বলিউডের পরিচালক-কোরিওগ্রাফার ফারাহ খান, সম্প্রতি হিন্দুদের অন্যতম প্রিয় উৎসব দোল নিয়ে করে বসেন বেফাঁস মন্তব্য। যাতে রীতিমতো বিরক্ত আমজনতা। সেলেব্রিটি মাস্টার শেফে-র জন্য স্প্রতি হোলি স্পেশাল এপিসোডের শ্যুট করেন ফারহা। আর সেখানেই মন্তব্য করে বসেন যে, হোলি ছাপরিদর প্রিয় উৎসব।
তিনি বলেন, 'ছাপরি লোগো কা ফেভারিট ফেস্টিভ্যাল হোতা হ্যায় হোলি। তবে ফারহা খানের এই মন্তব্য মোটেও ভালোভাবে নেয়নি সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারীরা। এমনকী, কেউ কেউ তাঁর ধর্ম নিয়েও আক্রমণ করেছেন এই কারণে।
রেডিটে এক ব্যবহারকারী প্রশ্ন করেন, ফারহা খান কি কখনও ইদ নিয়ে এমন কিছু বলবেন? ‘কোনো কারণঁ ছাড়াই এই ধরনের কথা, খারাপ রুচির পরিচয়। হিন্দু উৎসবকে অবজ্ঞা করা একটি নিয়মে পরিণত হয়েছে, বিশেষ করে উঠতি তারকারা আজকাল এসব বেশি করে করছে।’
দেখুন:
সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারীরা কীভাবে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন:
ফারহা খানের মন্তব্যে বেশ কয়েকজন সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারী ক্ষুব্ধ হয়েছেন। রীতিমতো তুলোধনা করা হল পরিচালক-কোরিওগ্রাফারকে। সমালোচকরা চোখে আঙুলদিয়ে দেখালেন যে, হোলি বিশ্বব্যাপী উদযাপিত হয়, বিশ্বব্যাপী পর্যটকদের আকর্ষণ করে।
‘আমরা যদি ইদ বা অন্য কোনো মুসলিম উৎসব নিয়ে এসব বলি, আপনার কেমন লাগত। তখন সেটা আপত্তিকর মনে হত না?’
আরেকজন লিখলেন, ‘মুখ খুললেই নর্দমা। জঘন্য। আরও একবার বাজে কথা বলে নিজেকে কমেডিয়ান প্রমাণ করার চেষ্টা’।
তৃতীয়জন লেখেন, ‘সময় রায়না আর রণবীর এলাহাবাদিয়ার দলে না লেখানোর শখ হয়েছে আসলে।’
‘হোলি একটি পবিত্র উৎসব, এমনকিী ভগবান কৃষ্ণ এবং দেবী রাধাও হোলি খেলতেন, এত আধুনিক হবেন না যে আপনাকে বোকা দেখায়। ভারতে বাস করা এবং ভারতীয় উৎসবের প্রতি শ্রদ্ধা না করার জন্য আপনার লজ্জা পাওয়া উচিত’, লেখেন চতুর্থ জন।
তবে কিছু সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারকারী, বিশেষ করে হিন্দু নারীরা আবার ফারহা খানের সমর্থনে এগিয়ে এসেছেন। দোল উৎসব উদযাপনের সময় রিপোর্ট হওয়া একাধিক গণ হয়রানির ঘটনাগুলি তুলে ধরেন তাঁরা। একজন লেখেন, ‘তিনি উৎসব বা ধর্মের নিন্দা করছেন না। তিনি সেই পুরুষদের কথা বলছেন যারা হোলিকে অজুহাত হিসাবে ব্যবহার করে মহিলাদেরকে হেনস্থা / শ্লীলতাহানি করে।’
অপরজনের মন্তব্য, ‘একজন নারী ও ধর্মপ্রাণ হিন্দু হিসেবে আমি ফারহার পক্ষ নিতে চাই। আমরা সকলেই জানি যে একজন মহিলা হোলির দিন কী কী পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়েছিলেন। হিন্দু-মুসলমানের নয় ব্যাপারটা, আসলে এটা নারী নিরাপত্তাজনিত বিষয়। পার্থক্যটা বুঝুন প্লিজ।’