জামাইকে জাতীয় দলের ক্যাপ্টেন করার পিছনে কলকাঠি নেড়েছেন শাহিদ আফ্রিদি। পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড শাহিন আফ্রিদিকে টি-২০ ক্যাপ্টেন করার পরেই ওদেশের ক্রিকেটমহল এমন গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে। যদিও বিষয়টি যে যথার্থ নয়, সেটা স্পষ্ট করলেন শাহিদ আফ্রিদি নিজে।
Samaa TV-র আলোচনায় শাহিদ স্পষ্ট জানান যে, তিনি চেয়েছিলেন টেস্টে বাবর আজমকেই ক্যাপ্টেন রেখে দেওয়া হোক। সীমিত ওভারের ক্রিকেটে যদি নেতা বদলাতেই হয়, তবে রিজওয়ানকে টি-২০ ও ওয়ান ডে-র ক্যাপ্টেন করা হোক। শুধু পিসিবি চেয়ারম্যানকেই নয়, বরং প্রধানমন্ত্রীকেও নাকি এমন কথা জানিয়েছিলেন আফ্রিদি।
প্রাক্তন পাক অল-রাউন্ডার আরও জানান যে, শাহিন ক্যাপ্টেন হোন, সেটাই নাকি তিনি চাননি। এমনকি পিএসএলেও শাহিন ক্যাপ্টেন হওয়ার সময় তাঁর আপত্তি ছিল। বরং রিজওয়ানের ম্যান ম্যানেজমেন্ট স্কিল ভালো হওয়ার জন্যই তাঁকে ক্যাপ্টেন করার পক্ষপাতী ছিলেন শাহিদ।
স্টুডিয়োর আলোচনায় আফ্রিদি বলেন, ‘আমি তো বলেইছিলাম, এত তাড়াতাড়ি ক্যাপ্টেন বদল করার কী দরকার! আমাকে প্রধানমন্ত্রীও জিজ্ঞাসা করেন। ক্রিকেট নিয়ে কথা হচ্ছিল। ক্যাপ্টেন্সি নিয়েও আমার মতামত জানতে চান। আমি বলি যে, বাবরকে এখনই বদলাবেন না। ওকে টেস্ট ক্যাপ্টেন্সি চালিয়ে যেতে দিন। যদি সাদা বলের ক্রিকেটে নতুন কাউকে ক্যাপ্টেন করতেই হয়, তাহলে মহম্মদ রিজওয়ানকে ক্যাপ্টেন করুন।’
পরক্ষণেই শাহিদ আফ্রিদি বলেন যে, ‘আপনারা আগেও আমার মুখে রিজওয়ানের কথা শুনেছেন নিশ্চই। পরে (পিসিবি) চেয়ারম্যান আমাকে ডাকেন। উনি ক্যাপ্টেন্সির বিষয়ে আমার মতামত জানতে চান। আমি বলি যে, বাবরকে সরাবেন না। ওকে লাল বলে (ক্যাপ্টেন্সি) চালিয়ে যেতে দিন। আপনি ওয়ান ও টি-২০’র জন্য মহম্মদ রিজওয়ানকে নিয়ে আসুন। কেননা মহম্মদ রিজওয়ান মুলতান সুলতানসের হয়ে ক্যাপ্টেন্সি করছে। সবাইকে সঙ্গে নিয়ে চলতে পারে ও। আমি সবসময়ই রিজওয়ানের হয়ে কথা বলেছি। আমার মনে হয় চেয়ারম্যানের সঙ্গে মিলে এই সিদ্ধান্তটা মহম্মদ হাফিজ নিয়েছে। ওরাই শাহিনকে নেতৃত্বে নিয়ে এসেছে।'
শেষে শাহিনকে ক্যাপ্টেন করার জন্য রাজনীতির অভিযোগ নস্যাৎ করে শাহিদ বলেন, ‘আমি সব সময় চেয়েছি এই সব বিষয়ে মাথা না গলাতে। শাহিনের সঙ্গে আমার ব্যক্তিগত সম্পর্কের জন্যই লোকে ভাবে শাহিনের জন্য শাহিদ লবি করছে। আমার যদি তেমন কোনও উদ্দেশ্য হতো, তাহলে আমি আজ চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে কথা বলতাম না। ব্যক্তিগত সম্পর্কের জন্য আমি আজ পর্যন্ত শাহিনের ক্যাপ্টেন্সি করাকে সমর্থন করিনি।’