আবারও বাঁ-হাতি পেসারের জালে ফাঁসলেন রোহিত শর্মা। গুজরাট টাইটান্সের বিরুদ্ধেও ব্যাট হাতে ব্যর্থ মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের প্রাক্তন অধিনায়ক রোহিত শর্মা। মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের অভিজ্ঞ ওপেনার রোহিত শর্মার টি-২০ পাওয়ারপ্লেতে বাঁ-হাতি পেসারের বিরুদ্ধে দুর্বলতা আবারও প্রকাশ পেল আইপিএল ২০২৫-এর ১৮তম আসরে গুজরাট টাইটান্সের বিরুদ্ধে ম্যাচে।
ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে ঠাসা ভিড়ের সামনে রোহিতের ইনিংসের করুণ পরিণতি ঘটান মধ্যপ্রদেশের বাঁ-হাতি পেসার আরশাদ খান। আক্রমণাত্মক শট খেলতে গিয়ে বল সঠিকভাবে না মারার ফলে প্রসিদ্ধ কৃষ্ণার হাতে ধরা পড়ে যান রোহিত শর্মা এবং মাত্র ৭ রানেই ড্রেসিংরুমে ফিরে যান তিনি।
২০২৩ সাল থেকে এ প্রবণতা যেন রোহিতের জন্য অভিশাপ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই সময়ের মধ্যে ৩৫ ইনিংসে তিনি ১৮২ বল মোকাবেলা করে করেছেন ২৬৮ রান, স্ট্রাইক রেট ১৪৭.২৫ হলেও ১২ বার আউট হয়েছেন, গড় মাত্র ৭.৬৫।
চলতি মরশুমে রোহিতের পারফরম্যান্স ওঠানামার মধ্যেই সীমাবদ্ধ। ১১ ম্যাচে তার সংগ্রহ ৩০০ রান, গড় ৩০.০০ ও স্ট্রাইক রেট ১৫২.২৮। তার ঝুলিতে রয়েছে তিনটি অর্ধশতক। রোহিত শর্মা আউট হওয়ার পর মুম্বই ইন্ডিয়ান্স ম্যাচে ফিরতে চেষ্টা করলেও গুজরাট টাইটান্সের তীব্র আক্রমণের সামনে পড়ে যায়। সূর্যকুমার যাদব জ্যাকসের সঙ্গে তৃতীয় উইকেটে মাত্র ২৬ বলে ৫০ রানের পার্টনারশিপ গড়েন। ১০ ওভার শেষে মুম্বইয়ের স্কোর দাঁড়ায় ৮৯/২।
জ্যাকস, যাকে গুজরাটের ফিল্ডাররা তিনবার জীবনদান দেন, ১১তম ওভারে ২৯ বলে পঞ্চাশ ছুঁয়ে ফেলেন। একই ওভারে সাই কিশোর সূর্যকুমার যাদবকে ৩৫ রানে ফিরিয়ে দেন। তার ইনিংসে ছিল পাঁচটি চার। ১২তম ওভারে উইল জ্যাকসকে ৫৩ রানে (৫ চার, ৩ ছয়) আউট করেন রশিদ খান। অধিনায়ক হার্দিক পান্ডিয়া ব্যাট করতে নামেন, কিন্তু মাত্র ১ রানেই সাই কিশোরের শিকার হন। এরপর মুম্বই নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে। প্রথম ওভারেই তিলক বর্মাকে (৭) ফেরান জেরাল্ড কোয়েটজি। করবিন বোশের ঝোড়ো ২৭ রানের ইনিংসে ভর করে মুম্বই ১৫৫/৮ স্কোর করে।