চলতি বিশ্বকাপে পরপর চার ম্যাচে হার। শুক্রবার দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে রোমহর্ষক ম্যাচে ১ উইকেটে হেরে যায় পাকিস্তান। সেই সঙ্গে তাদের সেমিফাইনালে যাওয়ার আশাও কার্যত বিশ বাও জলে চলে গিয়েছে। আর এই কঠিন সময়ে দলের খারাপ পারফরম্যান্সের জন্য আঙুল উঠছে অধিনায়ক বাবর আজমের দিকে।
প্রোটিয়াদের বিরুদ্ধে খেলতে নামার আগে বাবর আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে বলেছিলেন, তাঁরা যেকোনও দলকে হারাতে প্রস্তুত। তবে ২২ গজে দেখা গিয়েছে, অন্য ছবি। শুক্রবার দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে হেরে বিশ্বকাপের ইতিহাসে এই প্রথম টানা চার ম্যাচ হারার রেকর্ড করেছে গ্রিন আর্মি। আর পাক ব্রিগেডের এমন শোচনীয় দশার জেরে নেতৃত্ব হারাতে চলেছেন বাবর। জানা গিয়েছে, পিসিবি নাকি নতুন অধিনায়কের কথা ভেবেও ফেলেছে।
আরও পড়ুন: দাসেনের ডিআরএস নিয়ে ভুল স্বীকার আইসিসি-র, তাতেও থেকে গেল বিতর্ক
এখানেই শেষ নয়। বাবরের উপর নাকি এতটাই বিরক্ত পিসিবি কর্তারা, তাঁর মেসেজেরও জবাব দিচ্ছেন না। রশিদ লতিফ পিটিভির একটি অনুষ্ঠানে বলেছেন, ‘বাবর আজম চেয়ারম্যানকে মেসেজ করেছেন। কিন্তু তিনি কোনও উত্তর দেননি। এমন কী তিনি সলমন নাসিরকে (পিসিবি সিওও) টেক্সট করেন। তবে তিনিও উত্তর দেননি। কী কারণে তাঁরা অধিনায়কের মেসেজের জবাব দিচ্ছেন না? এর পরে একটি প্রেস রিলিজ বের করছেন। দাবি করছেন, কেন্দ্রীয় চুক্তিগুলো আবার নতুন করা হবে। পাঁচ মাস ধরে বেতন পাচ্ছেন বা খেলোয়াড়রা। তবে খেলোয়াড়দেরও কি আপনাদের কথা শোনা উচিত?’
আরও পড়ুন: দু'টি বৈধ বলে ২১ রান দিলেন ম্যাট হেনরি, কিন্তু কী ভাবে সম্ভব হল?- ভিডিয়ো
বোর্ডের ব্যবহারে খুশি নন পাক ক্রিকেটাররাও। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক পাক ক্রিকেটার দাবি করেছেন, বোর্ডের তরফে কোনও সহযোগিতা পাচ্ছেন না তাঁরা। তিনি বলেছেন, ‘পরাজয়ের পর সমালোচনা স্বাভাবিক। কিন্তু বোর্ডের আচরণে আমরা হতাশ, তারা আমাদের পাশেই নেই। খেলোয়াড়দের মধ্যে ঝামেলার মিথ্যা প্রতিবেদন প্রাথমিক ভাবে প্রকাশিত হয়েছিল। যখন আমরা ম্যানেজারের মাধ্যমে আমাদের উদ্বেগ উত্থাপন করি, তখন এটাকে কোনও গুরুত্বই দেওয়া হয়নি। আমরা শুধু চেয়েছিলাম সঠিক তথ্য বেরিয়ে আসুক। প্রত্যেকেই মিটিংয়ে তাদের উদ্বেগগুলি সততার সঙ্গে আলোচনা করেছে। এবং মতপার্থক্যও ছিল, তবে কখনও মারামারি হয়নি।’
পিসিবি নিজেদের দায় সারতে তাদের বিবৃতিতে বলেছে, ‘অধিনায়ক বাবর আজম এবং প্রধান নির্বাচক ইনজামাম-উল-হককে ২০২৩ আইসিসি বিশ্বকাপের জন্য স্কোয়াড গঠনে স্বাধীনতা এবং সমর্থন দেওয়া হয়েছিল।’ অর্থাৎ ঘুরিয়ে তারা দাবি করেছে, পাকিস্তানের খারাপ পারফরম্যান্সের পুরো দায়টাই বাবর এবং ইনজামামের। এমন কী এই বিবৃতিতে অধিনায়ক পরিবর্তনের বিষয়েও ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে।তারা যোগ করেছে যে, অধিনায়কত্বের বিষয়ে যে কোনও সিদ্ধান্ত ক্রিকেট বিশ্বকাপের পরে নেওয়া হবে।