‘‌একুশে খেলা শুরু হয়েছিল এবার শেষ হবে’‌, নন্দীগ্রাম থেকে হুঙ্কার দিলেন অভিষেক

তমলুক লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী দেবাংশু ভট্টাচার্যের সমর্থনে আজ, বুধবার নন্দীগ্রামে সভা করেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। নন্দীগ্রাম বাইপাস মাঠের জনসভা থেকে একদিকে চ্যালেঞ্জ অপরদিকে হুঙ্কার ছাড়লেন তিনি। এমনকী দেবাংশু ভট্টাচার্য কত ভোটে জিতবেন তার ভবিষ্যদ্বাণীও করেন অভিষেক। তুমুল করতালিতে ফেটে পড়ে সভামঞ্চ। এখান থেকেই একুশের নির্বাচনে যে কারচুপি করে শুভেন্দু অধিকারী জিতেছিলেন তাঁর বদলা নেওয়া হবে বলেও হুঙ্কার দেন অভিষেক।এদিকে একুশের বিধানসভা নির্বাচনের খেলা এখনও শেষ হয়নি। একুশে যে খেলা শুরু হয়েছিল আগামী ৪ জুন সেই খেলা শেষ হবে। বুধবার নন্দীগ্রামের নির্বাচনী সভা থেকে হুঙ্কার দিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ‘একুশের বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির দলদাস কেন্দ্রীয় বাহিনী এবং শাগরেদ নির্বাচন কমিশনকে কাজে লাগিয়ে লোডশেডিং করে চারটে ইভিএম সরিয়ে মানুষের জনমতকে কারচুপি করে এখানে যিনি জিতেছিলেন তাঁকে যোগ্য জবাব দেওয়ার দিন ২৫ মে। তারপরই এই খেলা শেষ হবে। কেউ কেউ অশান্তি করার চেষ্টা করছেন। খুন্তি, বঁটি নিয়ে তাড়া করবেন তাঁদের। কাউকে ছাড়বেন না। নিজের ভোট নিজেকেই দিতে হবে। কেউ তাতে যেন বাধা দিতে না পারেন।’আরও পড়ুন: ‘স্বামী প্রণবানন্দ না থাকলে বাংলা মিশে যেত বাংলাদেশে’, মমতাকে কড়া জবাব শাহেরঅন্যদিকে একুশের বিধানসভা নির্বাচনে নন্দীগ্রামে ১৯৫৬ ভোটে জয়ী হয়েছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। গণনাকেন্দ্রে লোডশেডিং করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে হারানোর অভিযোগ উঠেছিল। এবারের লোকসভা নির্বাচনে নন্দীগ্রামের মানুষ তার যোগ্য জবাব দেবে। একই সঙ্গে অভিষেকের ভবিষ্যদ্বাণী, এবারে অন্তত দু’লক্ষ ভোটের ব্যবধানে তমলুক থেকে জিতবে দেবাংশু। অভিষেকের বক্তব্য, ‘কেন্দ্রে মোদী সরকারের মেয়াদ আর মাত্র ১০ দিন। আগামী ৪ জুন ভোটের ফলাফলেই জানা যাবে, কেন্দ্রের মসনদ থেকে বিজেপি বিদায় নিচ্ছে। দেবাংশুকে অন্তত দু’লক্ষ ভোটের ব্যবধানে জেতাবেন তমলুকের মানুষ। ভোটের দিন যদি আপনাদের টাকা দিতে আসেন বিজেপির নেতারা, সেই টাকা নিয়ে নেবেন। কিন্তু ভোটটা দেবেন জোড়াফুলে। মনে রাখবেন, পাঁচ বছর এঁরা টাকা দিতে আসেননি। খোঁজ নেননি।’এছাড়া শুভেন্দু অধিকারীর ভাষার সমালোচনা করে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এমনকী আগামীকাল বৃহস্পতিবার এখানে শুভেন্দু সভা করতে এলে কোন প্রশ্ন করতে হবে তাও বলে দেন অভিষেক। তাঁর কথায়, ‘মাঠে যে পরিমাণ লোক রয়েছেন তাঁরা যদি ২৫ তারিখ তৃণমূলের বোতাম টিপে দেন, বিজেপির দফারফা হয়ে যাবে। মমতার দাম জানতে চাইছেন বিজেপি প্রার্থী। যিনি বাংলার নারীদের লক্ষ্মীর ভান্ডার দিয়েছেন, কন্যাশ্রী দিয়েছেন, তাঁর দাম জানতে চাওয়া হচ্ছে। মানুষ ভোটবাক্সে এর জবাব দেবেন। নন্দীগ্রামের মাটি বিজেপির স্বৈরাচারীদের মাটি নয়। তৃণমূলের দুর্জয় ঘাঁটি। এক ছটাক জমিও এখানে আমরা কাউকে ছাড়ব না। দু’লাখ ভোটের ব্যবধানে তমলুক থেকে আমাদের মা–বোনেরা জেতাবেন। তিন বছরে কী করেছেন শুভেন্দু? ১০০ দিনের কাজ বন্ধ করার পর দিল্লিতে গিয়ে ফুর্তি করেছেন। আমরা দিল্লিতে গিয়ে আন্দোলন করেছি। আমাদের সরকার টাকা দিয়েছে। ১০ কোটি মানুষ ভোট দিয়ে জিতিয়েছেন। তাঁর বাপবাপান্ত করছেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক। উনি তৃণমূলকে নর্দমা বলেন। নর্দমা আসলে কে? মুখের ভাষা শুনছেন?’