ভারতের ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি অন্যতম বড় ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি গোটা বিশ্বে। গোটা দেশ জুড়ে তামিল, তেলেগু, হিন্দি, বাংলা, মারাঠি, উড়িয়া-সহ একাধিক ভাষায় তৈরি হয় ছবি। চীন, নাইজেরিয়া, আফগানিস্তান, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মতো দেশেও জনপ্রিয় ভারতের সিনেমা। আসুন দেখে নেওয়া যাক শীর্ষে থাকা ৭ জন সর্বোচ্চ পারিশ্রমিকপ্রাপ্ত ভারতীয় পরিচালকের নাম-
এসএস রাজামৌলি: সর্বাধিক আয়কারী ভারতীয় সিনেমার পরিচালক হলেন এসএস রাজামৌলি। তিনিই অস্কারজয়ী আরআরআর, বাহুবলী ১ এবং ২-এর পিছনে থাকা মানুষ। আইএমডিবি অনুসারে, তিনি প্রতি ছবি বানাতে ২০০ কোটি টাকা নিয়ে থাকেন।
সন্দীপ রেড্ডি ভাঙ্গা: ভারতীয় চলচ্চিত্র পরিচালক, চিত্রনাট্যকার এবং সম্পাদক সন্দীপ রেড্ডি ভাঙ্গা আলোড়ন ফেলে দিয়েছিলেন অর্জুন রেড্ডি ও কবীর সিং, অ্যানিম্যালের মতো সিনেমা দিয়ে। প্রতিবেদন অনুসারে, তিনি প্রতি সিনেমার জন্য। ১০০-১৫০ কোটি টাকা নেন।
অ্যাটলি: শাহরুখ খানের জওয়ান সিনেমার মাধ্যমে বিশাল সাফল্য এনে দেওয়া এই পরিচালক এখন সর্বোচ্চ আয়কারী ভারতীয় চলচ্চিত্র পরিচালকদের একজন। জওয়ান ২০২৩ সালের সর্বোচ্চ আয়কারী সিনেমা ছিল, বিশ্বব্যাপী ১১০০ কোটি টাকারও বেশি আয় করে ছবিটি। তিনি বেবি জন, বিগিল-এর জন্যও কাজ করেছেন। প্রতিবেদন অনুসারে, তার পারিশ্রমিকও ৩০ কোটি টাকা থেকে বেড়ে ১০০ কোটি টাকা হয়েছে।
প্রশান্ত নীল: কেজিএফ ১ ও ২ এবং সালার: পার্ট ১- সিজফায়ারের পেছনের মানুষ হলেন প্রশান্ত নীল। জানা গিয়েছে, তিনি প্রতি ছবি থেকে ১০০ কোটি টাকা আয় করেন।
রাজকুমার হিরানি: ২০০৩ সালে সঞ্জয় দত্তের মুন্না ভাই এমবিবিএস সিনেমার মাধ্যমে পরিচালনায় হাতেখড়ি হয় রাজকুমার হিরানির। পরবর্তীতে তিনি লাগে রাহো মুন্না ভাই, থ্রি ইডিয়টস, পিকে, সঞ্জু এবং সম্প্রতি ডানকি সিনেমা পরিচালনা করেন। তিনি প্রতি ছবি থেকে প্রায় ৮০ কোটি টাকা পারিশ্রমিক নেন।
সুকুমার: সর্বকালের সর্বোচ্চ আয়কারী ভারতীয় ছবি পুষ্প ১ এবং পুষ্প ২-এর বিশাল সাফল্যের পেছনে ছিলেন এই মনুষট। তিনি প্রতি ছবি থেকে ৭৫ কোটি টাকা পারিশ্রমিক নিয়ে থাকেন বলেই জানানো হয়েছে আইএমডিবি-র রিপোর্টে।
সঞ্জয় লীলা বনশালি: সিনেমা এবং পিরিয়ড ড্রামাকে এক নতুন উচ্চতায় নিয়ে গিয়েছেন সঞ্জয় লীলা বনশালি। গুজারিশ, সাওয়ারিয়া, গোলিওঁ কি রাসলীলা রাম-লীলা, বাজিরাও মাস্তানি, গাঙ্গুবাই কাঠিয়াওয়াড়ি এবং হীরামান্ডির মতো সিনেমা বানিয়েছেন। সঞ্জয় প্রতি সিনেমা থেকে ৫৫-৬৫ কোটি টাকা আয় করেন।