ভারতীয় টেস্টের নয়া যুগের সূচনা হতে চলেছে জুনের ২০ তারিখ থেকে, যখন টিম ইন্ডিয়াকে নেতৃত্ব দেবেন টেস্টে শুভমন গিল। এশিয়ার বাইরে গিলের যা পারফরমেন্স, তার থেকে বিসিসিআইয়ের সিনিয়র টিমের নির্বাচক অজিত আগরকরের ব্যাটিং পারফরমেন্স হয়ত ভালো ছিল। কারণ লর্ডসে ভারতে সর্বকালের অন্যতম সেরা তারকাদের টেস্ট সে়ঞ্চুরি না থাকলেও ক্রিকেটের নন্দন কাননের রেকর্ড বোর্ডে কিন্তু জ্বলজ্বল করছে আগরকরের নাম এখনও।
অবশ্য শুভমন গিলের অধিনায়কত্ব পাওয়া নিয়ে চর্চার থেকেও বেশি ইংল্যান্ড সিরিজের আগে ভারতীয় দলের চর্চার বিষয় হল, বিরাট কোহলির শূন্যস্থান কে পূরণ করবেন? রোহিত শর্মা যেহেতু নিজেই ফর্মে ছিলেন না, আর ওপেনিংয়ে ভারতের একাধিক বিকল্প রয়েছে তাই সেই পজিশন নিয়ে তেমন কোনও চিন্তার অবকাশ নেই। যশস্বী আছেন ওপেনিংয়ে, গিলও ওপেনার, লোকেশ রাহুলও সেই দায়িত্ব সামলেছেন। দরকার লাগলে নবাগত সাই সুদর্শন যেমন আইপিএলে ওপেনিং করেছেন, তেমনই তাঁকে দিয়েও ওই পজিশনে খেলানো যাবে। কিন্তু বিরাটের পরিবর্তে তিন নম্বরে কে আসবেন? কারণ দীর্ঘ ১২ বছর ধরে ভারতীয় দলে একের পর এক কোচ আসা যাওয়া করলেও ওই পজিশন নিয়ে সকলেই নিশ্চিন্তে ছিলেন, কারণ সেখানে বিরাট কোহলি ব্যাট করতে নামতেন সচিন তেন্ডুলকর পরবর্তী যুগে।
অস্ট্রেলিয়ার হয়ে একাধিক বিশ্বকাপ এবং অ্যাসেজজয়ী অধিনায়ক রিকি পন্টিং চাইছেন, বিরাট কোহলির পরিবর্তে যেন শুভমন গিল সেই পজিশনে ব্যাটিং করতে আসেন। তাঁর কথায়, ‘আমার মনে হয় সাই সুদর্শন আর যশস্বী জসওয়াল ওপেনিং করবে। কারণ ও টেকনিকালি খুবই ভালো, আর ওর যে ধরণের খেলার স্টাইল তাতে টেস্টে ক্রিকেটেও ও ভালো পারফরমেন্স করতে পারবে বলে আমার আশা ’।
রিকি আরও বলছেন, ‘যদি ভারত দুটো তরুণ ওপেনারের ওপর ভরসা রাখে, সেক্ষেত্রে তিন নম্বরে আসা উচিত অভিজ্ঞ লোকেশ রাহুল অথবা করুণ নায়ারের। এরপর চার নম্বর পজিশনে শুভমন গিলের খেলা উচিত, যেটা অধিনায়ক হিসেবে ওর পক্ষে সহজ হবে একটু। যেহেতু গিল খুবই তরুণ অধিনায়ক, তাই ও যদি ওপেনিং না করে বা তিন নম্বরে ব্যাটিং না করে, তাহলে ওরই ভালো। ওদের টপ ফাইভে সাই সুদর্শন, যশস্বী জসওয়াল, কেএল রাহুল, শুভমন গিল এবং করুণ নায়ারের থাকা উচিত ইংল্যান্ড সিরিজে ’।