সদ্য সমাপ্ত বর্ডার গাভাসকর ট্রফির একটি ম্যাচেও খেলার সুযোগ পাননি সরফরাজ খান। অস্ট্রেলিয়ায় সফররত ভারতীয় দলের অংশ হলেও ৫টি টেস্টের একটিতেও খেলতে দেখা যায়নি তাঁকে। প্রাক্তন ক্রিকেটার সঞ্জয় মঞ্জরেকর মনে করছেন, এই ভারতীয় ব্যাটসম্যানের অন্তত একটা সুযোগ পাওয়া উচিত ছিল। প্রাথমিক ভাবে সিরিজ শুরুর আগে জানা যাচ্ছিল, কেএল রাহুলের জায়গায় মিডল অর্ডারে সুযোগ পেতে পারেন সরফরাজ। কিন্তু রোহিত শর্মার অনুপস্থিতিতে ওপেনার হিসেবে রাহুলের পারফরম্যান্সের পর পুরো সমীকরণ বদলে যায়।
সরফরাজ ১১টি টেস্ট ইনিংসে ৩টি হাফ সেঞ্চুরি ও ১টি সেঞ্চুরি করেছেন কিন্তু নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে হোম সিরিজের প্রথম টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে ১৫০ রান করার পর গোটা সিরিজে কম স্কোরের জন্য সমালোচনার সম্মুখীন হয়েছিলেন। ভারত সেই সিরিজে কিউয়িদের কাছে ৩-০ ব্যবধানে পরাজিত হয়েছিল। এবারই প্রথমবার নিউজিল্যান্ডের কাছে ঘরের মাঠে সিরিজ হারে ভারত এবং এক দশকেরও বেশি সময়ের মধ্যে প্রথমবার হোম টেস্ট সিরিজে পরাজয়ের মুখ দেখে রোহিতরা।
ESPN ক্রিক ইনফোকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে মঞ্জরেকর বলেন, ‘প্রথম-শ্রেণির ক্রিকেটে অসাধারণ রেকর্ডের জন্য সরফরাজ খানকে পুরস্কৃত করা হয়েছিল। সে ভারতীয় দলে সুযোগ পেয়ে ৩টি হাফ সেঞ্চুরি এবং একটি ১৫০ রানের ইনিংস খেলেছিল। কিন্তু বড় রান পাওয়ার পর পরবর্তী টেস্টে খারাপ ভাবে আউট হয়। তখন তাকে সম্পূর্ণভাবে দল থেকে বাদ দেওয়া হয়। আমি এটা একেবারে সঠিক মনে করি না।’ মঞ্জরেকর বলেছেন যে সরফরাজ অস্ট্রেলিয়ায় সফল হবেন কি না তা সরিয়ে রেখে, ঘরোয়া এবং আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে তাঁর পারফরম্যান্স বিচার করে একটা সুযোগ দেওয়া উচিত ছিল।
তিনি বলেন, ‘যদি আপনি মনেও করেন সরফরাজ এই পিচে সফল হবে না, থার্ড ম্যান তার মেইন স্কোরিং এরিয়া, কী হতো যদি সে রান করার উপায় খুঁজে পেয়ে যেত? আমি বলতে চাইছি, ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে সে যা করে দেখিয়েছে তা। হয়তো সে ভালো নাও করতে পারতো, তবে আরেকটু দেখা উচিত ছিল, কীভাবে তারা সর্বোচ্চ স্তরে নিজেদের মেলে ধরে। কিন্তু এটাও ঠিক যারা রান করছে তাদেরও সুযোগ দিয়ে পুরস্কৃত করতে হবে।’ উল্লেখ্য, বর্ডার গাভাসকর ট্রফিতে ৩-১ ব্যাবধানে পরাজিত হয় ভারত। পার্থে প্রথম টেস্টে ২৯৫ রানে জয় দিয়ে শুরু করলেও পরবর্তী ৪টি টেস্টের মধ্যে ৩টিতেই হারতে হয়েছে টিম ইন্ডিয়াকে। মূলত ব্যাটিং ব্যর্থতার কারণেই এই ভরাডুবি।