গত পঞ্চায়েত নির্বাচনের তুলনা অনেকটা কম হলে এবারও রাজ্যের একাধিক জেলায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয় পেয়েছে তৃণমূল। তেমনই এক জয়ের ছবি দেখা গেল পূর্ব বর্ধমানের গলসিতে। সিপিআইএম প্রার্থীরা মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নেওয়ায় এই জয় পেয়েছে শাসকদল। সেই প্রার্থীরাও তৃণমূলের কর্মীদের সঙ্গে বিজয় উৎসবে মাতল আবীর খেলায়।
(পড়তে পারেন। Panchayat election 2023: তৃণমূলকে উচিত শিক্ষা দেওয়ার লড়াই, বলছেন আনিস খানের বাবা সালেম)
পূর্ব বর্ধমানের গলসি ২ নম্বর ব্লকের মসজিদপুর গ্রাম পঞ্চায়েতে কোনও লড়াই ছাড়াই একাধিক আসনে জিতে গিয়েছে তৃণমূল। এই গ্রাম পঞ্চায়েতে মোট ১৩টি আসন রয়েছে। তার মধ্যে আটটিতে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জিতে গিয়েছে শাসকদল। বাকি ৫টা আসনে নির্বাচন হবে।
মসজিদপুর এবং শ্রীধরপুর গ্রাম থেকে সিপিআইএমের প্রার্থী হয়েছিলেন রোজিনা বেগম ও সত্যেন বাগদি। সময় মতো তাঁরা মনোনয়নও জমা দেন। কিন্তু পরে তাঁরা মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নেন। এতেই ওই দুটি আসনে জিতে যায় তৃণমূল। বাকি ৬টি আসনেও একই ভাবে প্রার্থীরা মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নেওয়ায় ওই আসনগুলোতেও জিতে যায় শাসকদল।
জয়ের খবর আসার পর আবীর খেলে বিজয় উৎসব পালন করে শাসকদল। সেই অনুষ্ঠানে সামিল হন রোজিনা বেগম ও সত্যেন বাগদিও। সবুজ আবীরও মাখেন তাঁরা। গলায় মালা পরিয়ে তাঁদের স্বাগত জানানো হয়। এর পরই শুরু হয় রাজনৈতিক তরজা। রোজিনা-সত্যেন শাসকদলের চাপে পড়ে এমন কাজ করেছে, দাবি করেছে সিপিআইএম।
তবে বিজয় উৎসবের পর অন্য কথাই বলেছেন রোজনা বেগম। তাঁর কথায়, 'সিপিএমের প্রার্থী হয়েছিলাম। কিন্তু ভেবে দেখালাম এলাকায় শাসকদলের বিরুদ্ধে কিছু বলার নেই। এলাকায় অনেক উন্নয়ন করেছে ওরাই।' তাই মনোনয়ন তুলে নিলাম।'
(পড়তে পারেন। Bengal Panchayat Election: নন্দীগ্রামে পঞ্চায়েত ভোট হচ্ছে, নেই আবু তাহের, শেখ সুফিয়ানের নাম)
তবে এই দাবি মানতে নারাজ রোজিনা, সত্যেনদের দল। সিপিএমের জেলা সম্পাদক সৈয়দ হোসেনের দাবি, 'তৃণমূলের হুমকিতেই ওঁরা এ সব করছে।'
তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি গুল মহম্মদ মোল্লা বলেন,'উন্নয়ন হয়েছে বলেই তো ওঁদের কিছু বলা নেই। তাই প্রার্থী পদ তুলে নিয়েছেন।' বাকি আসনগুলোতে জয়লাভ করবে বলে দাবি দলের।