পরবর্তী খবর
'আমার আগেও ঘাটালের অনেক সাংসদ ছিলেন, কিন্তু আমায় গালাগালি খেতেই হবে', মাস্টারপ্ল্যান নিয়ে আবেগপ্রবণ দেব
1 মিনিটে পড়ুন . Updated: 22 Jul 2025, 09:59 PM IST
Share 
বাংলা নিউজ > বায়োস্কোপ > 'আমার আগেও ঘাটালের অনেক সাংসদ ছিলেন, কিন্তু আমায় গালাগালি খেতেই হবে', মাস্টারপ্ল্যান নিয়ে আবেগপ্রবণ দেব
Share
মঙ্গলবার হঠাৎই দিলীপ ঘোষ নিশানা করেন সাংসদ দেবকে। ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান নিয়ে রীতিমতো খোঁচা দেন নায়ককে। দিলীপের মতে নানা চাপের মুখে পড়েই দেব বাধ্য হচ্ছেন বার বার ভোটে দাঁড়াতে। আর সন্ধ্যায় এই ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান নিয়ে মুখ খুললেন দেব। জানালেন রাজনীতি তাঁর ভালো লাগে না তেমনটা নয়। তবে দিলীপ ঘোষের মন্তব্যের পাল্টা জবাবেই যে এমনটা বলেছেন নায়ক তা খানিকটা আঁচ করা যায়। যদিও সাংসাদ অভিনেতা কোথাও দিলীপের নামও নেননি, বা বলেননি এই মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতেই তিনি এমনটা বলছেন।
আরও পড়ুন: দেবকে ব্ল্যাকমেল করে রাজনীতি করাচ্ছে তৃণমূল, বিস্ফোরক দিলীপ
ঠিক কী বলেছেন দেব?
দ্য ওয়ালকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে অভিনেতা বলেন, ‘স্যোশাল মিডিয়াতে ট্রোল হচ্ছে দেখে কষ্ট হয়। এত পরিশ্রম করছি। ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান বরাদ্দ করালাম। আমি তো একমাত্র সাংসদ ছিলাম না ঘাটালের। আমার আগে অনেক বড় বড় নেতারা, যাঁরা রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন তাঁরা সাংসদ ছিলেন বহু বছর ধরে।’
তারপর দেব তাঁর রাজনীতির কেরিয়ারের ওঠা পড়া নিয়ে বলেন, ‘আমি করলাম, আমি ছেড়ে দিলাম। আবার আমাকে নিয়ে আসা হল। দিদিকে বলেছিলাম এই শর্তে যদি হয়, দিদি সঙ্গে সঙ্গে হ্যাঁ বললেন। ৭০০ কোটি টাকা স্যাংশন হয়েছে। তারপরও লোকে আমাকে ট্রোল করে। তবে আমার এগুলো অভ্যাস হয়ে গিয়েছে।’
আরও পড়ুন: ফের তৃণমূলে যোগ দিলেন রূপাঞ্জনা! 'মনে হচ্ছে স্বর্গ…' , ঘর ওয়াপসি পর বললেন নায়িকা
কিন্তু তিনি আদৌও রাজনীতির অংশ হতে চান কি, নাকি চাপের মুখে তাঁকে রাজনীতিতে থাকতে হচ্ছে? এই প্রসঙ্গে দেব বলেন, ‘২০২৪-এর পর আমি এটা বলতে পারব না যে আমার রাজনীতি ভালো লাগে না। ২০২৪-এর আগে বলতে পারতাম। মানুষ এনেছেন। একটা ২০০০ কোটি টাকার প্রকল্প। সেটা বরাদ্দ হয়ে বসে আছে। পাঁচ বছর পর কমপ্লিট হয়ে যাবে, কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে। আমার মনে হবে, অন্তত কিছু তো করতে পারলাম। তাই আর ওই লাইনটা বলতে ভালো লাগছে না। আমার মনে হয় এবার কিছু একটা কাজ করলাম। মানুষ এখন বুঝতে পারবে না। কিন্তু কাজ যেদিন শেষ হবে বুঝবেন। আমাদের ঘাটালের ভৌগলিক অবস্থানটা এমনই জল জমে গেলে বেরোনোর রাস্তা নেই। জল তো কলকাতা-বম্বেতেও জমে। কারণ বেশি জল হলে, জল তো জমেই যায়। কিন্তু এখানে বেরোনোর রাস্তা আছে। কিন্তু ঘাটালের ক্ষেত্রে অন্যান্য রাজ্যে যতক্ষণ না জল কমবে, বা অন্যান্য রাজ্যে বাঁধ খুলবে ততক্ষণ জল যাওয়ার রাস্তা নেই। তাই জল জমবেই। কিন্তু এই কাজটা হলে সেই জলটা একদিন বা দু’দিনে নেমে যাবে। মাসের পর মাস যে জল জমে থাকে সেটা হবে না বলেই মনে হয়। সেটার জন্য তো অপেক্ষা করতে হবে। যত দিন না হচ্ছে তত দিন আমাকে গালি খেতে হবে।' এই বন্যা পরিস্থিতিতে নায়ক সেখানে যাবেন বলেও জানিয়েছেন।'
