এর আগে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন সৌরাষ্ট্রকে বধ করে সকলকে চমকে দিয়েছিল ত্রিপুরা। এবার তো শক্তিশালী মুম্বইকেও হারিয়ে দিল ঋদ্ধিমান সাহার দল। রবিবার, ৩ ডিসেম্বর বিজয় হাজারে ট্রফির ‘এ’ গ্রুপের ম্যাচে মুম্বইকে ৫৩ রানে হারায় ত্রিপুরা। ৬ ম্যাচের মধ্যে এই প্রথম হারল মুম্বই। এর আগের পাঁচটি ম্যাচই তারা জিতেছে।
টস জিতে প্রথমে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নেওয়াটাই সম্ভবত মুম্বইয়ের জন্য এদিন বুমেরাং হয়ে গিয়েছে। একেই ত্রিপুরার বোলারদের দাপট, সেই সঙ্গে দোসর বৃষ্টি, যার জেরে ডিএলএস নিয়মে ৫৩ রানে হেরে বসে মুম্বই। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে এদিন ত্রিপুরা নির্দিষ্ট ৫০ ওভারে ২৮৮ রান করে। যে রান তাড়া করতে নেমে বৃষ্টিবিঘ্নিত ম্যাচ হেরে বসে অজিঙ্কা রাহানের টিম।
মণিশঙ্কর মুরাসিং-এর অলরাউন্ড পারফরম্যান্সের হাত ধরে মুম্বইকে নাস্তানাবুদ করে ত্রিপুরা। ব্যাট হাতে ২৬ বলে ৫৫ করেছেন মুরা সিং। আর ৮.১ ওভারে ২৩ রান দিয়ে ৪ উইকেট তুলে নিয়েছেন তিনি।
প্রথম ব্যাট করতে নেমে দলের ৫ রানের মাথায় ১ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে গিয়েছিল ত্রিপুরা। অধিনায়ক ঋদ্ধিমান সাহা ৯ বলে ১ রান করে আউট হয়ে যান। তবে এই অবস্থা থেকে বিক্রমকুমার দাস এবং সুদীপ চট্টোপাধ্যায়ের ব্যাটে ভর করে ঘুরে দাঁড়ায় তারা। দ্বিতীয় উইকেটে তারা ১২৩ রানের পার্টনারশিপ করে। বিক্রমকুমার করেছেন ৭৮ বলে ৭০ রান। ৭৮ বলে ৬০ করেছেন সুদীপ। এছাড়া গণেশ সতীশ ৬৯ বলে ৫০ রান করেছেন। সেই সঙ্গে মণিশঙ্করের ৫৫ রানের হাত ধরে নির্দিষ্ট ৫০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ২৮৮ রান করে ত্রিপুরা।
মুম্বইয়ের হয়ে ২ উইকেট নিয়েছেন তুষার দেশপাণ্ডে। শার্দুল ঠাকুর, শামস মুলানি, জয় বিস্তা ১টি করে উইকেট নিয়েছেন।
বৃষ্টির কারণে মুম্বইয়ের লক্ষ্য ৪৩ ওভারে ২৬৫-তে কমিয়ে আনা হয়। কিন্তু রান তাড়া করতে নেমে মুম্বই ৭ রানে ২ উইকেট হারিয়ে বসেছিল। সেখান থেকে হাল ধরেন অধিনায়ক অজিঙ্কা রাহানে (৮৪ বলে ৭৮) এবং জয় বিস্তা (৭০ বলে ৫৮)। তৃতীয় উইকেটে ১০১ রানের জুটি গড়েন রাহানে-বিস্তা। তবে শেষ রক্ষা হয়নি। সরফরাজ খান পাঁচে নেমে ২৬ বলে ২৬ রান করেন। নয়ে নেমে আথর্ব আঙ্কোলেকর করেন ২১ রান। বাকিরা কেউ ১৫ রানেও পৌঁছতে পারেননি। ৪০.১ ওভারে ২১১ রানে অলআউট হয়ে যায় মুম্বই।
ত্রিপুরার মণিশঙ্কর মুরাসিং-এর ৪ উইকেট ছাড়াও পারভেজ সুলতান নিয়েছেন ৩ উইকেট। ২ উইকেট নিয়েছেন অভিজিৎ সরকার। ১ উইকেট নিয়েছেন চিরঞ্জিত পাল।