বেহালা পূর্ব বিধানসভা নির্বাচনে ১,১০,২৯৪ ভোট পেয়ে জয়ী তৃণমূলের রত্না চট্টোপাধ্যায়। অন্যদিকে বিজেপি প্রার্থী পায়েল সরকার পরাজিত হয়েছেন।এবারের নির্বাচনে যে কেন্দ্রগুলোর দিকে সবার লক্ষ্য ছিল, তার মধ্যে অন্যতম বেহালা পূর্ব। একদা শোভন চট্টোপাধ্যায়ের গড়ে এবারের তৃণমূল প্রার্থী তাঁর স্ত্রী রত্না চট্টোপাধ্যায়। বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর শোভনবাবু এই কেন্দ্রে প্রার্থী পদে দাঁড়াতে ইচ্ছাপ্রকাশ করলেও সেই আসনে অভিনেত্রী পায়েল সরকারকে দাঁড় করিয়েছে বিজেপি। অন্যদিকে, বাম-কংগ্রেস-ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্টের (আইএসএফ) তরফে এই কেন্দ্রে দাঁড়াচ্ছেন সিপিআইএমের শমিতা হর চৌধুরী।২০১৬ সালের নির্বাচনে এই কেন্দ্র থেকে তৃণমূলের টিকিটে দাঁড়িয়ে অধ্যাপক অম্বিকেশ মহাপাত্রকে পরাজিত করেছিলেন শোভন। তবে এবারে বিজেপি তৃণমূল প্রার্থী রত্না চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে লড়াইয়ে এগিয়ে দিয়েছে পায়েল সরকারকে।প্রসঙ্গত, প্রার্থী ঘোষণার দিনই বেহালার এই কেন্দ্রে প্রার্থী দেওয়ার সময়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, নারী সুরক্ষার প্রশ্নে এই মনোনয়ন। এর আগে বিজেপির তরফে শোভনের নাম এই কেন্দ্রে নেওয়া হবে কি না তাই নিয়ে যখন জল্পনা তুঙ্গে, তখনই বেহালায় পা রাখেন শোভন। তবে রোড শো আটকে, পথে নেমে কালো পতাকা দেখায় তৃণমূল কর্মীরা।রাজনৈতিক মহলের একাংশের মতে, শোভনের জনপ্রিয়তা যেমন রয়েছে, তাঁর ব্যক্তিগত জীবন, বিবাহে ভাঙনের ঘটনা বেহালার খাসতালুকে হাতিয়ার হতে পারে রত্নার অনুগামীদের। আর এই জায়গা থেকেও শোভনকে অন্যত্র দাঁড় করানোর প্রস্তাব দিয়ে থাকতে পারে বিজেপি। এই প্রস্তাব ঘিরেই নতুন করে অশান্তির মেঘ জমছে গেরুয়া শিবিরে।সেদিক থেকে পায়েলের টলিউড যোগ, জনপ্রিয়তা, বিজেপির হাতিয়ার। ভোটযুদ্ধে তারকামুখ ব্যবহার তৃণমূলের পুরনো অস্ত্র।বিজেপি এই অস্ত্রে শান দিয়ে লাভের লাভ কিছু হবে কি না তা জানতে অপেক্ষা ২ মে'র।