বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে মুখোমুখি হবে অস্ট্রেলিয়া এবং দক্ষিণ আফ্রিকা। এই ম্যাচের পরেই টেস্ট ক্রিকেটে টু-টিয়ার সিস্টেম চালু করতে পারে আইসিসি। হয়তো সবকিছু ঠিক থাকলে ভারত বনাম ইংল্যান্ড টেস্ট সিরিজের আগে। টেলিগ্রাফ স্পোর্টসের রিপোর্ট থেকে জানা যাচ্ছে যে ‘স্বচ্ছ প্রতিযোগিতা’ বজায় রাখতে ইংল্যান্ড ও ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ডের চেয়ারম্যান রিচার্ড থমসন, যিনি আইসিসির স্ট্র্যাটেজিক গ্রোথ কমিটির হেড, সম্প্রতি জয় শাহের সঙ্গে বৈঠক করেন। তাঁরা এই পরিকল্পনাটিকে বাস্তবায়নের বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছেন। চলতি বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়শিপের চক্র শেষ হতে ৫ মাস বাকি রয়েছে। তাই বিষয়টি দ্রুত বাস্তবায়নের পক্ষে থমসন।
টেলিগ্রাফ স্পোর্টসকে দেওয়া প্রতিক্রিয়ায় থমসন বলেছেন, ‘এটি সম্পূর্ণরূপে বোঝা যাচ্ছে যে বর্তমান কাঠামোটি যেভাবে কাজ করা উচিত, সেভাবে কাজ করছে না এবং আমাদের একটি ন্যায্য, ভালো প্রতিযোগিতা খুঁজে বের করতে হবে, কিন্তু এই মুহূর্তে কোনও সুপারিশ করা হয়নি।’
তিনি আরও বলেছেন, ‘আমাদের এই বিষয়ে কাজ করার জন্য পাঁচ মাস সময় আছে। আমাদের পিছনের দিকে ফিরে তাকাতে হবে এবং কাঠামোটিকে কী ভাবে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে সেটা ভাবতে হবে। বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপটি আরও ন্যায্য এবং আরও প্রতিযোগিতামূলক হওয়া উচিত। এটা এমন হওয়া উচিত যাতে দলগুলি ফাইনাল খেলার জন্য মুখিয়ে থাকে এবং বাকি দলগুলিকে টেস্ট খেলার জন্য উৎসাহ দিয়ে থাকে। আমাদের টেস্ট ক্রিকেটকে আরও জনপ্রিয় করে তুলতে হবে, কারণ এটি এই খেলার ডিএনএ।’
বর্তমানে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের যেই ফর্ম্যাটটি প্রচলিত রয়েছে সেটি বারবার সমালোচনার মুখে পড়েছে। সেই কারণে সেটিকে বদলাতে আগ্রহী আইসিসি। উল্লেখ্য, টু টিয়ার সিস্টেম চালু হলে আপাতত ভারত, অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড, নিউজিল্যান্ড এবং দক্ষিণ আফ্রিকার মতো বিশ্ব ক্রিকেটের প্রথম সারির দলগুলি নিজেদের মধ্যে আরও বেশি ম্যাচ খেলবে, ফলে প্রতিদ্বন্দ্বিতা আরও বৃদ্ধি পাবে।
অন্যদিকে আয়ারল্যান্ড, আফগানিস্তান এবং জিম্বাবোয়ের মতো দল, যারা টেস্ট খেলার জন্য অত বেশি পরিচিত নয়, তাদের দ্বিতীয় সারিতে রাখা হবে। সম্ভাবনা রয়েছে দ্বিতীয় সারিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজ এবং বাংলাদেশের থাকার। অর্থাৎ ওই দলগুলির ডিমোশন হতে পারে। কারণ সাম্প্রতিক কালে টেস্টে খুব বেশি সাফল্য পায়নি এই দুই দেশ। যদিও দলগুলির কাছে উত্তীর্ণ হওয়ার বা অবনমনে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকবে কিনা সেই বিষয়ে এখনও কিছু স্পষ্ট হয়নি।