বিধানসভা নির্বাচনের আগে জেলার তিন বিজেপি নেতাকে সাসপেন্ড করল বিজেপি। আর তাতে নির্বাচনের আগে সংগঠন ধাক্কা খাবে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক কুশীলবরা। সবচেয়ে বড় কথা এই তিনজনই বর্ধমান জেলার নেতা। যা নিয়ে রীতিমতো চর্চা শুরু হয়েছে। কারণ এই তিনজনের বিরুদ্ধে একই অভিযোগ। তবে অনেকে এটাকে আদি বনাম নব্য বিজেপির দ্বন্দ্ব বলেও ব্যাখ্যা দিয়েছেন। সম্প্রতি এই জেলায় আদি বনাম নব্য বিজেপি দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে আসে। আর তার প্রেক্ষিতেই এই সাসপেনশন বলে মনে করছেন রাজনৈতিক কুশীলবরা।এই তিনজনের নাম—স্মৃতিকণা মণ্ডল, সাগনিক শিকদার এবং উত্তম চৌধুরী। যথাক্রমে এঁরা–বর্ধমান পূর্ব, পালসিট এবং বর্ধমান শ্রীপল্লি এলাকার নেতা–নেত্রী। প্রত্যেকের বিরুদ্ধে একই অভিযোগ যে, তাঁরা পার্টি সদস্যদের মধ্যে মারামারি করতে ইন্ধন জুগিয়েছেন। একইসঙ্গে তাঁরা পরস্পরের সঙ্গে হাতাহাতি পর্যন্ত করেছেন। এই তিনজনকে গুন্ডামি, হিংসা এবং দুর্ব্যবহার করার অভিযোগে সাসপেন্ড করা হয়েছে। প্রত্যেকের কাছে চিঠি পাঠিয়ে এই সাসপেনশনের কথা জানিয়ে দেওয়া হযেছে। তবে এখনও এই বিষয়ে কেউ মুখ খোলেনি।এছাড়া আরও বড় খবর হল, আদি বনাম নব্য বিজেপির দ্বন্দ্বে এবার পদ খোয়ালেন বিজেপির বর্ধমান সাংগঠনিক জেলা সভাপতি সন্দীপ নন্দী। ওই পদ থেকে তাঁকে অপসারিত করা হয়েছে। বদলে বিজেপির নতুন জেলা সভাপতি হলেন অভিজিৎ তা। হঠাৎ বর্ধমান জেলায় এই রদবদল ভোটের মুখে দলকে বেশ চাপে ফেলে দেবে বলে মনে করা হচ্ছে। এই সিদ্ধান্ত বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ নিয়েছেন বলে প্রতিটি চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে।