সিরিজ: ডিটেকটিভ চারুলতা
অভিনয়ে: সুরঙ্গনা বন্দ্যোপাধ্যায়, অনুজয় চট্টোপাধ্যায়, মল্লিকা মজুমদার, দেবমাল্য গুপ্ত, চৈতি ঘোষাল, মানস মুখোপাধ্যায়
পরিচালনা: জয়দীপ বন্দ্যোপাধ্যায়
রেটিং: ৩/৫
সদ্যই স্ট্রিম শুরু হয়েছে নতুন বাংলা সিরিজ ডিটেকটিভ চারুলতার। ক্লিক অরিজিন্যাসে দেখা যাচ্ছে এই সিরিজ। সুরঙ্গনা বন্দ্যোপাধ্যায় অভিনীত এই গোয়েন্দা সিরিজ কেমন হল জানাচ্ছে হিন্দুস্তান টাইমস বাংলা।
কী নিয়ে ডিটেকটিভ চারুলতার গল্প আবর্তিত?
চারুলতা মিত্র (সুরঙ্গনা বন্দ্যোপাধ্যায়) এবং তার ভাই খুড়তুতো ভাই তপু (দেবমাল্য গুপ্ত) সাধারণ কিছু কেস সলভ করে কলকাতা পুলিশকে সাহায্য করে। পুলিশের দ্বারা মগজ খাটিয়ে যে কেস সলভ হয় না সেটা সহজেই প্রখর বুদ্ধি আর চোখ কান খোলা রেখে ধরে ফেলে, বুঝে ফেলে চারু। সে তার একটি গোয়েন্দা এজেন্সি খোলে, নাম রাখে ডিটেকটিভ চারুলতা। তপু ছাড়াও একজন সহকর্মী রাখে, নাম ম্যাডি। সাধারণ কেস সমাধান করতে করতেই চারুলতা ডাক পায় ব্ল্যাক ম্যাজিক করে খ্যাতি অর্জন করা মিসেস পরমা সেনের (চৈতি ঘোষাল) থেকে যিনি জানিয়ে দেন তিনি কবে কখন মারা যাবেন। আর সেই ভবিষ্যদ্বাণী সত্যি করে সত্যিই মারা যান তিনি। একই সময় শহরে পরপর বেশ কিছু খুন হয়। আপাত দৃষ্টিতে মিল না থাকলেও মৃতদের পেশা এবং খুনের ভিত্তি এক। কী? বাংলা রহস্য সাহিত্য। এমন অবস্থায় চারুলতা কী ভাবে সেই কেস সলভ করে, কেই বা আসল খুনি, তাকে কীভাবে ধরা হয় সেটা নিয়ে এই সিরিজ।
আরও পড়ুন: 'স্বর্গের সিঁড়ি ধরার সহজ রাস্তা', এক রাতে এক কেজি কমাবে! ফুলকির প্রতিজ্ঞায় হেসে খুন নেটপাড়া
আরও পড়ুন: প্রথম দিনের নিরিখে জাটকে ছাপিয়ে গেল কেশরী চ্যাপ্টার ২! বিশ্বজুড়ে কত আয় করল অক্ষয়ের ছবি?
কেমন লাগল ডিটেকটিভ চারুলতা?
সংলাপ থেকে চরিত্রের নামকরণ কিংবা ওই আগে বলা খুনের ধরন সবই বাংলা সাহিত্য মূলত ফেলুদার থেকে অনুপ্রাণিত হয়েই বানানো এবং শ্রদ্ধা জানানো হয়েছে। চারুলতার ভূমিকায় সুরঙ্গনা বন্দ্যোপাধ্যায় যথাযথ। সিধু দি তথা পুলিশ অফিসারের চরিত্রে মল্লিকা মজুমদার বরাবরের মতোই দাপুটে অভিনেত্রীর ছাপ রাখলেন। তবে এই সিরিজে সবথেকে বেশি নজর কেড়েছেন অনুজয় চট্টোপাধ্যায়। তিনি লজ্জার মতো সিরিজে পার্থর চরিত্রে যেখানে মানুষের মনে বিরক্তি তৈরি করেছেন, রাগ জন্মিয়েছে তাঁর অভিনয় দেখে তেমনি যাহা বলিব সত্য বলিবতে দাপুটে পুলিশ অফিসারের চরিত্র ফুটিয়ে তুলেছেন তেমনি এখানে বোকাসোকা অথচ সরল মনের পুলিশ অফিসারের চরিত্রটাকেও কিন্তু একদম নিপাট ভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন।
তবুও দক্ষ অভিনেতারা থাকলেও গোটা সিরিজটাই যেন জমতে গিয়েও জমলো না। সেই অর্থে ছিল না কোনও টানটান রহস্য বা চমক। সবটা যেন বড্ড বেশিই প্রেডিকটেবল। তবে একবার দেখার জন্য মন্দ নয়। বিশেষ করে কিশোর, কিশোরীদের ভালো লাগতে পারে।
আরও পড়ুন: ‘বিয়ের কোনও নির্দিষ্ট বয়স নেই’, মত উষসীর! দিলীপ-রিঙ্কুর 'শুভ দিনে' কী বললেন 'জুন আন্টি'?
তবে এই সিরিজের যেটা না বললেই নয়, সেটা হল আবহ সঙ্গীত এবং আমি অপার হয়ে বসে আছি গানটিকে একেবারে অন্যভাবে ব্যবহার করা। ফলে এই উইকেন্ডে এই ওয়ান টাইম ওয়াচ সিরিজটি দেখাই যায়।