আটপৌরে করে শাড়ি পরে রয়েছেন তাঁর মা, মাথা থেকে পিঠ পর্যন্ত নেমে এসেছে ঘন চুল। একেবারেই ছাপোষা সাজ। কোলে তাঁর ছোট্ট শিশুটির গলায় মালা, কপালে চন্দন, মাথায় টোপর। খুব সম্ভবত শিশুটির মুখে ভাতের দিন ছবিটি তোলা হয়েছিল।
১১ মে, রবিবার মাতৃদিবসে মায়ের সঙ্গে ছোটবেলার এই ছবিটি পোস্ট করেছেন টলিপাড়ার জনপ্রিয় অভিনেতা। ছবির ক্যাপশানে তিনি লিখেছেন, ‘Always with me..I know…Maa’। তুমি সবসময় আমার সঙ্গে আছো মা, আমি জানি। ছবিটি দেখে চিনতে পারছেন ইনি কে?
চিনতে না পারলে কিছুটা ইঙ্গিত দিয়ে বলতে পারি, বাংলা টেলিভিশনের জনপ্রিয় অভিনেতা তিনি। অভিনয় করেছে বহু টেলি ধারাবাহিকে। তিনি 'আলো', 'টক্কর, 'জয় বাবা লোকনাথ', 'শ্রীকৃষ্ণভক্ত মীরা', 'বাজলো তোমার আলোর বেণু', 'জন্মভূমি', 'এক আকাশের নিচে', 'সোনার হরিণ', 'মা... তোমায় ছাড়া ঘুম আসেনা', 'অগ্নিপরীক্ষা', 'ইষ্টি কুটুম', 'ভক্তের ভগবান শ্রীকৃষ্ণ', 'বিন্নি ধানের খই', 'পটল কুমার গানওয়ালা', 'করুণাময়ী রাণী রাসমণি' সহ বিভিন্ন টেলিভিশন ধারাবাহিক ও সিনেমায় অভিনয় করেছেন।
ব্যক্তিগত জীবনে দু'বার সাতপাকে বাঁধা পড়লেও দুই ক্ষেত্রেই দাম্পত্য জীবন সুখের হয়নি তাঁর। তিক্ততা নিয়ে ভেঙে গিয়েছিল দুই বিয়েই। ২০০৬-এ প্লাবনী মুখোপাধ্যায় নামে টলিগঞ্জের এক বাসিন্দাকে বিয়ে করেছিলেন তিনি। তবে তিক্ততা নিয়েই ভেঙেছিল সেই বিয়ে। দ্বিতীয়বার উত্তম কুমারের নাতনিকে বিয়ে করেন তিনি। তবে সেই বিয়েও সুখের হয়নি, ভেঙে যায়।
হ্য়াঁ, এবার ঠিকই বুঝেছেন। অভিনেতা ভাস্বর চট্টোপাধ্যায়ের কথাই বলছিলাম।
তবে এই প্রথম নয়, এর আগেও মাকে নিয়ে আবেগঘন পোস্ট করেছেন ভাস্বর চট্টোপাধ্যায়। এর আগে ২০২২-এর মাতৃদিবসে একটি আবেগঘন পোস্টে ভাস্বর লিখেছিলেন 'মাকে নিয়ে লেখার তো অনেক কিছু আছে।মা ভাল রান্না করতে পারত,ভাল গান গাইত,ভীষন disciplined ছিল,অসম্ভব সময় জ্ঞান ছিল,কথা দিয়ে কথা রাখত। কিন্তু মা এর অনেক গল্প ছিল যে গুলো অনেকেই জানে না। মায়ের থেকেই শোনা।
আমার বাবার সাথে বিয়ে হওয়ার আগে,তখন যেমন নিয়ম ছিল,মা কে অনেক ছেলের বাড়ির লোক দেখতে এসেছিল।কেউ পণ চাইতো তো কেউ মেয়ে বড্ড রোগা বলে চলে যেত।কেউ কেউ,মানে মহিলারাই মায়ের হাতের চামড়া ঘষে দেখত যে মা কোনো প্রসাধন এর সাহায্যে সুন্দর সুশ্রী সেজে বসে আছে কিনা। মা কে এসব অপমান দিনের পর দিন সহ্য করতে হয়েছে।
বিয়ের পরেও কিছু আত্মীয় মায়ের গায়ের রং নিয়ে হেয় করেছে।আমার বাবার পাশে মা কে মানায় না সেটাও বোঝানো হয়েছে।আমি জন্মাবার সময় বলা হয়েছে ছেলে যেন ফরসা হয় as if এটাও মায়ের হাতে। আমিন্ রেগে যেতাম শুনে কিন্তু মা বলত আমি কোনোদিন গায়ে মাখলাম না,তুই মাখছিস কেন। Mother’s Day মানে তো একপ্রকার নারী দিবস-মেয়েদের অবস্থা সেই একই রয়েছে।
কদিন আগে একটি মেয়ের সাথে কথা হল,বয়স ২০, বিবাহিতা। তার শ্বশুরবাড়ির আপত্তি তার লেখা পড়া করা নিয়ে,তাই তাকে জোরে Tv চালিয়ে পড়তে হয় যাতে কেউ বুঝতে না পারে। হায়রে দুনিয়া'।