উপ্পল রাজীব গান্ধী আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামের উত্তর দিকের স্ট্যান্ড থেকে মহম্মদ আজহারউদ্দিনের নাম এখনই সরানো যাবে না। হায়দরাবাদ ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনকে (এইচসিএ) এমনই নির্দেশ দিয়েছে তেলেঙ্গানা হাইকোর্ট। আসলে হায়দরাবাদ ক্রিকেট সংস্থার এথিক্স অফিসার এবং ওম্বাডসম্যান বিচারপতি ভি ঈশ্বরাইয়া গত সপ্তাহে নির্দেশ দিয়েছিলেন, রাজীব গান্ধী আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামের স্ট্যান্ড থেকে মহম্মদ আজহারউদ্দিনের নাম সরানোর. এই নির্দেশের বিরুদ্ধে গিয়ে তেলেঙ্গানা হাইকোর্টে আবেদন করেছিলেন আজহার। সেই আবেদনের ভিত্তিতে স্থগিতাদেশ জারি করেছে তেলেঙ্গানা হাইকোর্ট।
লর্ডস ক্রিকেট ক্লাবের দায়ের করা পিটিশনের নিরিখেই ভি ঈশ্বরাইয়া এমন আদেশ দিয়েছিলেন। ২৫ পাতার আদেশনামায় হায়দরাবাদ ক্রিকেট সংস্থার ওম্বাডসম্যান স্পষ্ট জানান যে, নর্থ প্যাভিলিয়ন স্ট্যান্ডে আজহারউদ্দিনের নাম খোদাই স্বার্থের সংঘাতের মধ্যে পড়ে। আজহার ব্যক্তিগত স্বার্থ চরিতার্থ করতেই নাকি এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন।
প্রাথমিক ভাবে উপ্পলের নর্থ প্যাভিলিয়নের নাম ছিল ভিভিএস লক্ষ্মণ প্যাভিলিয়ন। লক্ষ্মণের অবসরের পরে ২০১২ সালে গ্যালারির এই অংশের নামকরণ করা হয়েছিল। পরে ২০১৯ সালে আজহারউদ্দিন হায়দরাবাদ ক্রিকেট সংস্থার সভাপতি হলে স্ট্যান্ডটির নামকরণ করা হয় তাঁর নামে এবং সেটি উদ্বোধন করেন ভিভিএস লক্ষ্মণ।
লর্ডস ক্রিকেট ক্লাবের আবেদনে দাবি করা হয়েছিল যে, প্রাক্তন ভারত অধিনায়ক ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে অ্যাসোসিয়েশনের প্রধানের ভূমিকা গ্রহণের মাত্র এক মাস পরে নিজের নামে নর্থ স্ট্যান্ডের নামকরণ করার পর, প্রাক্তন সভাপতি হিসেবে অ্যাপেক্স কাউন্সিলের সভায় যোগ দিয়ে এইচসিএ নিয়ম লঙ্ঘন করেছেন।
ঈশ্বরাইয়ার নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে গত ২০ এপ্রিল তেলঙ্গানা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন আজহার। তিনি আদালতে জানান অম্বুডস্ম্যানের কার্যকালের মেয়াদ শেষ হয়ে গিয়েছে গত ১৮ ফেব্রুয়ারি। তার পর তিনি কী ভাবে এই নির্দেশ দিতে পারেন। মেয়াদ শেষ হওয়ার পর দেওয়া নির্দেশ কেন অগ্রাহ্য করা হবে না, সেই প্রশ্নও তোলেন আজহার।
প্রাক্তন ভারত অধিনায়ক দাবি করেছিলেন, ‘স্বার্থের সংঘাতের মতো কোনও ঘটনাই ঘটেনি। আপাতত এ বিষয়ে কিছু বলতে চাই না। তবে ১০ বছর দেশকে নেতৃত্ব দিয়ে এমন প্রতিদান পাব ভাবিনি। প্রয়োজনে হাইকোর্ট যাব। বোধহয় হায়দরাবাদে ক্রিকেটারদের সঙ্গে এমনই ব্যবহার করা সংস্কৃতি হয়ে দাঁড়িয়েছে।’ গত ২০ এপ্রিল তেলেঙ্গানা হাই কোর্টে আবেদন করেন আজহারউদ্দিন। এরপর ভারতের প্রাক্তন অধিনায়কের আবেদন খতিয়ে দেখে হাইকোর্ট বলেছে, উপ্পল স্টেডিয়ামের উত্তর দিকের স্ট্যান্ড থেকে আজহারের নাম এখনই সরানো যাবে না।