রাজ্য সরকার ও সরকারি দল তৃমণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে মুসলিম তোষণের অভিযোগে বাদল অধিবেশনের প্রথম দিনের একের পর এক বিক্ষোভ আছড়ে পড়ল বিধানসভার অন্দরে ও বাইরে। এদিন বিধানসভার অধিবেশনের শুরুতে শোকপ্রস্তাবে মুর্শিদাবাদ দাঙ্গায় নিহত ২ জনের নাম না থাকায় বিধানসভার অন্দরে বিক্ষোভ দেখায় বিজেপি। ওদিকে বখরি ইদের দিন কলকাতার কয়েকটি জায়গায় পশুর রক্ত রাস্তার জমা জলে মেশায় বিধানসভার বাইরে বিক্ষোভ দেখায় একটি হিন্দুত্ববাদী সংগঠন।
প্রথা মেনে সোমবার বিধানসভার বর্ষাকালীন অধিবেশনের প্রথম দিনে প্রথা মেনে শোকপ্রস্তাব গ্রহণ করা হয়। বিজেপির অভিযোগ শোক প্রস্তাবে প্রয়াত বিধায়ক, পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলায় নিহত হিন্দুদের নাম থাকলেও নাম ছিল না মুর্শিদাবাদ দাঙ্গায় চপাতি দিয়ে কুপিয়ে খুন করা মৃৎশিল্পী হরগোবিন্দ দাস ও তাঁর ছেলে চন্দন দাসের। মুর্শিদাবাদ দাঙ্গায় নিহত ২ জনের নাম শোকপ্রস্তাবে অন্তর্ভুক্ত করার দাবি তোলেন বিজেপির মুখ্য সচেতক শংকর ঘোষ। কিন্তু সেই প্রস্তাব গ্রহণ করেননি স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়।
শোকপ্রস্তাব পাশের পর বিধানসভার বাইরে আম্মেদকর মূর্তির সামনে প্রবল বিক্ষোভ দেখান বিজেপি বিধায়করা। শংকরবাবু বলেন, ‘শোক প্রস্তাবে সবার নাম থাকলেও মুর্শিদাবাদ দাঙ্গায় নিহত হিন্দু পিতা পুত্র, হরগোবিন্দ দাস ও চন্দন দাসের নাম নেই। রাজ্য সরকার নির্লজ্জ মুসলিম তোষণ করছে। তাই আমরা আম্মেদকর মূর্তির নীচে আবার শোক প্রস্তাব গ্রহণ করছি। এভাবে মুর্শিদাবাদ দাঙ্গার রক্ত হাত থেকে মুছতে পারবেন না মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।’
ওদিকে এদিন বখরি ইদের দিন কলকাতার ৪৪ নম্বর ওয়ার্ডে রাস্তায় জমা জলে পশুর রক্ত মেশার অভিযোগ তুলে বিধানসভার গেটের সামনে বিক্ষোভ দেখাতে থাকে হিন্দু সেবা দল নামে একটি সংগঠনের ৮ – ১০ জন সদস্য। তাদেরও অভিযোগ, রাজ্য সরকারের মুসলিম তোষণের ফলে হিন্দুদের ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত লাগছে। কিন্তু তাতে কোনও পরোয়া নেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের। কিছুক্ষণ পর পুলিশ তাদের সরিয়ে দেয়।