লকডাউনে অনু মালিকের নতুন গান ‘হ্যাপি হ্যাপি রেহনেকা প্লিজ ডোন্ট ওয়ারি’ নেটদুনিয়ায় বেশ শোরগোল ফেলেছে। কঠিন পরিস্থিতিতেও নিজেকে কেমনভাবে হ্যাপি রাখছেন অনু মালিক? সেই সিক্রেটটাই ফিভার নেটওয়ার্কের #100Hours100Stars অনুষ্ঠানে শেয়ার করলেন অনু মালিক।লকডাউনে নিজের বাড়িকে নতুন করে আবিষ্কার করছেন অনু । সঙ্গীতশিল্পীর কথায়, বাড়ির প্রতিটা কোণের সঙ্গে একটা আত্মিক যোগ স্থাপিত হয়েছে এই সময়। বাড়িতে বুক সেলফে প্রচুর বই পড়েছিল যেগুলো কোনওদিন ছুঁয়েও দেখা হয়নি,সেগুলো পড়ে দেখছি এক এক করে'। অনুর কথায়,'এখন ভারতের ইতিহাস নিয়ে একটা বই পড়ছি। এবং প্রতিটা মুহূর্তে আমি উপলব্ধি করেছি আমি কতটা সৌভাগ্যবান যে এই দেশে আমি জন্মেছি'।সারাজীবন ধরে মিউজিক নিয়ে প্রচুর কাজ করেছেন অনু। তাঁর সাফল্যের মূলমন্ত্র কী? ‘আমি কোনদিনও নিজের সময়ের অপব্যবহার করিনি। আমি ৮-৯ বছর বয়স থেকে কাজ করছি,কাজ করেই চলেছি। লকডাউনে বসেও আমি মেলোডি তৈরি করেই চলেছি। আমি সেগুলো ভয়েসনোটে নিজের গলাতেই রেকর্ড করছি। লকডাউনের পাঁচ নম্বর দিন দেখলাম আমি ৯-টা মেলোডি তৈরি করে ফেলেছি। একদিন চারটে মেলোডি তৈরি করেছিলাম’। বিতর্ক কোনদিনই পিছু ছাড়েনি অনু মালিকের। মিউজিক চুরি থেকে মিটু-তাড়া করে বেড়িয়েছে এই মিউজিক কম্পোজারকে।খারাপ সময় কিংবা অবসাদের মধ্য দিয়ে গেলে কেমনভাবে নিজেকে সামলান অনু মালিক? ‘সঙ্গীতশিল্পী হওয়ার আলাদাই ফায়দা রয়েছে। খুব বাজে সময়ের মধ্যে দিয়ে গেলে আমি নিজের জগতে ঢুকে পড়ি,সঙ্গীতের মধ্যে শান্তি খুঁজি কিংবা নতুন সুর খুঁজি। কিংবা স্ত্রীর সঙ্গে একটু আড্ডা মারি। অথবা নিজের উপর হেসেনি। আমার মিমিক্রি করেন প্রচুর মানুষ।সেগুলো দেখেনি। …ভালোবাসা ছড়িয়ে দেওয়াতেই আমি বিশ্বাসী।জীবনে আমি একটা কাজই করতে পারি সেটা আমার সঙ্গীতের মধ্যে দিয়ে অন্যকে আনন্দ দিতে পারি। আমি জীবনে কোনওদিনও কাউকে ঘৃণা করিনি।কারণে আমি যদি কাউকে ভালোবাসতে না পারি তাহলে ঘৃণাও করতে পারিনা’, বললেন অনু মালিক। করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে দুঃস্থের পাশে দাঁড়াতেই #100Hours100Stars-র উদ্যোগ নিয়েছে ফিভার নেটওয়ার্ট। দেশের সবচেয়ে বড় ডিজিট্যাল এই ফেস্টের মাধ্যমে জরুরি পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের কুর্নিশ জানাচ্ছে ফিভার নেটওয়ার্ক ও হিন্দুস্তান টাইমস।এই ক্যাম্পেনের মাধ্যমে সংগৃহীত অর্থ দান করা হবে পিএম কেয়ার্স ফান্ডে।