সর্বদা হাসিখুশি আর প্রাণোচ্ছ্বল। আনন্দে মেতে থাকেন, অন্যকে মাতিয়ে রাখেন অপরাজিতা আঢ্য, সবার প্রিয় অপাদি। কিন্তু বাস্তব জীবনে অনেক কঠিন লড়াইয়ের মধ্যে দিয়ে যেতে হয়েছে তাঁকে। সেই ঘাত-প্রতিঘাত তাঁকে আরও পরিণত করেছে। জীবনপথে চলতে গিয়ে বহুবার হোঁচট খেয়েছেন, কিন্তু নিজেকে সামলে নিয়েছেন ছোটপর্দার কোজাগরী।
টেলিভিশনের পাশাপাশি বড়পর্দাতেও তিনি উজ্জ্বল। অপরাজিতার সাম্প্রতিক রিলিজ এটা আমাদের গল্পে মুগ্ধ দর্শক। এর মাঝেই সোশ্যাল মিডিয়া নিজের মনের কথা তুলে ধরলেন অপরাজিতা। ভাগ করে নিলেন নিজের জীবনবোধ, অনুভূতি, দীর্ঘ পথচলার উপলব্ধি।
নিজের পুরোনো একটি ছবি শেয়ার করেছেন অভিনেত্রী। হয়ত তখনও কুড়ির গণ্ডি পার করেননি তিনি। এর সঙ্গে তিনি লেখেন, 'আমি বিশ্বাস করি যারা প্রবল ভাবে ঠকে, তারা কোনওদিন কাউকে ঠকাতে পারে না। বড়জোর বিশ্বাস করা ছেড়ে দেয়...
আমি বিশ্বাস করি যারা ধ্বংস হয়, তারা কোনোদিন কাউকে নিঃস্ব করতে পারেনা। বড়জোর হারিয়ে দিতে শিখে যায়, জীবন শিখিয়ে দেয় কিন্তু ধ্বংস করতে পারে না...
আমি বিশ্বাস করি যারা চরম ভাবে অপেক্ষা করতে জানে, তারা কখনো কাউকে উপেক্ষা করতে পারে না। বড়জোর তারা সবকিছু সম্পর্কে উদাসীন হতে শিখে যায়, তাদের উপর আর কোনওকিছুই কোনো প্রভাব ফেলতে পারে না… যাদের কথা বলার কেউ থাকে না, তারাই অন্যের কথা মন দিয়ে শোনে...'।
তিনি আরও লেখেন, ‘সম্পর্ক যাদের ভেঙে গুঁড়িয়ে দিয়ে গেছে, তারা কোনওদিন কোনও সম্পর্ক ভাঙতে পারে না। বরঞ্চ কোনও সম্পর্কে তারা আর জড়ায় না…যারা ভীষণ ভাবে নিজের ভালোবাসার মানুষের কাছে অবহেলা পায়, তারা অন্য কাউকে অবহেলা করে না কক্ষনো। বরং বলা ভালো, খুব সুন্দর ভাবে সবকিছু এড়িয়ে যেতে শিখে যায় তারা… যাদের নিজস্ব গন্ধ কমে এসেছে, তারাই প্রতিটা মানুষের বুকের খুব কাছাকাছি গন্ধটাকে চিনতে পারে…ব্যথা গিলতে গিলতে যাদের গোটা শরীরটা অবশ হয়ে এসেছে, তারাই একমাত্র অন্যের ব্যথা খুব ভালোভাবে অনুভব করতে পারে...’।
ফুরফুরে,চনমনে মেজাজের অভিনেত্রীর এমন মন কেমন করা পোস্ট দেখে বিষন্নতায় ভরে গিয়েছে ভক্তদের মন। কেন তাঁর পোস্টে উঠে এল এই যন্ত্রণা? তবে প্রত্যেক শব্দের সঙ্গে মিশে রয়েছে অপরাজিতার সঞ্চয় করা অভিজ্ঞতা। বাস্তব সত্য কথাগুলো এত সহজভাবে কলমবন্দি করায় ভক্তরা কুর্নিশ জানিয়েছেন অপরাজিতাকে। একইসঙ্গে কামনা করেছ তাঁদের প্রিয় অভিনেত্রী ভালো থাকুক।