
Betvisa
6.88% Weekly Cashback on 2025 IPL Sports
ভারতীয় সমাজে এখনও ঋতুস্রাব বিষয়টাকে অনেকেই অপবিত্র মনে করেন, বিষয়টা নিয়ে খোলাখুলি আলোচনাই করতে চান না যেন কত গোপন ব্যাপার। যদিও ব্যাপারটা ভীষণ ভাবে স্বাভাবিক, প্রাকৃতিক কারণেই হয়। কিন্তু তাও একটা রাখঢাক ব্যাপার এখনও অনেকের মধ্যেই দেখা যায় এটা নিয়ে। এবার সেই বিষয়ে মুখ খুললেন অনন্যা পান্ডে। জানালেন নিজের প্রথমবার ঋতুস্রাব হওয়ার অভিজ্ঞতা।
অনন্যা পান্ডে সম্প্রতি নিউজ ১৮ এর শোশা ইভেন্টে এসেছিলেন। সেখানেই তিনি কেবল নিজের প্রথম মাসিকের অভিজ্ঞতা জানিয়েছেন যে সেটাই নয়, একই সঙ্গে বলেন কেন এই বিষয়টা নিয়ে খোলাখুলি কথা বলা প্রয়োজন। অভিনেত্রীর কথায়, 'এটা এমন কোনও বিষয় নয়, যেটার জন্য লজ্জা পেতে হবে। এটা একটা স্বাভাবিক বায়োলজিক্যাল জিনিস, আর স্টিগমা ভেঙে সবার উচিত এটা নিয়ে খোলাখুলি কথা বলা। এই সময় মেয়েরা কত সমস্যার মধ্যে পড়েন র্যাশ হয়, চুলকায়, অস্বস্তি হয়, হাঁটাচলা করতে সমস্যা হয়। দাগ লাগার ভয় তো আছেই।'
অনন্যাকে কীভাবে বলা হয়েছিল পিরিয়ডসের বিষয়টা? তাঁর নিজের অভিজ্ঞতাই বা কী? এই প্রসঙ্গে তিনি জানান, তাঁর যখন প্রথমবার ঋতুস্রাব হয় তখন তিনি স্কুলে। ক্লাস চলাকালীন তাঁর মাসিক শুরু হয়ে যায়। আর যারপরনাই ভয় পেয়ে যান তিনি বিষয়টা নিয়ে। যদিও এখন তিনি বিষয়টা নিয়ে বাবা মা বা পরিবারের সঙ্গে বেশ খোলাখুলি আলোচনা করেন।
অনন্যার কথায়, 'সেই সময় বাড়িতে বিষয়টা নিয়ে বিশেষ আলোচনা হতো না। আমার ক্লাসের কয়েকটি মেয়ের পিরিয়ডস হয়ে গিয়েছিল, কিন্তু কেউ বিষয়টা খোলাখুলি ভাবে বলতো না। তো আমার যখন প্রথমবার পিরিয়ডস হয় আমি তখন স্কুলে। আমি বুঝিনি যে কী হয়েছে আমার কারণ এর আগে কেউ বিষয়টা নিয়ে আমার সঙ্গে কোনও কথাই বলেনি। আমি খুব ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম। ভেবেছি আমার কোনও ভাবে আঘাত লেগেছে। যখন ভয়ে ভয়ে বাড়ি ফিরি তখন মাকে আর ঠাকুমাকে বলাতে ওরা খুব খুশি হয়েছিল। আমায় অনেক উপহার দিয়েছিল বলেছিল এটা উদযাপন করার মতো এটা বিষয়। লজ্জা সরিয়ে এভাবেই জিনিসটাকে ডিল করা উচিত। এখন তো আমি আমার বাবার সামনেও এই বিষয়ে কথা বলি।'
আরও পড়ুন: মৃত্যু পাপিয়া সারোয়ারের! কর্কটের মারণ থাবায় নিভল বাংলাদেশি রবীন্দ্রসঙ্গীত শিল্পীর জীবনদীপ
অনন্যা জানান 'শ্যুটে অনেক সময় বাথরুম থেকে না। পেট ব্যাথা হয়। খুব অস্বস্তি লাগে তখন।'
6.88% Weekly Cashback on 2025 IPL Sports