তিনি, যদিও সেটা পুরোটাই শারীরিক স্বাস্থ্য নিয়ে।
উল্লেখ্য, এপ্রিলের ১৮-তে গাঁটছড়া বাঁধলেন দিলীপ। তাঁর স্ত্রী রিঙ্কু হলেন বিজেপির মহিলা মোর্চার নেত্রী। তাঁর সঙ্গে শুক্রবার গোধূলি লগ্নে বিয়ে সারেন নেতা। বিয়েতে তেমন কোনও আড়ম্বরের ছোঁয়া ছিল না। বর এবং কনেপক্ষ মিলিয়ে নিমন্ত্রিতের সংখ্যা ৪০ জন। দিলীপ ঘোষের রাজারহাটের বাড়িতেই চার হাত এক হয়।