সদ্য গিয়েছিলেন মহাকুম্ভে, পুণ্যস্নানে। সেখানে গুরু শিবিরে আশীর্বাদ নেওয়া থেকে ত্রিবেণী সঙ্গমে ডুব, সবটাই করেছেন অপরাজিতা আঢ্য। এরপর শহরে ফিরেই জন্মদিন উদযাপন। আর অভিনেত্রীর জন্মদিনে তাঁকে বিশেষ চমক দিয়েছেন কাছের বান্ধবী সোমা। বয়সের সংখ্যা মিলিয়ে সারা ঘর প্রদীপ আর ফুল দিয়ে সাজিয়েছিলেন অপরাজিতার বান্ধবী। সেখানে সোমার হাত ধরে ঢুকেই অভিভূত হয়ে যান তিনি।
সোশ্যাল মিডিয়ায় সেই মুহূর্ত, উদযাপনটি সকলের সঙ্গে ভাগ করে নিতে ভোলেননি অপরাজিতা। গাঁদা ফুল আর গোলাপের পাপড়ি দিয়ে সাজানো পথে হেঁটে অভিনেত্রী পৌঁছোন বসার চেয়ারে। সেখানেও ফুল দিয়ে সাজানো ছিল সবকিছু। যা দেখলে সত্য়িই মুগ্ধ হতে হয় বৈকি!
এরপর মাথায় গঙ্গাজল ঢেলে, ফুল ও মালা দিয়ে তাঁকে বরণ করে নিতে দেখা গেল অভিনেত্রীর ওই বান্ধবীকে। এমনকি ফুল দিয়ে পুজো এবং আরতিও করা হল। খানিকটা যেন ঈশ্বর জ্ঞানেই পুজো করা হল অপরাজিতাকে। দুই হাত তুলে ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করলেন অপরাজিতা। তাঁর হাতে তুলে দেওয়া হল ফলের থালা। এরপর তাঁকে একে একে আশীর্বাদ করলেন সকলে। ছিলেন অপরাজিতার শাশুড়ি মা, স্বামী সহ অন্যান্য বয়ঃজেষ্ঠ্যরাও।
অপরাজিতা লেখেন, ‘জন্মক্ষণে মানবাত্মার মাঝে পরমাত্মার যে উপস্থিতি, তা হৃদয়ের অন্তঃস্থলে রয়ে যায় আজীবন। জন্মক্ষণের সেই লগ্ন যখন ফিরে ফিরে আসে তখন হৃদয়ের মাঝে মনবাত্মা ও পরমাত্মার মেলবন্ধনে যে উৎসব, তারই আয়োজন হয়ে আসে জন্মদিন । এমন মানব জনম রইল পতিত, আবাদ করলে ফলত সোনা। আর তাই মানবজন্মের মতন সমাদরের আর কিছুই নেই, যে জন্মে প্রতি মুহূর্তে থাকে নির্বাচন করে নেওয়ার শক্তি, সেই শক্তির স্বরূপ মহাবিশ্বে ব্যাপ্ত, তিনিই ঈশ্বর; সেই ঈশ্বরের প্রতি আমার বন্ধু সোমা অর্ঘ্য জ্ঞাপন করল আমার জন্মদিনে। আর পাশে পেলাম আরও এক ঐশ্বরিক শক্তিকে, যার স্বরূপ আমার পরিবার… এ উপহার আমার জন্ম লগ্নে কোমল স্পর্শ হয়ে রইল আজীবন… এই তো পাওয়া, এই তো জীবন… ঋদ্ধতা পাথেয় হয়ে রয় নিরন্তর।'
তবে শুধু বান্ধবীই নয়, অভিনেত্রীর জন্মদিনে প্রত্যেকবারের মতো পঞ্চব্যঞ্জন রান্না করে তাঁকে খাওয়ান তাঁর শাশুড়িমা। সেই আয়োজনে ছিল নানান পদ, তবে শনিবার ছিল বলে কোনও আমিষ খাবার সেখানে ছিল না।