শুভব্রত মুখার্জি- বৃহস্পতিবার চলতি আইসিসি ওডিআই বিশ্বকাপের দ্বিতীয় সেমিফাইনালে মুখোমুখি হয়েছিল অস্ট্রেলিয়া এবং দক্ষিণ আফ্রিকা। আইসিসি আয়োজিত ওডিআই বিশ্বকাপের ইতিহাসে এই নিয়ে তৃতীয়বার মুখোমুখি হয়েছিল দুই দল। প্রথম দুইবারের মধ্যে একবার ১৯৯৯ সালে ম্যাচ টাই হয়েছিল। ২০০৭ সালে বাজেভাবে হারতে হয়েছিল প্রোটিয়া বাহিনীকে। ফলে সে কথা মাথায় রেখেই ২০২৩ সালে ইডেন গার্ডেন্সে মুখোমুখি হয়েছিল দুই দল। লো স্কোরিং থ্রিলার এই ম্যাচে দুই দলের পার্থক্যটা হয়তো গড়ে দিয়েছিল রান তাড়া করতে নেমে দুই অজি ওপেনার ট্রেভিস হেড এবং ডেভিড ওয়ার্নার। তাঁরা খুব দ্রুত দলের হয়ে ওপেনিং জুটিতে অর্ধশতরান তুলে ফেলেন। পরবর্তীতে উইকেট হারালেও তাই রান রেট নিয়ে কখনও ভাবতে হয়নি অজিদের। আর এই ম্যাচে ঝোড়ো অর্ধশতরানের ইনিংস খেলেই ম্যাচ সেরার পুরস্কার পেলেন ট্রেভিস হেড। পুরস্কার পাওয়ার পরে হেড জানিয়েছেন এই ম্যাচের শেষদিকে তিনি সিট ছেড়ে উঠতে পারেননি। গোটা দলের উপরে এতটাই চাপ ছিল যে তিনি নড়াচড়া করতে পারেননি। পাশাপাশি টানটান উত্তেজনার এক ম্যাচ জেতায় যে তিনি খুব খুশি তাও জানাতে ভোলেননি হেড।ম্যাচ শেষে ট্রেভিস হেড জানিয়েছেন, ‘সমস্ত বিষয়টা (রুদ্ধশ্বাস) ব্যাখ্যা করে বোঝানো খুব মুশকিল। খুব টেনশনড একটা ম্যাচ ফিনিশ হয়েছে এদিন। অসাধারণ একটা ম্যাচ ছিল। দর্শকরা তাড়িয়ে তাড়িয়ে এই ম্যাচ উপভোগ করেছে। শেষ কয়েকটা ওভার তো আমি আমার সিট থেকে নড়াচড়াই করিনি।এতটাই উত্তেজনাকর একটা ম্যাচ হয়েছে। আমরা জানতাম এখানকার উইকেটটা ঠিক কেমন হতে পারে। আগের ম্যাচগুলো থেকে একটা ধারণা আমরা করেছিলাম। আজকে মাঠে নামার আগে সেই বিষয়ে কথাও হয়েছে নিজেদের মধ্যে। আমরা তিন-চারদিন এখানে (কলকাতায়) ছিলাম। ফলে উইকেট নিয়ে একটা ধারণা জন্মে গিয়েছিল।’তিনি আরও যোগ করে বলেন, ‘আজকের ম্যাচে বল যা টার্ন হয়েছে তা আমরা এর আগে দেখিনি। আমরা জানতাম আমাদের লড়াই করেই জিততে হবে। হাতে চোট পাওয়ার পরে আমি ভাবতে পারিনি যে আমি ফিরে এসে আবার বিশ্বকাপ খেলতে পারব। তবে অস্ট্রেলিয়ার জয়ে যোগদান দিতে পেরে খুশি। আমাকে ক্লাসেন বেশ কয়েকটা বলে জোরে মেরে বাউন্ডারি মারে। আমি চাপে পড়ে যাই। এরপর ওর উইকেটটা নিতে পেরে আমি খুশি। আমি বল হাতে ও যোগদান করতে মুখিয়ে ছিলাম। দুটো উইকেট পেয়ে আমি খুশি। যেভাবে আমি ব্যাটিংয়ের সময়ে আউট হয়েছি আমি খুব হতাশ। দক্ষিণ আফ্রিকার বোলিং আক্রমণ দারুন। তাদের ম্যাচে বেশ গতিময় মনে হয়েছে। এই টু্র্নামেন্টের অন্যতম সেরা দল ওরা। কখনও টু্র্নামেন্টের ফাইনালে খেলব তাও আবার দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে ম্যাচ জিতে! তা কখনও স্বপ্নেও ভাবিনি।’ এদিন বল হাতে হেড ৫ ওভার বল করে ২১ রান দিয়ে নেন ৯টি উইকেট। ব্যাট হাতে মাত্র ৪৮ বলে খেলেন ৬২ রানের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস খেলেছেন হেড। দলের জয়ে তাঁর অলরাউন্ড পারফরম্যান্সের মধ্যে দিয়ে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন ট্রেভিস হেড।