স্বাধীনতা দিবস মানেই পতাকা উত্তোলন এবং তার সঙ্গে একের পর এক দেশপ্রেমের গান। সে স্কুল কলেজের অনুষ্ঠান হোক বা পাড়ার অনুষ্ঠান। দেশপ্রেমের গান বাজবেই। আজ নিশ্চয় আপনার ছুটি, কিংবা অফিস আছে? বেশ তো কাজ করতে করতে নাহয় দেশপ্রেমের এই গানেই মন ভরিয়ে তুলুন।মুক্তির মন্দিরমোহিনী চৌধুরী লেখা এই গান আজও গায়ে কাঁটা দেওয়ায়। এক ঝলকে ফিরিয়ে নিয়ে যায় অতীতে, মনে করিয়ে দেয় স্বাধীনতা সংগ্রামীদের কথা। যাঁরা হাসতে হাসতে দেশের জন্য প্রাণ দিয়েছিলেন তাঁদের কথাই বলে এই গান। একবার বিদায় দে মা‘সুভাষ চন্দ্র’ ছবির গান এটি। ক্ষুদিরাম বসুর কণ্ঠে সেখানে শোনানো হয়েছিল এই গান। আঠারো বছরের এক যুবক তাঁর মা, তথা দেশ মায়ের কাছে ফাঁসির আগে এই গানেই বিদায় নিয়েছিল ছবিতে। গানটি আজও মনকে ভারাক্রান্ত করে তোলে। আহ্বান শোনো আহ্বানসলিল চৌধুরীর লেখা এবং মান্না দে এবং সবিতা চৌধুরীর গাওয়া এই গান দেশের জন্য লড়াই করার ডাক দেয়। স্বাধীনতা দিবসে দেশপ্রেমকে আরও একটু জাগ্রত করার জন্য শুনুন এই গান। দুর্গম গিরি কান্তার মরুকাজী নজরুল ইসলামের অন্যতম স্বদেশ প্রেমের গান এটি। ইংরেজ শাসনের কঠিন সময়ের কথা, লড়াইয়ের কথা ফুটে উঠেছে এই গানে। কারার ওই লোহ কপাটএটিও একটি নজরুল গীতি। এই গানের কথায় কথায় কাজী নজরুল ইসলাম বন্দি সময়, যাপনকে ভেঙে স্বাধীনতার আহ্বান জানিয়েছিলেন। যদি তোর ডাক শুনে কেউ১৯০৫ সালে রবি ঠাকুর লিখেছিলেন এই গান। দেশের জন্য ব্রতী হওয়ার আহ্বান জানিয়ে ছিলেন এই গানে। গানটি পরবর্তীতে একাধিক ছবিতেও ব্যবহৃত হয়েছে। বন্দে মাতরমবঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের লেখা আনন্দমঠ উপন্যাসের গান এটি। শ্রী অরবিন্দ এই গানটিকে বঙ্গদেশের জাতীয় সঙ্গীত বলে আখ্যা দিয়েছিলেন। ভারতের জাতীয় গান হল এটি। ১৮৯৬ সালে জাতীয় কংগ্রেসের অধিবেশনে গাওয়া হয় বন্দে মাতরম। উঠো গো ভারত লক্ষ্মীঅতুল প্রসাদের এই গান দেশের গান। দেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম এবং সংগ্রামীদের গান। ফলে এই বিশেষ দিনে এই গানটি অবশ্যই শোনা উচিত।