পূর্ব বর্ধমানের মন্তেশ্বরে রাজ্যের গ্রন্থাগারমন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা চৌধুরীর উপর হামলার হয়েছিল। তৃণমূল কর্মীদের একাংশ তাঁর কনভয় ও গাড়িতে হামলা চালায় বলে অভিযোগ ওঠে।।সেই ঘটনায় পাঁচ জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। ধৃতরা তৃণমূলের ঘনিষ্ঠ বলেই এলাকায় পরিচিত। তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, আরও কয়েক জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে। ধৃতদের শুক্রবার কালনার আদালতে পেশ করার কথা রয়েছে।
আরও পড়ুন: সিদ্দিকুল্লাকে ঘিরে TMC কর্মীদেরই বিক্ষোভ, ঝাঁটা, লাঠি দিয়ে গাড়িতে হামলা
বৃহস্পতিবার দুপুরে একুশে জুলাইয়ের প্রস্তুতি সভা উপলক্ষে নিজের বিধানসভা কেন্দ্র মন্তেশ্বরে গিয়েছিলেন মন্ত্রী। সেখানে তাঁর কনভয় এলাকায় ঢুকতেই উত্তেজনা ছড়ায়। স্থানীয় একদল মানুষ রাস্তা আটকে কালো পতাকা দেখান ও গো ব্যাক স্লোগান দেন। সেই সঙ্গে ঝাঁটা হাতে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। মুহূর্তেই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। ইট, লাঠি, রড দিয়ে হামলা চলে মন্ত্রীর গাড়িতে। ঘটনায় গাড়ির কাঁচ ভাঙে, গাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। সিদ্দিকুল্লা অভিযোগ করেছেন, তিনি নিজেও হাতে সামান্য চোট পান। আরও দাবি, হামলাকারীরা তৃণমূলেরই কর্মী। এই আক্রমণের নেপথ্যে প্রকাশ্যে আসে দলীয় অন্তর্কলহ। ঘটনার পরই তিনি জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে গিয়ে লিখিত অভিযোগ জানান। এরপর সংবাদমাধ্যমে ক্ষুব্ধ সুরে বলেন, এই ষড়যন্ত্রকারীদের যদি দল শাস্তি না দেয়, তাহলে তিনি আর দলে থাকবেন না।
এখানেই থেমে থাকেননি মন্ত্রী। তিনি জানিয়ে দেন, ১০ জুলাই কলকাতার রাস্তায় নামবেন প্রতিবাদ জানাতে। এমনকি সিপিএম আমলের আন্দোলনের স্মৃতিও টেনে আনেন হুঁশিয়ারির সুরে। এই হামলার পিছনে মন্তেশ্বর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি আহমদ হোসেন শেখের ভূমিকা রয়েছে বলে সরাসরি অভিযোগ করেন সিদ্দিকুল্লা। তিনি দাবি করেন, আহমদের লোকজনই তাঁর কনভয়ে আক্রমণ চালিয়েছে। যদিও এ নিয়ে তাঁর বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
অন্যদিকে, বিক্ষোভকারীরা বলছেন, মন্ত্রী দীর্ঘ চার বছর ধরে এলাকায় কোনও উন্নয়নমূলক কাজ করেননি। প্রতিশ্রুতি দিয়েও তিনি কার্যত উধাও হয়ে যান। তাই ক্ষোভ থেকেই এই প্রতিক্রিয়া। পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনাস্থলের ভিডিয়ো ফুটেজ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। কারা কারা হামলায় জড়িত, তা শনাক্তের কাজ চলছে। তদন্ত এখনও চলছে বলেই জানানো হয়েছে।