লোকেশ রাহুলের ধারাবিহকতার অভাব নিয়ে এবার প্রশ্ন তুললেন প্রাক্তন জাতীয় ক্রিকেটার সঞ্জয় মঞ্জরেকর। বর্ডার গাভাসকর সিরিজে লোকেশ রাহুলের শুরুটা হয়েছিল খুবই ভালো। কিন্তু পরের দিকে তিনি খেই হারিয়ে ফেলেন। পার্থ এবং ব্রিবসেবেন অর্ধশতরান করেছিলেন রাহুল। কিন্তু সিরিজ নিতে শেষ করেন ২৭৬ রানে। তাঁর ব্যাটিং গড় ছিল ৩০.৬৭। মেলবোর্ন টেস্টে তিন নম্বরে তাঁকে ব্যাট করতে পাঠিয়েছিলেন রোহিত শর্মা, বলা ভালো টিম ম্যানেজমেন্ট। কিন্তু রাহুল সেখানে রান পাননি, ব্যর্থই হন।
আরও পড়ুন-‘আরও গোল করতে পারতাম’, ৩ গোলে জিতেও বলছেন মোলিনা! লিস্টনের ভাবনায় এখন শুধুই ডার্বি
লোকেশ রাহুলের শেষ দুই টেস্টের পারফরমেন্সে মোটেই খুশি হতে পারছেন না প্রাক্তন ক্রিকেটার সঞ্জয় মঞ্জরেকর। তিনি বিরক্ত হয়েই বলছেন, এই একইভাবে রাহুল বারবার আউট হয়েছে। তিনি বলছেন, ‘আমরা এতদিনে বুঝে গেছি লোকেশ রাহুল ঠিক কি। আমরা সিরিজ শুরুর সময় বলেছিলাম লোকেশ রাহুল এই দলের সেরা ব্যাটার। পার্থ টেস্টের পর ব্রিসবেনেও দুরন্ত খেলেছিল। আমরা ভেবেছিলাম ওর কেরিয়ার হয়ত ঠিক দিকে ঘুরবে, কিন্তু তারপরই আবার ব্যর্থতা শুরু’।
আরও পড়ুন-‘আরও গোল করতে পারতাম’, ৩ গোলে জিতেও বলছেন মোলিনা! লিস্টনের ভাবনায় এখন শুধুই ডার্বি
লোকেশ রাহুলের টেকনিক টিম ইন্ডিয়ার অনেক ব্যাটারের থেকেই ভালো। কিন্তু ধারাবাহিকতার অভাবই তাঁকে বারবার ডুবিয়েছে। সেই কারণে ৫৮ টেস্টের পরেও রাহুলের ব্যাটিং গড় মাত্র ৩৩.৫৮। ফলে তাঁর মধ্যে যে প্রতিভা রয়েছে সেটার সঠিক বিকাশ কখনই ঘটেনি ধারাবাহিকভাবে।
আরও পড়ুন- BGTতে ব্যর্থ হলেও এখনই অবসর নয় বিরাটের! তবে টেস্ট দলে ঢুকতে দিতে হবে লাল বলে পরীক্ষা!
অবশ্য সঞ্জয় মঞ্জরেকর মনে করছেন অস্ট্রেলিয়ায় তেমন সফল না হলেও ইংল্যান্ডের দলে রাহুল থাকবেনই। তাঁর কথায়, ‘আমার মনে হয় না ইংল্যান্ড সিরিজে রাহুলকে রাখা হবে না। কারণ ভারতের এখনও একজন ওপেনার দরকার। আর ইশ্বরণকে তাঁরা খেলাতে চাইছে না। ইংল্যান্ডে শেষবার যখন এসেছিল ভারত, তখন রাহুল ভালোই খেলেছিল। তাই আমার মনে হয় রোহিত শর্মা এসে জুটি না ভেঙে দিলেন যশস্বী-রাহুলই খেলবে ইংল্যান্ডে’।
আরও পড়ুন- ISL - ১১তারিখ ডার্বি হচ্ছে না কলকাতায়! সরতে পারে ভুবনেশ্বরে! FSDLর দিকেই তাকিয়ে মোহনবাগান
যশস্বী জসওয়ালেরও প্রশংসা করেছেন প্রাক্তন এই মুম্বইয়ের ক্রিকেটার। তাঁর কথায় যেভাবে সিরিজে ৩৯১ রান করা যশস্বী লড়েছেন, তা অনবদ্য। মঞ্জরেকর বলছেন, ‘অনবদ্য। আর বিশেষ করে ওর যে সমস্যাটা হচ্ছিল স্টার্কের সুইং বলের ক্ষেত্রে সেটা কাটিয়ে ওঠা খুবই কঠিনই। ওরকম পেস অ্যাটাকের বিরুদ্ধে সবুজ উইকেটে টপ অর্ডারে রান করা খুব কঠিন। আর সেখানে ওর দুটো ৮০র ওপর রান রয়েছে, এছাড়াও একটা ১৬০ রানের ইনিংস রয়েছে। ও ভারতের জন্য বড় পাওনা ’।