শুক্রবার রাতে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর মুখোমুখি হয়েছিল সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। সেই ম্যাচে ৪২ রানে আরসিবিকে হারায় লিগ টেবিলের নিচের দিকে থাকা সানরাইজার্স হায়দারাবদ। এই হারের পর আরসিবির টপ টু-তে শেষ করার স্বপ্ন বড়সড় ধাক্কা খেল। কারণ বিরাটদের কোয়ালিফায়ার ওয়ান খেলতে গেলে এই ম্যাচটা জিততেই হত। নাহলে অন্য দলের দিকে তাকিয়ে থাকতে হত।
এই ম্যাচেই শুরু থেকেই সানরাইজার্স হায়দরাবাদের ব্যাটাররা দাপুটে ব্যাটিং করেন। ট্র্যাভিস হেড এবং অভিষেক শর্মার পর ইশান কিষানও চার-ছয়ের পার্টিতে যোগ দেন। এরপর হেনরিখ ক্লাসেনও দলের রানকে এগিয়ে নিয়ে যান। তখনই আরসিবির তরুণ লেগ স্পিনার সুয়শ শর্মাকে বিরাট কোহলির একটি পরামর্শ দেন, তাতেই প্রোটিয়া তারকার উইকেটে পকেটে পুড়ে ফেলেন সূয়শ।
ঈশান কিষান ও ক্লাসেনের কাছে প্রচুর রান খাওয়ার পর চাপে ছিলেন সূয়শ শর্মা। পরপর তিনটি বলে চার খেতেই তাঁর কাছে এগিয়ে যান বিরাট কোহলি। বেশ কিছপক্ষণ কোহলি এবং সূয়শ আলোচনা করেন। এরপরই আরসিবির স্পিনার দুরন্ত কামব্যাক করেন এবং হেনরিখ ক্লাসেনকে আউট করে সাজঘরে পেরান। অর্থাৎ বিরাটের ম্যাজিকাল টোটকায় সূয়শ ছন্দে ফেরেন। ফের একবার বড় শট খেলতে যেতেই রোমারিও শেফার্ডের হাতে ক্যাচ তুলে বিদায় নেন ক্লাসেন।
দেখুন কোহলির পেপ টক
শেষ পর্যন্ত আরসিবি এই ম্যাচে ৪২ রানে পরাজিত হয়। সনরাইজার্স হায়দরাবাদ দল নিজেদের আইপিএল মরশুম শেষের দিকে এসে জ্বলে উঠল। প্রসঙ্গত গতবারের প্লে অফে থাকা চার দলের মধ্যে তিনটি দলই এবারে শেষ চারে যেতে পারেনি। একমাত্র রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুই পরের রাউন্ডে অর্থাৎ প্লে অফে গেছে (গতবারও তাঁরা প্লে অফে যায়)। সানরাইজার্সের বিরুদ্ধে জিততে পারলে তাঁদের হাতে অতিরিক্ত সুযোগ থাকত, কারণ তাঁদের কোয়ালিফায়ার ওয়ান খেলতে হতে পারত। কিন্তু এই ম্যাচ বিরাট কোহলিরা হেরে যাওয়ায় প্লে অফে তাঁদের প্রত্যেকটা ম্যাচই নকআউট হয়ে যেতে চলেছে। যদি না গুজরাট এবং পঞ্জাব তাঁদের পরের ম্যাচগুলো পরপর হেরে যায়। এদিকে আরসিবির জন্য আরও দুটি খারাপ খবর এসেছে প্লে অফের আগে। প্রথমত অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটার টিম ডেভিড সানরাইজার্স ম্যাচে চোট পেয়ে ফিল্ডিং করতে না পেরে মাঠ ছেড়েছিলেন। পরে ব্যাট হাতেও তাঁকে ছন্দে দেখা যায়নি। এদিকে ফিল সল্টকেও প্লে অফের আগে ছেড়ে দিতে পারে আরসিবি।