আজ ছত্তিশগড়ে নির্বাচনী জনসভা থেকে বড় ঘোষণা করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আজ মোদী জানান, আগামী পাঁচবছরের জন্যে বিনামূল্যে খাদ্যশস্য দেওয়া হবে দেশের ৮০ কোটি নাগরিককে। তবে প্রধানমন্ত্রী গরিব কল্যাণ যোজনার অধীনে নয় এই ফ্রি রেশন মিলবে খাদ্য সুরক্ষা আইনের আওতায়।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী
লোকসভা নির্বাচনের আগে 'সেমিফাইনাল' পরীক্ষার সামনে বিজেপি। ছত্তিশগড়, রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ সহ দেশের পাঁচ রাজ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে চলেছে। এরপরই আগামী বছর লোকসভা ভোট। এই আবহে আজ ছত্তিশগড়ে নির্বাচনী জনসভা থেকে বড় ঘোষণা করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আজ মোদী জানান, আগামী পাঁচবছরের জন্যে বিনামূল্যে খাদ্যশস্য দেওয়া হবে দেশের ৮০ কোটি নাগরিককে। তবে প্রধানমন্ত্রী গরিব কল্যাণ যোজনার অধীনে এই রেশন দেওয়া হবে না। বরং জাতীয় খাদ্য সুরক্ষা আইনের আওতায় দেওয়া হবে এই রেশন। (আরও পড়ুন: জিহাদিদের হামলা পাকিস্তানি বিমানঘাঁটিতে, ক্ষতিগ্রস্ত একাধিক যুদ্ধবিমান)
জাতীয় খাদ্য সুরক্ষা আইনের আওতায় আপাতত প্রতি মাসে মাথাপিছু পাঁচ কিলোগ্রাম খাদ্যশস্য প্রদান করা হয়। প্রতি কেজিতে দাম পড়ে দুই থেকে তিন টাকা। এক কেজি চালের দাম তিন টাকা পড়ে। এক কেজি গমের জন্য দু'টাকা দিতে হয়। অন্ত্যোদয় অন্ন যোজনার আওতায় থাকা পরিবারগুলি মাসে ৩৫ কেজি খাদ্যশস্য প্রদান করা হয়। তবে আগামী পাঁচবছরের জন্যে দেশের ৮০ কোটি মানুষ বিনামূল্যে পাবেন রেশন।
দেশে নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রীর দাম ক্রমেই বাড়ছে। মুদ্রাস্ফীতির এই হারে নাজেহাল অবস্থা আম নাগরিকের। এই পরিস্থিতি আরও গুরুতর হতে পারে বলে আশঙ্কা। এরই মধ্যে সম্প্রতি এক বেসরকারি সংস্থার রিপোর্টে দাবি করা হয়, গত অক্টোবরে দেশের বেকারত্বের হার দু'বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। এই পরিস্থিতিতে লোকসভা ভোটের মুখে চাপে কেন্দ্রীয় সরকার। আর তাই বিনামূল্যে রেশন দেওয়ার ঘোষণা করে আম জনতার মন জয়ের চেষ্টা করলেন মোদী।
উল্লেখ্য, কোভিডের আবহে ২০২০ সালের এপ্রিল মাসে দেশে বিনামূল্যে রেশন বিতরণ শুরু করেছিল কেন্দ্রীয় সরকার। দীর্ঘ লকডাউনের আবহে কেন্দ্রের এই বিনামূল্যে রেশন পরিষেবা অনেকের জীবন বাঁচিয়েছে। এটা বিশ্বের সর্ববৃহৎ খাদ্য সুরক্ষা প্রকল্পে পরিণত হয়। তবে ২০২২ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত সেই প্রকল্প চলে। এখন দেশ জুড়ে জাতীয় খাদ্য সুরক্ষা আইনের আওতায় রেশন দেওয়া হচ্ছে। আগামী পাঁচ বছরের জন্যে এর আওতাতেই বিনামূল্যে দেওয়া হবে রেশন। ওই প্রকল্প চালিয়ে যাওয়ার জন্য কেন্দ্রের কোষাগারে বছরে দু'লাখ কোটি টাকা বোঝা চাপবে।