গত বৃহস্পতিবার ময়দান থানা এলাকায় একটি ঘোড়ার মৃত্যুকে কেন্দ্র করে সরব হয়ে উঠেছিল পশুপ্রেমী সংগঠনগুলি। এবার ঘোড়ার মৃত্যুর ঘটনায় অজ্ঞাতপরিচয় মালিকের বিরুদ্ধে থানায় গাফিলতির অভিযোগ এফআইআর দায়ের করল পশুপ্রেমী সংগঠন ‘পেটা’। ঘোড়ার মালিকের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ এনেছে সংগঠনটি। তার ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
আরও পড়ুন: কলকাতায় পার্কের রেলিংয়ে বিদ্ধ হয়ে মৃত্যু হল ঘোড়ার
জানা গিয়েছে, ময়দানে ঘোড়াটিকে অসুস্থ অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেছিলেন সংগঠনের সদস্যরা। তাঁরা ঘোড়ার মালিককে না পেয়ে পশুটিকে উদ্ধার করে পশু চিকিৎসালয়ে নিয়ে যান। কিন্তু, ঘোড়াটিকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি। সংগঠনের অভিযোগ, ঘোড়াটিকে খাবার ও জল ছাড়াই ফেলে রাখা হয়েছিল।
পেটার একজন সদস্য বলেন, ডিহাইড্রেশনে ভুগছিল অপ্রাপ্তবয়স্ক ঘোড়াটি। সেটি উঠে দাঁড়াতে পারছিল না। এমনকী পিছনের অঙ্গগুলিও নাড়াতে পারছিল না। একজন পশু চিকিৎসক পরীক্ষা জানতে পারেন, ঘোড়ার মেরুদণ্ডে আঘাত ছিল। মনে হচ্ছে, কোনও ভারি জিনিস দিয়ে পিঠে আঘাত করা হয়েছিল। জরুরি চিকিৎসা করার পরেও ঘোড়াটি আঘাতের কারণে মারা যায়। সংগঠনের অভিযোগ, অত্যাচার এবং অবহেলার কারণে ঘোড়াটি অসুস্থ হয়ে পড়েছিল।
সংগঠনের সদস্যদের দাবি, শহরে অনেক ঘোড়া রক্তাল্পতা, অপুষ্টি, অতিরিক্ত খাটানোর ফলে যন্ত্রণাদায়ক পরিস্থিতিতে ভোগে। অনেক ক্ষেত্রে ময়দানে ঘুরে ঘোড়াগুলিও অসুস্থ বা অপুষ্টিতে ভোগে অথবা স্বাস্থ্যকর খাবার এবং বিশ্রামের অভাবে ঠিকমতো দাঁড়াতে পারে না।
এর আগে পশুদের প্রতি এই নিষ্ঠুরতা রুখতে গ্রীষ্মে কলকাতা পুলিশ বিকেলে ময়দান এলাকায় ঘোড়ার গাড়ি চলাচল বন্ধ করে দেয়। পুলিশ জানিয়েছে, গরমের হাত থেকে বাঁচতে ঘোড়ার গাড়ি চালকদের কেবল সন্ধ্যায় চালানোর জন্য বলা হয়েছে।
ময়দান থানার এক পুলিশ অফিসার জানিয়েছেন, ঘোড়ার মৃত্যুর ঘটনায় পশুদের প্রতি অবহেলা এবং নিষ্ঠুরতার অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। ঘোড়ার মালিককে এখনও শনাক্ত করা যায়নি। এ নিয়ে তদন্ত করা হচ্ছে।সম্প্রতি ভবানীপুর থানায় একই ধরণের অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। একটি ভিডিয়ো সামনে আসে যেখানে দেখা যায় , একটি ঘোড়া গাড়ি টানার সময় রাস্তায় পড়ে যায়। আর ঘোড়ার মালিক দড়ি দিয়ে টেনে ঘোড়াটিকে দাঁড় করানোর চেষ্টা করছেন।