অবশেষে প্লে অফ ২-র ঘটনা নিয়েই মুখ খুললেন শশাঙ্ক সিং। আসলে প্লে অফ টু-তে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের বিরুদ্ধে পঞ্জাব কিংসের ম্যাচ যখন রুদ্ধশ্বাস জায়গায় দাঁড়িয়েছিল তখনই সিঙ্গল নিতে গিয়ে রান আউট হয়েছিলেন শশাঙ্ক সিং। হার্দিক পাণ্ডিয়ার নেওয়া থ্রো সরাসরি উইকেটে লাগে এবং শশাঙ্ক আউট হয়ে যান। ততক্ষণে শ্রেয়স আইয়ার যদিও ম্যাচের রাশ নিজেদের হাতেই প্রায় নিয়ে ফেলেছিলেন, কিন্তু শশাঙ্কের সিংয়ের একটা ভুলই মারাত্মক হতে পারত। সেই সময় শশাঙ্ক সিং রান নিতে গিয়ে খুবই দায়িত্বজ্ঞানহীনের মতোই দৌড়াচ্ছিলেন, আসতে আসতে। যার ফলে শশাঙ্ক রান আউট হয়ে যান, আর তাতেই ব্যাপক রেগে গেছিলেন শ্রেয়স আইয়ার। ম্যাচের পরও যখন সবার সঙ্গে হাত মেলাচ্ছিলেন, তখনও শ্রেয়সকে দেখা গেছিল শশাঙ্ককে বকাঝকা করতে। বেশি কথা না বাড়িয়ে সেই সময় শশাঙ্ক সরে গেছিলেন। এবার সেদিনের ঘটনা নিয়েই মুখ খুললেন পঞ্জাব কিংসের হয়ে খেলা এই ব্যাটার।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে শ্রেয়স আইয়ার বলছেন, ‘আমি ওই বকা খাওয়ার যোগ্য, শ্রেয়সের তো উচিত ছিল আমায় চড় মারা। ফাইনাল পর্যন্ত আমার বাবাও আমার সঙ্গে কথা বলেনি। ওটা একটা ম্যাচের গুরুত্বপূর্ণ সময় ছিল। শ্রেয়সের বিষয়টা খুব ক্লিয়ার ছিল, যে ও আমার থেকে এটা আশা করেনি। পরে ও আমাকে ডিনারেও নিয়ে গেছে ’।
পঞ্জাব কিংসের হয়ে এই মরশুমে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রানের মালিক ছিলেন শশাঙ্ক সিং, তিনি করেন ৩৪১ রান। স্ট্রাইক রেট ছিল ১৫৩। অধিনায়কের প্রশংসা করেই পঞ্জাবের ব্যাটার বলছেন, ‘আমি যাদের সঙ্গে কথা বলেছি বা দেখেছি, আমি ওর থেকে ভালো অধিনায়ক তো এখনকার বিশ্ব ক্রিকেটেও দেখছি না। ও আমার স্বাধীনতা দেয়, আর সবাইকে একই চোখে দেখে। কেউ বলবে না যে শ্রেয়সের অহঙ্কার আছে। দলের যে সব থেকে ছোট, সেও জানে যে শ্রেয়স খুবই ঠান্ডা মাথার ছেলে। ও একমাত্র অধিনায়ক যে আমাদের বলেছিল, যদি কারোর কাছে কোনও পরামর্শ বা আইডিয়া থাকে, তাহলে ম্যাচের সময় যেন তাঁকে বলি। সেটা যদি ও ঠিক মনে করে, তাহলে পরামর্শটা মেনেও নেবে ’।
ফাইনালে দুর্দান্ত ইনিংস এসেছিল শশাঙ্কের ব্যাট থেকে। কিন্তু ভূবনেশ্বর কুমারের ১৯তম ওভারটাই পার্থক্য গড়ে দিয়েছিল, সেটা মেনে নিয়েই শশাঙ্ক বলছেন, ‘আমি অঙ্ক কষে নিয়েছিলাম, শেষ ২ ওভারে। ভুবি যেহেতু ইয়র্কার করা বেশি পছন্দ করে তাই আমি চেয়েছিলাম ওর ওভারে ১৬-১৭রান নিতে, যাতে শেষ ওভারে ২৪ রান বাকি থাকে। কিন্তু ভুবির ওভার থেকে ১৩ রান পাই তাই শেষ ওভারে ৩০ রান টার্গেট দাঁড়িয়ে যায় ’।