একদা সৌরভ নিজেই জানিয়েছিলেন যে, বিখ্যাত নাকি কুখ্যাত, সেটা পরের প্রসঙ্গ। লর্ডসের ঐতিহ্যশালী ব্যালকানিতে খালি গায়ে জার্সি ওড়ানোর প্রসঙ্গ তাঁকে মাঝে মাঝে অস্বস্তিতে ফেলে। মহারাজ যতই অস্বস্তিতে পড়ুন না কেন, ক্রিকেটের লোকগাথায় চিরকালীন জায়গা করে নিয়েছে ন্যাটওয়েস্ট ট্রফির সেই ঘটনা, যার প্রসঙ্গ বারে বারে ফিরে আসে।
উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, বৃহস্পতিবার বিশ্বকাপের মঞ্চে ফের সৌরভের খালি গায়ে জার্সি ওড়ানোর প্রসঙ্গ উঠে আসে আলোচনায়। এবার ইডেনের গ্যালারিতে ফেরে লর্ডসের ব্যালকানির স্মৃতি, যা নিয়ে জোর চর্চা সোশ্যাল মিডিয়ায়।
বৃহস্পতিবার ইডেন গার্ডেন্সে বিশ্বকাপ ২০২৩-এর দ্বিতীয় সেমিফাইনালে সম্মুখসমরে নামে দক্ষিণ আফ্রিকা ও অস্ট্রেলিয়া। প্রোটিয়াদের বিরুদ্ধে ৩ উইকেটের রুদ্ধশ্বাস জয়ে ফাইনালের টিকিট পকেটে পোরেন প্যাট কামিন্সরা। ম্যাচ দেখতে স্টেডিয়ামে হাজির ছিলেন স্বয়ং সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। তাঁর সামনেই লর্ডসের ব্যালকানির খালি গায়ে জার্সি ওড়ানোর ঘটনা অভিনয় করে দেখান এক খুদে ক্রিকেটপ্রেমী।
ম্যাচের মাঝে এক খুদে দর্শককে ঠিক সৌরভের মতো করে খালি গায়ে জার্সি ওড়াতে দেখা যায়। স্টার স্পোর্টসের ক্যামেরায় বন্দি হয়ে যায় ঘটনাটি। জায়ান্ট স্ক্রিনে এবং টেলিভিশনের পর্দায় একাধিকবার দেখা যায় সেই ভিডিয়ো। ধারাভাষ্যকাররাও বিষয়টি নিয়ে আলোচনা শুরু করে দেন।
সেবার ভারতের ন্যাটওয়েস্ট ট্রফি জয়ের অন্যতম নায়ক মদম্মদ কাইফ মন্তব্য করেন যে, এই খুদে নিশ্চিতভাবেই দক্ষিণ আফ্রিকা বা অস্ট্রেলিয়ার নয়, বরং অন্য কারও সমর্থক, যিনি কিনা ইডেনেই উপস্থিত রয়েছেন।'
পমিকে বলতে শোনা যায়, ‘এই জায়গারই একজন মানুষ রয়েছেন, যিনি বিখ্যাত এক ব্যালকানিতে এমনটা করেছিলেন।’ সোশ্যাল মিডিয়ায় এমনও বলা-কওয়া শুরু হয়ে যায় যে, ইডেনে নিজের আইডলের সামনে তাঁর মতো করেই সেলিব্রেট করছেন জুনিয়র গাঙ্গুলী।
উল্লেখ্য, ইডেনে ছোটখাটো পুঁজি হাতে নিয়েও অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে সেমিফাইনালে শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত লড়াই চালায় দক্ষিণ আফ্রিকা। শেষমেশ ৩ উইকেটে ম্যাচ হেরে মাঠ ছাড়তে হয় প্রোটিয়াদের। টস জিতে শুরুতে ব্যাট করে দক্ষিণ আফ্রিকা ৪৯.৪ ওভারে ২১২ রানে অল-আউট হয়ে যায়। ১০১ রান করেন ডেভিড মিলার। ৩টি করে উইকেট নেন মিচেল স্টার্ক ও প্যাট কামিন্স। পালটা ব্যাট করতে নেমে অস্ট্রেলিয়া ৪৭.২ ওভারে ৭ উইকেটের বিনিময়ে ২১৫ রান তুলে ম্যাচ জিতে যায়। ৬২ রান করেন ট্র্যাভিস হেড। ২টি করে উইকেট নেন তাবরেজ শামসি ও জেরাল্ড কোয়েটজি।