বিজেপির কানঘেঁষে বেরিয়ে গেল ত্রিপুরা। এখনও পর্যন্ত ত্রিপুরা বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফল দেখে এমনটাই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। কারণ গতবারের থেকে উত্তর-পূর্বের রাজ্যে বিজেপির আসন সংখ্যা যেমন কমল, তেমনই কমল প্রাপ্ত ভোটের হার। শুধু তাই নয়, একাধিক তারকা বিজেপি নেতাকে যথেষ্ট বেগ পেতে হয়েছে। তারইমধ্যে বিজেপিকে কিছুটা স্বস্তি দিয়েছে উত্তর-পূর্বের বাকি দুই রাজ্য। মেঘালয়ে প্রাপ্ত ভোটের হার সামান্য কমলেও বিজেপির আসন সংখ্যা বাড়তে চলেছে। নাগাল্যান্ডে বেড়েছে প্রাপ্ত ভোটের হার। তবে আসন সংখ্যার তেমন হেরফের হচ্ছে না।
ত্রিপুরা বিধানসভা নির্বাচনে ‘ধাক্কা’ বিজেপির
নির্বাচন কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ সালের বিধানসভা ভোটে ত্রিপুরায় ৩২ টি আসনে জিতেছে বিজেপি। প্রাপ্ত ভোটের হার ৩৮.৯৭ শতাংশ। অর্থাৎ ২০১৮ সালের বিধানসভা নির্বাচনের নিরিখে ত্রিপুরায় ফল খারাপ হয়েছে গেরুয়া শিবিরের। ২০১৮ সালে ৫১ টি আসনে লড়াই করেছিল বিজেপি। জিতেছিল ৩৫ টি আসনে। প্রাপ্ত ভোটের হার ছিল ৪৩.৫৯ শতাংশ। অর্থাৎ আসন সংখ্যা তিনটি কমেছে। ভোট কমেছে ৪.৫ শতাংশের মতো।
আরও পড়ুন: Tripura Election Result Live Updates: সামান্য ভোটে এগিয়ে ত্রিপুরার অনেক তারকা, বড় জয়ের পথে সুদীপ, জয়ী শিক্ষামন্ত্রী
সেইসঙ্গে এবার নির্বাচনে বিজেপির একাধিক নেতা যথেষ্ট বেগ পেয়েছেন। বরদোয়ালি টাউন আসন থেকে একটা সময় পিছিয়ে গিয়েছিলেন বিদায়ী মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা। বেশিক্ষণ দ্বিতীয় স্থানে না থাকলেও জয়ের ব্যবধান ১,৩০০-ও পার করেনি। বনমালীপুর থেকে ১,৩৬৯ ভোটে হেরে গিয়েছেন ত্রিপুরা বিজেপির সভাপতি রাজীব ভট্টাচার্য। যে কেন্দ্র প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেবের দুর্গ হিসেবে পরিচিত। হেরে গিয়েছেন বিদায়ী উপ-মুখ্যমন্ত্রী জিষ্ণু দেববর্মাও। তিপ্রা মোথা পার্টির প্রার্থী সুবোধ দেববর্মা ৮৫৮ ভোটে জিতে গিয়েছে। অন্যদিকে, ধানপুর বিধানসভা কেন্দ্র থেকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রতিমা ভৌমিক জিতলেও ব্যবধান বেশি থাকেনি। কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর মতো হেভিওয়েট প্রার্থীর জয়ের ব্যবধান মাত্র ৩,৫০০।
আরও পড়ুন: BJP and Tipra Motha Alliance Possibility: হাড্ডাহাড্ডি লড়াইতে কি প্রদ্যোতের হাত ধরবে বিজেপি? মিলল কোন ইঙ্গিত
অথচ বিধানসভা ভোটের প্রচার-পর্বে বিজেপি নেতারা দাবি করছিলেন যে গতবারের থেকে আসন বাড়বে। আসনের ‘সুনামি’ আসবে। কিন্তু সেটা হয়নি। উলটে কমে গিয়েছে আসন সংখ্যা। সেই পরিস্থিতি নিয়ে যথেষ্ট অস্বস্তিতে পড়ে গিয়েছে ত্রিপুরার বিজেপি নেতৃত্ব। বিষয়টি নিয়ে ত্রিপুরার বিদায়ী মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আরও বেশি আসন পাব ভেবেছিলাম, সেটা হয়নি। তবে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওয়ায় আমরা খুশি। তবে আরও বেশি আসন পেলাম না কেন, তা নিয়ে চুলচেরা বিশ্লেষণ করে দেখা হবে।’
(এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক )