জেনেলিয়া ডি'সুজা মারাঠি ছবি বেদ-এর মাধ্যমে অভিনয়ে ফিরে আসেন, যা দ্বিতীয় সর্বোচ্চ আয়কারী মারাঠি ছবি হয়ে ওঠে।
জেনেলিয়া দেখমুখ
দীর্ঘ ১০ বছরের অপেক্ষা। অবশেষে মাতৃত্বকালীন সময় কাটিয়ে ২০২২-এ স্বামী রীতেশ দেশমুখের সঙ্গে মারাঠি ছবি ‘বেদ’ দিয়ে আরও একবার সিনেমার পর্দায় ফিরেছেন জেনেলিয়া ডি'সুজা/দেশমুখ। সাইরাতের পর এটিই দ্বিতীয় সর্বোচ্চ আয়কারী মারাঠি ছবি হয়ে ওঠে। সম্প্রতি এলে ইমপ্যাক্টে নারী ক্ষমতায়ন বিষয়ক একটি প্যানেল আলোচনায় অংশ নিয়েছিলেন জেনেলিয়া। সেখানে বিস্ফোরক অভিনেত্রী জানিয়েছেন, ১০ বছর ছুটির পর পর্দার ফিরে আসার ক্ষেত্রে তাঁকে কীভাবে নিরুৎসাহিত করা হয়েছিল।
জেনেলিয়া দেশমুখ
জেনেলিয়া বলেন যে তিনি সাফল্য বা ব্যর্থতাকে খুব বেশি গুরুত্ব দেন না। তাঁর কথায়, ‘সাফল্য ও ব্যর্থতা আমাদের জীবনের একটি অংশ। আমার মনে হয় আমরা আমাদের সাফল্যকে খুব বেশি প্রচার করি এবং ব্যর্থতার উপর একটু বেশি জোর দিই, যেখানে আপনার দৈনন্দিন জীবনের প্রভাব এবং উদ্দেশ্যই আসলে গুরুত্বপূর্ণ। আমি একজন অভিনেতা হিসেবে ৬টি ভাষায় কাজ করেছি। আমার সন্তান হওয়ার কারণে বিরতি নিয়েছিলাম। আমার মনে আছে লোকজন আমাকে বলত, ওহ, তুমি ১০ বছর পর সিনেমায় ফিরতে চাও? কোনও লাভ হবে না। তবে আমার প্রত্যাবর্তনকারী এই ছবিটিই একটি কাল্ট হিট হয়ে ওঠে। তাই আমার মনে হয়, লোকের কথা শোনা উচিত নয়।’
জেনেলিয়া আরও বলেন, ‘এই দশ বছর ধরে, আমি নিজের এবং বাচ্চাদের উপর মনোযোগ দিয়েছি। আমার মনে আছে, রীতেশ আমাকে বলেছিল যে আমাদের বাচ্চাদের স্বাবলম্বী করে তুলতে হবে। প্রোটিন ও আমিষ খাবারে অভ্যস্ত মানুষ হিসেবে আমি এর সঙ্গে লড়াই করেছি। সেখান থেকেই ইমাজিনের (রীতেশ-জেনেলিয়ার নিরামিষাশী খাবারের ব্র্যান্ড) জন্ম। এটা সেই ব্যক্তির জন্য - যাঁরা সপ্তাহে পাঁচ দিন মাংস খান কিন্তু সপ্তাহে দুবার স্বাস্থ্যসম্মত খাবারের বিকল্প বেছে নেন। এমনকি নিরামিষ খাবারের ক্ষেত্রেও, আমাদের কাছে প্রোটিন গ্রহণের জন্য খুব কমই বিকল্প রয়েছে। এই কারণেই রীতেশ এবং আমি এই বিকল্প তৈরি করতে পেরেছি।’
প্রসঙ্গত, ইমাজিন মিটস হল জেনেলিয়া এবং রীতেশ দেশমুখের একটি উদ্ভিদ-ভিত্তিক মাংসের উদ্যোগ। ‘যেটি কিনা এমন একটি জগৎ তৈরি করে যেখানে স্বাস্থ্যকর এবং সচেতন খাদ্যাভ্যাস তৈরি করা হয়।'
জেনেলিয়াকে পরবর্তীতে আমির খানের বিপরীতে ‘সিতারে জমিন পর’ ছবিতে দেখা যাবে। ছবিটি স্প্যানিশ ছবি ‘চ্যাম্পিয়ন্স’ অবলম্বনে তৈরি এবং ‘তারে জমিন পার’-এর সিক্যুয়েল।
ছবিটি সম্পর্কে বলতে গিয়ে আমির দ্য হলিউড রিপোর্টার ইন্ডিয়াকে বলেন, ‘এটি একটা সুন্দর গল্প। আসলে, আমি এটাকে সবচেয়ে সহজে বলতে পারি যে, তারে জমিন পর। এটা একটি অত্যন্ত আবেগঘন ছবি যা আপনাদের কাঁদাবে। অন্যদিকে সীতারে জমিন পর, আপনাকে হাসাতে বাধ্য করবে। এটি একটি হাস্যরসাত্মক ছবি। থিমটি একই রকম, বিভিন্ন ক্ষমতা, বিভিন্ন বুদ্ধিমত্তা বা বিভিন্ন চ্যালেঞ্জের মানুষদের ঘিরে তৈরি। কিন্তু এবার এটা কান্নার পরিবর্তে হাসাবে।’