নবনীতা বলেন, ‘এবছরের দুর্গাপুজো অবশ্যই আগের বছরের পুজোগুলির থেকে আলাদা। প্রত্যেকবার সিঁদুর খেলতাম, অঞ্জলি দিতাম, এবার আর সেসব হবে না। এবছর তাই ভেবেছিলাম ঘুরতে চলে যাব। একমাসের ভিসা আছে, তাই ভেবেছিলাম লন্ডন যাব। তবে এক সপ্তাহের বেশি ছুটি পাব না, তাই হয়ত বিদেশে যাওয়া হবে না। দেশেই কোথাও ঘুরে আসব।’
জিতু-নবনীতা
জিতু-নবনীতার ডিভোর্স হচ্ছে, এখবর তো পুরনো। বহুদিন হল একে অপরের থেকে আলাদা থাকছেন জিতু কমল ও নবনীতা দাস। শীঘ্রই আইনত বিচ্ছেদও পেয়ে যাবেন তাঁরা। ক্রমশই এগোচ্ছে ডিভোর্সের দিনক্ষণ। এদিকে সামনেই আবার পুজো। তবে যে দুর্গাপুজোকে মিলনের উৎসব মানা হয় সেই পুজো-ই এবার জিতু- নবনীতার জন্য বিচ্ছেদের, বিষাদের। এবারের পুজোটা তাই নবনীতার কাছে অন্যরকম। স্বেচ্ছায় আলাদা হলেও কিছুটা আফসোসের সুরও যেন রয়ে গিয়েছে নবনীতার মধ্যে। আর তাই হয়ত অভিনেত্রী বলছেন, ‘এবার পুজোয় জিতুর সঙ্গে আর সিঁদুরখেলা হবে না।’
সম্প্রতি আনন্দবাজারকে নবনীতা বলেন, ‘এবছরের দুর্গাপুজো অবশ্যই আগের বছরের পুজোগুলির থেকে আলাদা। প্রত্যেকবার সিঁদুর খেলতাম, অঞ্জলি দিতাম, এবার আর সেসব হবে না। এবছর তাই ভেবেছিলাম ঘুরতে চলে যাব। একমাসের ভিসা আছে, তাই ভেবেছিলাম লন্ডন যাব। তবে এক সপ্তাহের বেশি ছুটি পাব না, তাই হয়ত বিদেশে যাওয়া হবে না। তবে অষ্টমী থেকে যদি ছুটি পাই, তাহলে দেশেই কোথাও ঘুরে আসব।’
নবনীতা বলেন, ‘আগে বন্ধুদের বাড়ি চলে যেতাম, তবে অনেকেই রয়েছেন যাঁরা জিতু ও আমার দুজনেরই বন্ধু। তাই সেখানে যাওয়াটা অস্বস্তিকর।’ এদিকে টলিপাড়ায় কান পাতলে শোনা যাচ্ছে, জিতুর 'বাচ্চা বউ' নতুন প্রেমে পড়েছেন, আর সেটাই তাঁর বিয়ে ভাঙার মূল কারণ। কলকাতার ব্যবসায়ী স্নেহাল অধিকারীর সঙ্গে নবনীতার প্রেমের গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে। সম্প্রতি স্নেহালের সঙ্গে নবনীতা গোয়াও ঘুরে এসেছেন বলে খবর। সেসময় প্রায়দিনই একই হোটেলের একই ব্যালকনি থেকে ছবি শেয়ার করেন নবনীতা ও স্নেহাল। তাই সহজেই দুইয়ে দুইয়ে চার করে ফেলে নেটপাড়া। স্নেহাল তাঁর ‘নতুন বন্ধু' একথা মেনে নিয়েছেন নবনীতাও। তবে প্রেমের কথা মানতে নারাজ তিনি। তাঁর কথায়, তাঁদের নিয়ে কেন এমন চর্চা হচ্ছে, তা ঠিক বুঝতে পারছেন না।