আইসিসি টেস্ট চ্যাম্পিয়ন শিপের ফাইনাল নিয়ে বিরাট আপডেট বলা মোটেও ভুল হবে না। বিসিসিআই সচিব জয় শাহ যে ইঙ্গিত দিলেন, তাতে ভারতীয় ক্রিকেটপ্রেমীদের উৎফুল্ল হওয়াই স্বাভাবিক। সব কিছু ঠিকঠাক চললে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল ভারতের মাটিতে অনুষ্ঠিত হতেই পারে।
২০২১ সালে উদ্বোধনী টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয় ইংল্যান্ডের সাউদাম্পটনে। সেবার খেতাবি লড়াইয়ে মুখোমুখি হয় ভারত ও নিউজিল্যান্ড। রোজ বোলে ভারতকে হারিয়ে প্রথমবার টেস্টের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হয় কিউয়িরা।
পরে ২০২৩ সালে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের দ্বিতীয় চক্রের ফাইনাল ম্যাচও অনুষ্ঠিত হয় ইংল্যান্ডেই। দ্য ওভালে খেতাবি লড়াইয়ে মুখোমুখি হয় ভারত ও অস্ট্রেলিয়া। সেবার টিম ইন্ডিয়াকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয় অস্ট্রেলিয়া।
ভারত পরবর্তী টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে ওঠার দৌড়ে রয়েছে। এবার যদি রোহিতরা ওয়ার্ল্ড টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের খেতাবি লড়াইয়ে জায়গা করে নিতে পারেন, তবে টিম ইন্ডিয়াকে ২০২৫ সালে ফাইনাল ম্যাচ খেলতে হবে ইংল্যান্ডের লর্ডসে।
আরও পড়ুন:- ১টি শতরান ও ৫টি হাফ-সেঞ্চুরি, IPL 2024-এর ১২টি ইনিংসে কেমন খেলেছেন কোহলি?
অর্থাৎ, টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের প্রথম ৩টি ফাইনাল আয়োজনের দায়িত্ব দেওয়া হয় ইংল্যান্ডকে। বিসিসিআই সেই ধারাটা ভাঙতে চাইছে। ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড এবার টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল আয়োজনে সচেষ্ট। তাই বোর্ড এই মর্মে আইসিসির সঙ্গে কথাবার্তা চালাচ্ছে বলে জানালেন বিসিসিআই সচিব জয় শাহ। আলোচনা ফলপ্রসূ হলে ২০২৭ সালে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল অনুষ্ঠিত হতে পারে ভারতের মাটিতে।
বিসিসিআই সচিব বলেন, ‘আমরা ২০২৭ টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল নিয়ে আইসিসির সঙ্গে আলোচনা করেছি। প্রধান তিনটি টেস্ট কেন্দ্র বাছতে হলে ভারত, ইংল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়ার বাইরে নজর দেওয়ার উপায় নেই। (বছরের) সেই সময়ে অস্ট্রেলিয়া এমনকি ভারতেও টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল আয়োজন করা মুশকিল। বেঙ্গালুরুতেও সেই সময় বৃষ্টি হয়।’
সুতরাং, ডব্লিউটিসি ফাইনাল আয়োজন করার ইচ্ছা প্রকাশ করেও বিসিসিআই সচিব এটা স্বীকার করে নেন যে, ঠিক যে সময়ে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল খেলা হয়, তখন ভারতে ম্যাচ আয়োজন করা কঠিন। সেই কারণে ইংল্যান্ডই যে সেরা বিকল্প, প্রকারান্তরে এটাও জানাতে ভোলেননি জয় শাহ।
উল্লেখ্য, ভারত এই মুহূর্তে চলতি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ টেবিলের শীর্ষে রয়েছে। ৯ ম্যাচে টিম ইন্ডিয়ার সংগ্রহে রয়েছে ৬৮.৫১ শতাংশ হারে ৭৪ পয়েন্ট। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে অস্ট্রেলিয়া। তারা ১২টি ম্যাচে ৬২.৫০ শতাংশ হারে ৯০ পয়েন্ট সংগ্রহ করেছে। টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালিস্ট নির্ধারিত হয় সংগৃহীত পয়েন্টের নিরিখে নয়, বরং পয়েন্ট সংগ্রহের শতকরা হার অনুযায়ী।